করোনা ভাইরাসের বিপদ বনাম সেক্যুলারিজমের বিপদ
- Posted by ফিরোজ মাহবুব কামাল
- Posted on March 25, 2020
- Bangla Articles, Bangla বাংলা, ইসলাম
- No Comments.
বিপদ ঈমান বিলুপ্তির
জাতির ভয়ানক ক্ষতিটি শুধু করোনা ভাইরাস করছে না। করছে সেক্যুলারিস্টগণও। সে সাথে করছে ধর্মব্যবসায়ীগণ। করোনা ভাইরাস মৃত্যু দেয় বটে, কিন্তু কাউকে জাহান্নামে টানে না। বরং ঈমান ও এক্বীন থাকলে, করোনা ভাইরাসের মহামারি শহীদের মর্যাদা দেয়। করোনা ভাইরাস ভারতীয় হিন্দু ধর্মব্যবসায়ীদের বাজারে রমরমা এনেছে। করোনার প্রতিরোধের নামে তারা গো-মুত্র পান করাচ্ছে। এমনকি ভাইরাসের মুর্তি গড়ে সে মুর্তিতে পূজা দেয়াও শুরু করেছে। বিষয়টি হিন্দু ধর্মের সাপের মুর্তিতে পূজা দিয়ে বিষধর সাপকে বসে আনার ন্যায়। করোনাও এখন ভগবানের আসনে বসেছে। সে চিত্রটিও ভারত থেকে ছড়ানো সোসাল মিডিয়াতে দেখা গেল। বিপদ-আপদ দেখে মানুষের বিবেককে যেমন জাগ্রত হয়, তেমনি বিপদগামীও হয়। এ হলো তার নজির।
করোনার পাশাপাশি সেক্যুলারিস্টদের সৃষ্ট বিপদও কি কম ভয়ানক? তারা ভাইরাসের বিপদটি তুলে ধরছে বটে; কিন্তু ভাইরাসও মহান আল্লাহতায়ালার সৃষ্টি এবং এ মহামারীর পিছনে রয়েছে যে তাঁর নিজস্ব পরিকল্পনা–সে সত্যটিকে তারা আড়াল করছে। সেক্যুলারিস্টগণ বিপদকে মানতে রাজী, কিন্তু যে কারণে বিপদের আগমন তা নিয়ে ভাবতে রাজী নয়। যার পক্ষ থেকে এ মহাবিপদের আগমন তাঁকে মানতে রাজী নয়। সেক্যুলারিস্টদের মাঝে ভাইরাস নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে, কিন্তু ঘটনার গভীরে যাওয়ার আগ্রহ নাই। ভাইরাসের যিনি স্রষ্টা তিনি তাদের আলোচনায় নাই। অথচ ঘটনা যত তুচ্ছ, ক্ষুদ্র বা বিশাল হোক, তা এমনিতেই হয় না। সে ঘটনার পিছনে কাজ করে মহান আল্লাহতায়ালার ইচ্ছা। তাই করোনা ভাইরাসের যে মহামারি শুরু হয়েছে সেটিও মহান আল্লাহতায়ালার সৃষ্ট বিশ্বজগতের বাইরের কোন ঘটনা নয়, ফলে তার ইচ্ছার বাইরের বিষয়ও নয়। তাই এ করোনার মহামারিকে দেখতে হবে মহান আল্লাহতায়ালার উপর গভীর বিশ্বাসকে চেতনায় রেখে। বিপদের এ মুহুর্তে মহান আল্লাহর স্মরণ থেকে বিস্মৃত হওয়ার অর্থ মহান আল্লাহতায়ালার ইচ্ছা ও পরিকল্পনাকে অস্বীকার করা। সেটি কুফুরি। এ কাজ কাফেরদের যা জাহান্নামে নিয়ে পৌঁছায়।
