বিবিধ ভাবনা ৮৭

ফিরোজ মাহবুব কামাল

১. বাংলাদেশের মূল সমস্যা ও নীচে নামার হেতু

বাংলাদেশের মূল সমস্যাটি কৃষি বা শিল্পে নয়। অর্থনীতিতেও নয়। সেটি হলো দুর্নীতি। সভ্য ভাবে বাঁচা ও উন্নয়নের পথে এটিই হলো সবচেয়ে বড় বাধা। চুরি-ডাকাতি থেকে কোন দেশই পুরাপুরি মুক্ত নয়, সব দেশেই কিছু দুর্নীতি হয়। দেহ থাকলে যেমন রোগ-ব্যাথা থাকে, তেমনি মানব বসতি থাকলে দুর্নীতিও থাকে। তবে সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হলো দেশ জুড়ে জনগণের ভোটের উপর ডাকাতি করে ক্ষমতায় যাওয়া। তখন সমগ্র দেশ চোর-ডাকাতদের দখলে চলে যায়। এরূপ দুর্নীতি কোথাও হয় না। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্ব মাঝে অনন্য। সাধারণ চোর-ডাকাতগণ তাদের অপরাধ কর্ম লোকচক্ষুর অগোচরে চুপিসারে করে। কিন্তু ভোটডাকাতগন তাদের ডাকাতি সবার চোখের সামনে দাপটের সাথে করে। দুর্বৃত্ত কর্মে তারা যেমন বেহায়া, তেমনি বেপরোয়া। বাংলাদেশ এরূপ বেহায়া দুর্বৃত্তদেরই দখলে।

পাত্রের তলায় ফুটো থাকলে সে পাত্রে যতই পানি ঢালা হোক -সে পানি বেরিয়ে যায়। তাই পানি ধরে রাখতে হলে পাত্রের ফুটো বন্ধ করতে হয়। দুর্নীতি তেমনি ধ্বসিয়ে দেয় দেশের অর্থনীতি। তাই দুর্নীতির মধ্য দিয়ে কোন জাতি উন্নতি করেছে -সে প্রমাণ নাই। আরেক বাস্তবতা হলো, চোর-ডাকাতদের ক্ষমতায় রেখে কখনোই দুর্নীতি দমন হয়না। ডাকাতের কাজ ডাকাতি বাড়ানো, ডাকাতি কমানো নয়। সভ্য দেশে এজন্যই তাদের স্থান হয় কারাগারে, কিন্তু বাংলাদেশে তারা ক্ষমতার শীর্ষে। বাংলাদেশের মেহনতি মানুষ দেশকে আরো দ্রুত সামনে এগিয়ে নিতে পারতো। এককালে বাংলা সমগ্র বিশ্বে ধনি দেশ ছিল এই কর্মঠ ও প্রতিভাবান মানুষের কারণে। তাদের তৈরী মসলিন ও মখমলের বিশ্বে কোন তুলনা ছিল না।

কিন্তু উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বাধা হলো দুর্বৃত্ত সরকার। তাই বাংলাদেশে যে কাজটি সর্বপ্রথম করা উচিত তা হলো দুর্বৃত্ত সরকারের নির্মূল। ইসলামে একাজের রয়েছে ইবাদতের মর্যাদা। পবিত্র কুর’আনের সুরা আল ইমরানের ১১০ নম্বর আয়াতে মুসলিমদের সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি বলা হয়েছে। কেন তারা সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি তার কারণও উক্ত আয়াতে বলা হয়েছে। সেটি হলো: “তারা দুর্বৃত্তির নির্মূল করে এবং ন্যায়ের তথা সুবিচারের প্রতিষ্ঠা দেয়।” তবে এ আয়াতের মাধ্যমে এ কথাও পরোক্ষ ভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে: সবচেয়ে নিকৃষ্ট জাতি তারাই যারা রেকর্ড গড়ে দুর্বৃত্তে। প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশীগণ কি তবে নিকৃষ্ট হওয়ার পথটি বেছে নিয়েছে?