ঈমানদারগণ সকল ঘটনার মধ্যেই মহান আল্লাহতায়লার ইচ্ছার প্রকাশ দেখতে পায়। এরূপ দেখার মধ্যেই ঈমানদারি। মহান আল্লাহতায়ালার ইচ্ছা ছাড়া মানুষের মৃত্যুর ন্যায় গুরুতর ঘটনা দূরে থাক, গাছের একটি পাতাও পড়ে না। তাঁর ইচ্ছা ছাড়া মানুষ যেমন বেঁচে থাকতে পারে না, তেমনি মরতেও পারে না। জন্মের ন্যায় মৃত্যুও মহান আল্লাহতায়ালার সৃষ্টি। সে ঘোষণাটি এসেছে সুরা মুলকের ২ নম্বর আয়াতে। এ পৃথিবী একমাত্র তাই ঘটে যা তিনি ঘটাতে চান। পবিত্র কোরআনে তাই বলা হয়েছেঃ “তোমরা যা চাও সেটি হয় না, আল্লাহ যা চান সেটিই হয়। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছু জানেন এবং প্রজ্ঞাময়।” –সুরা ইনসান (দাহর), আয়াত ৩০। হায়াত-মউত তথা মানব জীবনের প্রতিটি ঘটনার মাঝে ঘটে মহান আল্লাহতায়ালার ইচ্ছার প্রকাশ -সেটি বিশ্বাস করার মাঝেই প্রকৃত ঈমান। আল্লাহতায়ালা নয়, বরং মৃত্যু ঘটায় ভাইরাস -এরূপ বিশ্বাস হলো শিরক। এরূপ বিশ্বাস নিয়ে কেউ কি মুসলিম থাকে? নবীজী (সাঃ)র গুরুত্বপূর্ণ হাদীস হলো, সব গুনাহরই মাফ হতে পারে, কিন্তু মাফ নেই শিরকের গুনাহর। এমন বিশ্বাসধারীর কাফের হওয়ার জন্য কি মুর্তিপূজার প্রয়োজন পড়ে? মহামারি তাই শুধু মৃত্যু নিয়ে হাজির হয় না, হাজির হয় শিরক থেকে কে বাঁচার সামর্থ্য রাখে -সে পরীক্ষা নিয়েও।
চেতনার অঙ্গণে আল্লাহর স্মরণ থেকে এরূপ বিস্মৃতি তথা তাঁর উপর বিশ্বাসশূণ্যতার প্রবেশ ঘটায় সেক্যুলারিজম। ঘটনাকে তারা মহান আল্লাহর কুদরতের স্মরণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে। বিপদ এখানে করোনা ভাইরাসের মহামারির চেয়েও ভয়াবহ। করোনা ভাইরাস দেয় দেহের মৃত্যু, সেক্যুলারিস্টগণ দেয় ঈমানের মৃত্যু। ঈমানের সে মৃত্যু নিয়ে বেঈমান ব্যক্তিটি তখন জাহান্নামের অন্তহীন আযাবে গিয়ে হাজির হয়। সেক্যুলারিজমের মূল বিপদ এখানেই। সেক্যুলারিস্টগণ শুধু রাজনীতিকেই ইসলামশূণ্য করছে না, মুসলিমদের চেতনা থেকে বিলুপ্ত করছে মহান আল্লাহতায়ালার ভয় ও তাঁর প্রতি দায়বদ্ধতার ভাবনা। শুধু রাজনীতি ও শিক্ষা-সংস্কৃতির অঙ্গণে নয়, এমন কি চিকিৎসা বিজ্ঞানের অঙ্গণেও এরা ইসলামী চেতনার প্রবেশকে নিষিদ্ধ করেছে। এটিই হলো চেতনা বা ধ্যান-ধারণার সেক্যুলারাইজেশন। এভাবেই তারা বিপুল সংখ্যক মুসলিমদের কাফেরে পরিণত করছে। এভাবেই তারা বিপুল ভাবে বাড়িয়ে চলছে জাহান্নামমুখি পথচারিদের সংখ্যা। নবীজী (সাঃ)র যুগে মুর্তিপূজারী কাফেরগণ যা করতো তা করছে আধুনিক যুগের সেক্যুলারিস্টগণ।