২. বেঈমানের বেঈমানী ও অপসংস্কৃতি  

আগুনের উত্তাপ যেমন গোপন থাকে না, তেমনি গোপন থাকে না বেঈমানের বেঈমানী। সেটি নিখুঁত ভাবে দেখা যায় কাকে সে ভালবাসে ও কাকে সে ঘৃণা করে সেটি দেখে। ঈমান তো সৎ ও ন্যায়পরায়ন ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা জানাতে শেখায় এবং নির্মূলের নির্দেশ দেয় দুর্বৃত্তদের। বাংলাদেশে কারা চোরডাকাত, ভোটডাকাত ও সন্ত্রাসী সেটি কোন গোপন বিষয় নয়। খুনিরা রাজপথে মানুষ খুন করে এবং লাশের উপর নৃত্য করে। সে ছবিও পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। কারা ধর্ষণে সেঞ্চরী করে সে খবরও পত্রিকায় ছাপা হয়। কারা এক লাশের বদলে ১০টি লাশ ফেলতে বলে সেটিও গোপন নয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে কে বা কারা ভোট ডাকাতি করলো -সেটিও গোপন বিষয় না। অথচ সে দুর্বৃত্তদের নির্মূল না করে ডাকাত সর্দারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলে সম্মান দেখানো হয়। কথা হলো, যার মধ্যে শরিষার দানা পরিমান ঈমান আছে এমন ব্যক্তি কি কখনো চোর,ডাকাত ও খুনিকে মাননীয় বলতে পারে? এ তো ষোল আনা বেঈমানীর লক্ষণ।

যে নেতা বা নেত্রী জনগণের ভোটের উপর ডাকাতি করে সে কি কখনো জনগণের বন্ধু হতে পারে? চুরি-ডাকাতি তো শত্রুর কাজ। প্রতি দেশে এবং প্রতি যুগে চুরিডাকাতির কাজগুলি ঘৃণ্য অপরাধীরা করে এসেছে। অথচ বাংলাদেশে আজ সে অপরাধীরা সরকারে। কথা হলো, এমন ডাকাতদের থেকে কি কখনো কোন কল্যাণ আশা করা যায়? বনের হিংস্র পশু কিছু প্রাণহানী ঘটালেও জাতির জীবনে কোন বিপর্যয় ডেকে আনে না। অথচ বিপর্যয় আনে ডাকাতগণ। তারা সভ্য ও নিরাপদ জীবন অসম্ভব করে। তারা বিনষ্ট করে দেশের মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি। তাই ডাকাত নির্মূলের চেয়ে শ্রেষ্ঠ কর্ম কি আছে? কিন্তু সে শ্রেষ্ঠ কর্মে বাংলাদেশীদের সফলতা কতটুকু? তারা তো ডাকাতকে মাননীয় বলার এক অপসংস্কৃতি নির্মাণ করেছে!

৩. ব্যর্থতার বীজ শিক্ষাঙ্গণে

জাতির ব্যর্থতার বীজ কখনোই ব্যবসা কেন্দ্র, ক্ষেতখামার বা কলকারখানায় থাকে না, সেটি থাকে বিদ্যালয়ে বা শিক্ষা ব্যবস্থায়। মানুষ কতটা সভ্য, ভদ্র, চরিত্রবান ও ন্যায়বান রূপে গড়ে উঠবে -সেটি নির্ধারণ করে দেশের শিক্ষালয় বা শিক্ষা ব্যবস্থা। তাই যারা দেশের উন্নয়ন চায় তারা শুরু করে শিক্ষার সংস্কার থেকে। ইসলামের যাত্রাও সেখান থেকে হয়েছিল। এবং শিক্ষাদানে কুর’আন হলো টেক্সটবুক।

যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরগণ ভোটডাকাতকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলে শ্রদ্ধা জানায় এবং ভোটডাকাতির নির্বাচনকে সুষ্ঠ নির্বাচন বলে বিবৃতি দেয় -তারা ছাত্রদের কি শেখাবে? তারা নিজেরাই তো ফেল করেছে নৈতিক পরীক্ষায়। অপরাধ শুধু অপরাধ করা নয়, বরং অপরাধকে সমর্থন করাও। অপরাধ হচ্ছে চোখের সামনে অপরাধ হতে দেখেও নীরব থাকা। নৈতিক শিক্ষাই হলো শিক্ষার মেরুদন্ড। সেটি না থাকলে পুরা শিক্ষাব্যবস্থা চুরিডাকাতির হাতিয়ারে পরিণত হয়। তখন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি দুর্বৃত্ত উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়। তখন দেশে কৃষি ও শিল্প কারখানায় বিপ্লব এনেও দেশ ও দেশবাসীর কল্যাণ হয় না। বাংলাদেশ তো সেটিই প্রমাণ করে চলেছে।