সেক্যুলারিজম এক আদিম অজ্ঞতা
সেক্যুলারিজম কোন আধুনিক মতবাদ নয়, বরং এটি এক আদিম অজ্ঞতা। বহু হাজার পূর্বে এমন এক অভিন্ন ধারণা দেখা গেছে হযরত নূহ (আঃ)র পুত্রের মধ্যেও। নবীর পুত্র হয়েও ঘটনার মাঝে আল্লাহর কুদরতকে দেখার সামর্থ্য তার ছিল না। বৃষ্টির পানিতে মাঠ-ঘাট যখন তলিয়ে যাচ্ছে তখনও সে ভেবেছে উঁচু পাহাড় তাকে বাঁচাবে। প্লাবন যে মহান আল্লাহতায়ালা পক্ষ থেকে কাফেরদের ডুবিয়ে মারার আযাব -সেটি সে দেখতে পারিনি। ফলে সে তার পিতার নৌকা নির্মাণকে অহেতুক ও হাস্যকর মনে করেছে। সেক্যুলারিস্টদের সমস্যা, বিপদ-আপদগুলিকে তারা স্রেফ বিপদ-আপদ রূপেই দেখে; তাদের কাছে সুনামী, ভূমিকম্প ও করনোর মহামারী কেবল দুর্যোগই। এখানে অন্ধত্বটি মনের। মনের এরূপ অন্ধত্বের কারণে তারা দেখতে পায় না বিপদগুলির মহান স্রষ্টাকে। এবং তা নিয়ে তারা ভাবতেও চায়না। এখানেই তাদের বোধশূণ্যতা। আর এরূপ বোধশূণ্যতার আযাব হলো, তারা বঞ্চিত হয় ঈমানদার হতে এবং ধাবিত হয় জাহান্নামের দিকে।
মহান আল্লাহতায়ালার ঘোষণাঃ “নিশ্চয়ই জমিন ও আসমানের সৃষ্টি সৃষ্টি এবং রাত ও দিনের পালাবদলের মাঝে রয়েছে বোধসম্পন্ন মানুষের জন্য আল্লাহর নিদর্শন।” –(সুরা আল ইমরান, আয়াত ১৯০)। আল্লাহতায়ালার সৃষ্টি শুধু জমিন এবং আসমানই নয়, বরং প্রতিটি সৃষ্টি এবং প্রতি ধ্বংস কান্ডও। তাই তাঁর সুস্পষ্ট নিদর্শন শুধু তাঁর সৃষ্টির মাঝে নয়, আযাবের মাঝেও। তাই আল্লাহতায়ালাকে বিশ্বাস করলে বিশ্বাস করতে হয় তাঁর আযাবকেও। তবে আযাব আসে মানুষের নিজ হাতের কামাইয়ের শাস্তি রূপে। সেটি শুধু অপরাধীদের উপরই আসে না, যারা অপরাধীদের নির্মূল না করে তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তাদের উপরও। তাই আযাব শুধু ফিরাউনের উপর আসেনি, এসেছিল সাধারণ মিশরবাসীর উপরও। তাদের অপরাধ ছিল, ফিরাউনের ন্যায় এক দুর্বৃত্ত বিদ্রোহীকে রাজস্ব দিয়ে প্রতিপালন করতো। অথচ সে ভয়ানক পাপের কাজটি অধিকাংশ মুসলিম দেশগুলিতে আজও অতি ব্যাপক ভাবে হচ্ছে। ইসলামের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারি জালেম শক্তিবর্গের আজ যে রম রমা বিজয় তা তো জনগণের সহযোগিতা বা নিরবতার কারণেই। ফলে যে আযাব অতীতের জালেম শক্তি ও তাদের সহযোগিদের ঘিরে ধরেছিল তা আজ আসবে না সেটিই বা কীরূপে ভাবা যায়?
আযাব যে কারণে অনিবার্য হয়
বান্দার নেক আমলকে পুরস্কৃত করা এবং জুলুমের জন্য শাস্তি দেয়া মহান আল্লাহতায়ালার চিরাচরিত সূন্নত। তাই জুলুম হলো অথচ শাস্তি হলো না সেটি ঘটে না। পবিত্র কোর’আনে ফিরাউন ও মিশরবাসীর উপর আযাবের বর্ণনা এসেছে সুরা আল-আরাফে। মহান আল্লাহতায়ালার নিজের দেয়া সে বর্ণনাটি হলোঃ “অবশেষ আমি তাদের উপর প্লাবন, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ, রক্তধারার শাস্তি পাঠিয়ে কষ্ট দেই; এগুলো ছিল আমার সুস্পষ্ট নিদর্শন। কিন্তু তারা শেষ অবধি দাম্ভিকতায় মেতে রইলো। তারা ছিল একটি অপরাধী জাতি।” –সুরা আল আ’রাফ, ১৩৩। মহান আল্লাহতায়ালা এখানে স্বাক্ষ্য দিচ্ছেন, তাদের উপর আযাবের কারণ হলো, তারা ছিল অবাধ্য ও অপরাধী জাতি। হযরত মূসা (আঃ) যে দ্বীন নিয়ে এসেছিলেন তারা সেটি মানেনি। বরং ইতিহাস গড়েছিল বনি ইসরাইলীদের উপর বর্বর অত্যাচারে। তারা তাদের মেয়ে সন্তানদের জীবিত রাখতো দাসী রূপে ব্যবহারের জন্য এবং পুত্র সন্তানদের হত্যা করতো। এরূপ নৃশংস অপরাধই তাদের উপর আযাব নামিয়ে এনেছিল।
মহান আল্লাহতায়ালার তাঁর সূন্নতের প্রয়োগের প্রেক্ষাপটই এখানে সুস্পষ্ট। শিক্ষণীয় বিষয়টি হলো, যেখানেই মহান আল্লাহতায়ালার বিধানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ সেখানেই হাজির হয় তাঁর আযাব। ঈমানদারগণ প্রতিটি আযাবকে দেখে সে সূন্নতকে সামনে রেখে। লক্ষ্যণীয় হলো, যে দাম্ভিকতা এবং আল্লাহর বিরুদ্ধে যেরূপ বিদ্রোহ নিয়ে মেতেছিল ফিরাউন ও তার অনুসারীগণ, সে একই রূপ দাম্ভিকতা এবং বিদ্রোহে ডুবে আছে সমগ্র বিশ্ব। লক্ষাধিক নবী-রাসূল মারফত যে শিক্ষা ও বিধান মহান আল্লাহতায়ালা মানুষের কাছে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন -তা কোথাও আজ বেঁচে নাই। বনি ইসরাইলীদের মধ্যে যেমন হযরত মূসা (আঃ)য়ের উপর নাযিলকৃত শরিয়ত বেঁচে নাই, তেমনি বেঁচে নাই খৃষ্টানদের মাঝেও। তারা বাঁচছে মহান আল্লাহতায়ালার বিধানকে বাদ দিয়েই। তেমনি মুসলিমদের মাঝেও বেঁচে নাই মহান নবীজী (সাঃ)র প্রতিষ্ঠিত ইসলাম -যাতে ছিল ইসলামী রাষ্ট্র, শরিয়ত, হুদুদ, খেলাফত, জিহাদ এবং প্যান-ইসলামিক মুসলিম ভাতৃত্ব। দুর্বৃত্ত স্বৈরাচারি শাসক চক্রের হাতে অধিকৃত হয়েছে ইসলামের জন্মভূমি জাজিরাতুল আরবও। নবীজী (সাঃ)র এ পবিত্র ভূমির নামই শুধু তারা পাল্টে দেয়নি, পাল্টে দিচ্ছে তার শিক্ষা, সংস্কৃতি ও আইন-কানুন। পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অনুকরণে সেখানেও প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ক্লাব, নাইট ক্লাব ও সিনেমা হল।
শয়তানী শক্তির যুদ্ধ ও আল্লাহর সৈন্য