৪. ব্যর্থতা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়ায়

জ্ঞানলাভের সবচেয়ে বড় উৎস হলো ইতিহাস জ্ঞান। ইতিহাস দেয় মনের আলো বা প্রজ্ঞা। সে মনের আলো বা প্রজ্ঞাই সামনে চলায় পথ দেখায়। হাজার হাজার বছর ধরে অসংখ্য যুদ্ধ-বিগ্রহ, অসংখ্য বিপর্যয়, কোটি কোটি মানুষের প্রাণনাশ, বহু হাঁসি-কান্না দিয়ে গড়া হয় ইতিহাসের বিশাল ভান্ডার। এ জগতে তারাই সবচেয়ে বড় জ্ঞানী যারা সে ইতিহাস বিজ্ঞানের ভান্ডার থেকে শিক্ষা নেয়। অন্যথায় অন্ধের ন্যায় একই গর্তে পা বার বার পড়ে। এবং নাশকতা ঘটায়। অথচ পরিতাপের বিষয়, বাংলাদেশে মত দেশে অতি উপেক্ষিত বিষয় হলো ইতিহাস বিজ্ঞান। বাংলাদেশে উপন্যাস, নাটক ও কবিতার বই লেখা হলেও লেখা হয় না ও পড়া হয় না ইতিহাসের বই। ফলে চরম দারিদ্র্যতা থেকে যাচ্ছে জ্ঞানের ভান্ডারে।

মুসলিম বিশ্বে বহু ঘটনাই ঘটে গেছে যা না ঘটলেই মুসলিম উম্মাহর অনেক ভাল হতো। সেসব বিয়োগান্ত ঘটনাগুলি ঘটিয়েছে মুসলিমদের চিহ্নিত শত্রুরা। সেগুলি ঘটিয়েছে মুসলিমদের মেরুদন্ড ভাঙ্গতে। যেমন উসমানিয়া খেলাফতের বিলুপ্ত, আরবদের ২২ টুকরায় বিভক্ত, পাকিস্তানে ভেঙ্গে যাওয়া, ইত্যাদি বহু বিষয়। এসব নাশকতার কাজে মুসলিমগণ খেটেছে ও রক্ত দিয়েছে শত্রুর কলাবরেটর রূপে। ইতিহাসের চাকা পিছনে ঘুরানো যায় না। তবে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে তো বাঁধা নাই। বরং শিক্ষা নেয়াটা জরুরি। নইলে একই রূপ বিপর্যয় বার বার আসে। তাই ইতিহাস নিয়ে যত লেখাপড়া ও গবেষণা করা হয় ততই কল্যাণ।

৫. মুক্তিযুদ্ধের বয়ান ও কিছু অপ্রিয় কথা

মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে বহু সত্য কথাই গোপন করা হয় এবং বহু মিথ্যা বয়ান লাগাতর দেয়া হয়। অনেকে একাত্তরে পাকিস্তান ভেঙ্গে যাওয়ার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কুকর্মকে দায়ী করে। এমনকি আওয়ামী ঘরানার গুরু আবুল মনসুর আহমদ তাঁর “আমার দেখা রাজনীতির ৫০ বছর”বইয়ে লিখেছেন, পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর এ্যাকশনের আগে কোন পূর্ব পাকিস্তানী পাকিস্তান ভাঙ্গার পক্ষে ছিল না। আবুল মনসুর আহমদ অজ্ঞতা হলো, তিনি জানেনই না শেখ মুজিব এবং তাঁর বহু সহচর একাত্তরের বহু পূর্ব থেকেই পাকিস্তান ভাঙ্গার কাজে ষড়যন্ত্র করছিল।

এ নিয়ে বিতর্ক নাই, একাত্তরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বারা অনেক অপরাধ কর্ম হয়েছে। কিন্তু কথা হলো, পাকিস্তানী সেনবাহিনীর সদস্যগণ যদি ফেরেশতাদের মতও হতো তবুও কি ভারতসেবী মুজিব ও তার সঙ্গীরা পাকিস্তান বাঁচাতে আগ্রহী হতো। কখনোই না। শেখ মুজিব তাঁর পাকিস্তান ভাঙ্গার কাজটি শুরু করে একাত্তরে সামরিক বাহিনীর এ্যাকশনে যাওয়ার বহু আগে থেকেই। মুজিব ভারতের সাথে আগরতলা ষড়যন্ত্র করে ষাটের দশকের মাঝামাঝিতে। কথা হলো যাদের লক্ষ্য ভারতের সেবাদাস রূপে বাঁচা তারা কেন পাকিস্তান বাঁচাতে যাবে? আজ হাসিনা যেরূপ বাংলাদেশকে ভারতের অধিকৃত রাষ্ট্রে পরিণত করেছে তার মধ্যেই তো মুজিবের এজেন্ডার প্রমাণ মেলে। এ নিয়ে যাদের সন্দেহ, তাদের উচিত ভারতের সাথে মুজিবের ২৫ দফা ও তাজুদ্দীনের ৭ দফা চুক্তি পড়ে দেখা।