সামরিক শক্তি ও সম্পদ মানুষকে শয়তানের ন্যায় অহংকারি করে। তখন মন থেকে বিলুপ্ত হয় আল্লাহর ভয়। তাই প্রচণ্ড অহংকার চেপে বসেছে শক্তিশালী দেশগুলির শাসকদের মনে। তাদের অপরাধ কি ফিরাউনের চেয়ে কম? ফিরাউনের গণহত্যার শিকার হয়েছিল বনি ইসরাইলীগণ। তবে ফিরাউনের বাহিনীর হাতে যত মানুষ নিহত হয়েছিল তার চেয়ে শতগুণ বেশী মানুষ নিহত হয়েছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদি শক্তি ও তাদের দোসরদের হাতে। তাদের নৃশংস তান্ডবের কারণেই আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ার শত শত নগর আজ ধ্বংসপুরি। সেখানে নিহত হয়েছ ২০ লাখেরও বেশী মানুষ। নিজেদের ঘর-বাড়ী ছেড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ দেশে দেশে উদ্বাস্তুর বেশে ঘুরছে। অপরাধ এখানে সমগ্র বিশ্ববাসীর। কারো অপরাধ ঘটেছে সক্রিয় অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে, কারো ঘটেছে অপরাধ দেখেও নিরব ও নিষ্ক্রীয় থাকার মধ্য দিয়ে। এমন অপরাধ কি কখনো পুরস্কৃত হয়? বরং তা যে শাস্তি ডেকে আনবে –সেটি কি স্বাভাবিক নয়? ফলে শাস্তির যে এজেন্ডা নিয়ে অপরাধী মিশর বাসীর উপর প্লাবন, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ, রক্তধারা নেমে এসেছিল তেমন এজেন্ডা নিয়ে ভাইরাস বা অন্যকিছু আজও আবির্ভুত হতে পারে -তাতেই বা অবিশ্বাসে কি আছে?
যে অহংকার নিয়ে ইয়েমেনের বাদশাহ আবরাহার তার বিশাল হাতি-বাহিনী নিয়ে ক্বাবার উপর হামলার উদ্দেশ্য বেরিয়েছিল সে অহংকার আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা, কোথাও তারা ইসলামী রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হতে দিবে না। তার ও তার কোয়ালিশন পার্টনারদের আক্রোশটি নবীজী (সাঃ)র আমলের প্রতিষ্ঠিত ইসলামের মৌলিক বিধানগুলির বিরুদ্ধে। কোথাও সে বিধানগুলির প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হলে তার বিমান বাহিনী সে দেশকে গুড়িয়ে দিবে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ মূলতঃ মহান আল্লাহতায়ালার কোর’আনী ঘোষিত এজেন্ডার বিরুদ্ধে। এক কালে তারা কম্যুনিজমকে প্রতিদ্বন্দী জীবনাদর্শ মনে করতো। এখন মনে করে ইসলামকে। তাদের প্রকল্প একমাত্র পাশ্চাত্যের জীবনধারা, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতিকে বিশ্বময় প্রতিষ্ঠা দেয়া। সেখানে ইসলামের কোন স্থান নাই। ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধটিও তাই বিশ্বময়। অথচ যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সে প্রজেক্টের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে বহু মুসলিম রাষ্ট্রও।
আল্লাহতায়ালার বিরুদ্ধে চলমান এ যুদ্ধে তিনি তাঁর সৈন্যদের নামাবেন সেটিই স্বাভাবিক। আবরাহার বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র পাথর টুকরো মিজাইলে পরিণত হয়েছিল। তেমনটি আজও হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রচণ্ড অহংকার অস্ত্রের বিশাল ভান্ডার ও সম্পদ নিয়ে। অতিশয় গর্বিত বহু মুসলিম দেশ দখল ও দখলকৃত সে দেশগুলির অসংখ্য শহর ধ্বংস করায়। কিন্তু তা আজ ব্যর্থ হচ্ছে ক্ষুদ্র ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে। এ যুদ্ধে দেশটির এখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। কারখানাগুলি বন্ধ, বন্ধ করা হয়েছে অফিস-আদালত, বিমান যোগাযোগ স্থগিত এবং জনগণ গৃহবন্দী। দ্রুত নীচে নামছে অর্থনীতি। একই অবস্থা ইতালী, জার্মাানী, ফ্রান্স, স্পেন ও ইংল্যান্ডের। কয়েক সপ্তাহের যুদ্ধেই টালমাটাল অবস্থা। এ যুদ্ধ কয়েক মাস বা কয়েক বছর চললে অবস্থা কীরূপ হবে? আবরাহার বিশাল হাতির বাহিনীকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে কোন ট্যাংক বাহিনী বা বিমান বাহিনীর প্রয়োজন পড়েনি। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আবাবিল পাখি ও ছোট ছোট পাথর টুকরোই যথেষ্ট ছিল। বৃহৎ শক্তিবর্গের দর্প চুর্ন করায় তেমনি কাজ দিচ্ছে অতি ক্ষুদ্র করোনা ভাইরাস। আল্লাহ যে সর্বশক্তিমান এবং তাঁর পরিকল্পনাকে প্রতিহত করা যে মানুষের অসাধ্য -ক্ষুদ্র করোনা ভাইরাস সে সত্যটিকেই প্রবল ভাবে প্রমাণ করছে। ২৪/০৩/২০২০
ANNOUNCEMENT
ওয়েব সাইটটি এখন আপডেট করা হচ্ছে। আগের লেখাগুলো নতুন ওয়েব সাইটে পুরাপুরি আনতে কয়েকদিন সময় নিবে। ধন্যবাদ।
LATEST ARTICLES
- সেক্যুলারিস্টদের ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ এবং যুদ্ধ ইসলামের বিরুদ্ধে
- বাংলাদেশে হিফাজতে ইসলাম ও ইসলামের হিফাজতে ভয়ানক ব্যর্থতা
- তাবলীগ জামায়াত কতটা দূরে সরেছে ইসলাম থেকে?
- Bangladesh: A Tale of Success of a Robber and the Failure for the Opposition
- বাংলাদেশে সেক্যুলারিজমের তাণ্ডব এবং সংকটে বাংলাদেশের স্বাধীনতা
বাংলা বিভাগ
ENGLISH ARTICLES
RECENT COMMENTS
- Mohammad Arifur Rahman on জিন্নাহ’র সাদকায়ে জারিয়া ও মুজিবের গুনাহে জারিয়া
- সিরাজুল ইসলাম on জিন্নাহ’র সাদকায়ে জারিয়া ও মুজিবের গুনাহে জারিয়া
- Abdul Aziz on বিবিধ ভাবনা ৮২
- Fazlul Aziz on বাঙালি ও অবাঙালি মুসলিমের বৈষম্য এবং ফ্যাসিবাদী মিথ্যচার
- Fazlul Aziz on বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের তান্ডব: মুক্তি কীরূপে?
ARCHIVES
- March 2023
- January 2023
- December 2022
- November 2022
- October 2022
- September 2022
- August 2022
- July 2022
- June 2022
- May 2022
- April 2022
- March 2022
- February 2022
- January 2022
- November 2021
- October 2021
- September 2021
- August 2021
- July 2021
- June 2021
- May 2021
- April 2021
- March 2021
- February 2021
- January 2021
- December 2020
- November 2020
- October 2020
- April 2020
- March 2020
- February 2020
- January 2020
- December 2019
- November 2019
- October 2019
- September 2019
- August 2019
- July 2019
- June 2019
- May 2019
- April 2019
- March 2019
- February 2019
- January 2019
- December 2018
- November 2018