কয়লা কখনোই রং বদলায় না। যারা একাত্তরে ও একাত্তরের পূর্বের আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগের কুকর্ম ও দুর্বৃত্তি দেখেনি তারা এখনকার আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগ দেখে সেটি জেনে নিতে পারে। মহান আল্লাহতায়ালা সম্ভবত সে কারণেই তাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন। মুসলিম উম্মাহর একতা ও কল্যাণ নিয়ে তাদের মাঝে কখনোই এ বাকশালীদের কোন ভাবনা ছিল না –না একাত্তরের আগে না পরে। আজকের পাকিস্তান বেঁচে থাকুক সেটি যেমন ভারত চায় না, তেমনি এই বাকশালীরাও চায় না। আজও সেটি বুঝা যায় ঢাকা থেকে প্রকাশিত আওয়ামী ঘরানার পত্রিকাগুলো পড়লে।

৬. বাঙালী মুসলিমগণ যে কারণে অনন্য

বাঙালী মুসলিমগণ ১৪ শত বছরের মুসলিম ইতিহাসে তিনটি কারণে স্থায়ী স্থান করে নিয়েছে। সেগুলি হলো: এক). অন্য সবার আগে ইংরেজদের গোলাম হয়ে। সেটি হয় ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন তারিখে। এর আগে অন্য কোন মুসলিম দেশই ব্রিটিশদের গোলাম হয়নি। এক্ষেত্রে বাঙালী মুসলিমগণ তাই অনন্য। কেন এবং কীরূপে হলো সেগুলি গবেষণার বিষয়। তা নিয়ে গবেষণা হলে বাঙালী মুসলিমগণ আজ ভারতের গোলাম হত না। দুই). সমগ্র মুসলিম ইতিহাসে একমাত্র বাঙালী মুসলিমগণই হিন্দুদের ঘরে তাদের সমগ্র ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিজয়টি তুলে দিয়েছে। সে বিজয়ের গর্ব নিয়ে ১৬ ডিসেম্বরে ঢাকা জয়ের পর দিল্লির পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি অতি উল্লাসে বলেছিলেন “হাজার সালকা বদলা লে লিয়া।” আজ তাই প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর এলে ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা সারা ভারত জুড়ে উৎসব করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবার তাতে হিন্দুত্বের গর্ব বিশেষ ভাবে যোগ করেছে। এমন একটি বদলা নেয়ার জন্য ভারতীয় হিন্দুদের হাজার বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল। অবশেষে একাত্তরে ভারতের ঘরে সে বিজয় তুলে দেয় শেখ মুজিব ও তার সঙ্গীরা। মুজিব এজন্যই ভারতীয় হিন্দুদের কাছে পূজণীয় ব্যক্তি। লক্ষণীয় হলো, ভারত ও ভারতসেবী বাঙালীদের কাছে অতি ঘৃণ্য ও বধযোগ্য হলো রাজাকারগণ। রাজাকারদের অপরাধ, একমাত্র তারাই বাঙালী মুসলিমদের পক্ষ থেকে একাত্তরে ভারতের আগ্রাসনকে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল। জামায়াত নেতাদের ফাঁসিতে ঝুলানোর মূল কারণ তো সেই ক্রোধ।  তিন). ১৪ শত বছরের মুসলিম ইতিহাসে একমাত্র বাঙালী মুসলিমগণই হিন্দু পৌত্তলিকদের সাথে মিলে একসাথে প্রতি বছর বিজয় উৎসব করে। এবং সেটি ১৬ ডিসেম্বরে। কাফেরদের সাথে মুসলিমদের একত্রে এরূপ উৎসব পালনের ইতিহাস সমগ্র মুসলিম ইতিহাসে দ্বিতীয়টি নাই। এদিক দিয়েও বাঙালী মুসলিমগণ ইতিহাসে অনন্য। প্রশ্ন হলো, এ বিষয়গুলো কতটা গর্বের বা লজ্জার -তা নিয়ে বাঙালী মুসলিমদের ভাবনা বা মূল্যায়ন কতটুকু? ২৬/১২/২০২১

Post Tagged with

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *