নব্য ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি এবং সকল ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তির দায়ভার

ফিরোজ মাহবুব কামাল

দেরী সহ্য হচ্ছে না বিএনপি’র

ক্ষমতার লোভ বিএনপিকে পাগল বানিয়ে ফেলেছে। খুনি হাসিনার পলায়নের পর নির্বাচন নিয়ে বিএনপি’র আর একটুও দেরী সহ্য হচ্ছে না। বিএনপি বুঝতে পেরেছে, তাদের জন্য ময়দান খালি। সেটি টের পেয়ে সম্প্রতি বিএনপি নেতা তারেক জিয়া দাবী করেছে, ডিসেম্বরে মধ্যে নির্বাচন দিতেই হবে। অথচ ছাত্ররা হাসিনাকে না সরালে বিএনপি আরো ৪ বছর বা তারও বেশী কাল নিশ্চুপ বসে থাকতো।  সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামানের দাবী, নির্বাচন ডিসেম্বর এর মধ্যে হতে হবে। ভারত সরকারও দাবী জানাচ্ছে বাংলাদেশে সত্বর নির্বাচন দিতে হবে। তাদের সবার দাবীর একটিই উদ্দেশ্য, সেটি হলো ইউনুস সাহেবকে তাড়াতাড়ি ক্ষমতা সরাতেই হবে। কথা হলো, ভারত যা চায় তা কি বাংলাদেশের জন্য কল্যাণকর হয়?

বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ঘোষণা দিয়েছেন, সরকার নির্বাচনের তারিখ না দিলে তারা নিজেরাই নির্বাচনের তারিখ দিবে। হুমকি দিচ্ছে, সরকারের নির্বাচনের রোড ম্যাপ না দিলে বিএনপি আন্দোলনে যাবে। লক্ষণীয় হলো, ফ্যাসিস্ট  হাসিনাও এরকম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আস্ফালন কখনো করেনি যে, নির্বাচনের দিন তারাই ঠিক করবে। এটি তো নব্য ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি। ফ্যাসিবাদীরা কখনো অন্যদের মতামতের গুরুত্ব দেয়না। নিজেরা যা চায় -সেটিই চাপিয়ে দিতে চায়। ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে শেখ মুজিবের সমালোচনা করা যেতনা। বিএনপি চাচ্ছে জিয়ার সমালোচনা করা যাবে না।   

ইতিমধ্যে দেশের নানা স্থানে ফ্যাসিবাদী তান্ডব পুরাদমে শুরু হয়ে গেছে। দেশের সর্বত্র চলছে ব্যাপক চাঁদাবাজী। দখলদারী চলছে বাসস্টান্ড‌, টেম্পু স্টান্ড, রিকশাস্টান্ড, নদীর ঘাট, নদীর বালি ও  হাট বাজারের উপর। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অধিকাংশ গরুর হাটের দখল নিয়েছে বিএনপি’র চাঁদাবাজরা। বিএনপি’র নেতাকর্মীদের কাছে চাঁদাবাজী কোন ইস্যু নয়। সংস্কারও কোন ইস্যু নয়। খুনিদের বিচার নিয়ে তাদের তাগাদা নেই। ইস্যু একমাত্র নির্বাচন।  

বিএনপি নেতা ইশরাক হাজার হাজার সমর্থক নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল গায়ের জোরে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদ দখলের জন্য। ঢাকাকে অচল করার হুমকিও দিয়েছিল। হাসিনার আমলে অনুষ্ঠিত মেয়র নির্বাচনকে অবৈধ বল্লেও দাবী তুলেছিল মেয়র পদটি তাকে দিতেই হবে। এ থেকে বুঝা যায় ক্ষমতার জন্য বিএনপি কতটা পাগল।

 

নির্বাচনে জনগণের কি লাভ?

নির্বাচন হলে বিএনপির বিশাল লাভ। কিন্তু তাতে জনগণের কি লাভ? নির্বাচন হলে বিএনপি জিতবে এবং ক্ষমতায় যাবে। বাংলাদেশে নির্বাচনে জিততে লাগে হাজার কোটি টাকা, লাগে বিশাল গুণ্ডা বাহিনী, লাগে মিডিয়া, লাগে প্রশাসনিক সহায়তা। বিএনপির হাতে এর সবকিছুই আছে। পুলিশ প্রাশাসন বুঝতে পারছে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসছে। ফলে এখন থেকেই তারা বিএনপি’র দলীয় বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। ফলে চাঁদাবাজদের দমনে প্রশাসন কোন উদ্যোগই নিচ্ছে না। নির্বাচন কালেও তারা যে বিএনপিকে ভোটচুরি ও ভোটডাকাতিতে সর্বপ্রকার সহায়তা দিবে -তা নিয়ে কি কোন সন্দেহ আছে? এখন পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে পুলিশ ও প্রশাসন বিএনপি কর্মীদের গলার রশি ঢিল করে দিয়েছে। ফলে আওয়ামী গুণ্ডারা যেরূপ চাঁদাবাজী করতো তার চেয়ে বেশী তীব্রতা নিয়ে এখন বিএনপির গুণ্ডারা ময়দানে নেমেছে। ক্ষমতায় গেলে তাদের পোয়া বারো। তখন দলটির নেতাকর্মীগণ চাঁদাবাজীতে পুলিশী প্রটেকশন পাবে। সুযোগ পাবে রাজস্ব ভাণ্ডার ও প্রকল্পের বরাদ্দের উপর শত শত কোটার চাদাবাজীর -যা এতো কাল আওয়ামী লীগ আমলে হয়েছে। ডাকাতী হবে তখন সরকারি রিজার্ভ ও ব্যাংকগুলোর উপর। বিএনপি’র নজর তো সেগুলির দিকেই। তাই দেরী সইছে না, দ্রুত নির্বাচন চায়।   

অতীতের নির্বাচনের ফলাফল জনগণ স্বচোখে দেখেছে। অতীতের কোন নির্বাচনই সুফল দেয়নি।  ১৯৭০ সালে নির্বাচনে ভোট দিয়ে পেয়েছিল বাকশালী ফ্যাসিস্ট মুজিবকে। তাকে বিজয়ী করাতে জনগণকে হারাতে হয়েছিল গণতন্ত্রকে। নিষিদ্ধ হয়েছিল সকল রাজনৈতিক দল। সোনার বাংলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিলেও মুজিব দিয়েছিল ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ -যাতে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল খুনি ফ্যাসিস্ট হাসিনা। তার মাধ্যমে জনগণ পেয়েছে গুম, খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাস, গণহত্যা, ফাঁসি ও আয়না ঘরের নৃশংসতা। নির্বাচনের মাধ্যমেই পেয়েছিল বিএনপির খালেদা জিয়াকে। খালেদা জিয়া তার শাসনামলে বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চারবার বিশ্বের প্রথম স্থানে পৌঁছে দিয়েছিল। তার সময়ে বিএনপির প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মাগুরার একটি আসে ভোট কারচুপি করা হয়। তখন থেকেই দাবী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের। খালেদা জিয়ার আমলের বিএনপি ঘরানার বিচারপতিকে তত্ত্ববধায়ক  সরকারের প্রধান বানানোর লক্ষ্যে বিচারপতির চাকুরীর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। এসবই দুর্বৃত্তি। ভবিষ্যতেও কি তারা কোন সুনীতি দিবে? সে সামর্থ্য কি দলটির আছে?

 

আন্দলনের ফসল ও জনগণের দায়

২০২৪ সালে বিনা ভোটে এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণ সরকার প্রধান রূপে পেয়েছে প্রফেসর ইউনুস সাহেবের মত একজন বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তিকে। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর বিগত ৫৪ বছরে তাঁর মত যোগ্য ব্যক্তি কখনোই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। এর আগে এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে জনগণ পেয়েছিল বিচারপতি শাহাবুদ্দীনের মত সৎ ব্যক্তিকে। তবে প্রতি আন্দোলনের ন্যায় এবারো হাসিনার ন্যায় জনগণের শত্রু তাড়ানো সম্ভব হলেও সরানো সম্ভব হয়নি প্রশাসনের গভীর বসে থাকা তার অপরাধের দোসরদের। ফলে প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, মিডিয়াতে রয়ে গেছে ১৬ বছরের অপরাধের সহযোগীরা। তারা ইউনুস সরকারকে সহযোগিতা করছে না। তবে তাদের অসহযোগিতা সত্ত্বেও ইউনুস সরকারের সাফল্য অতীতের যে কোন সরকারের চেয়ে বহুগুণ ভাল। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। রেমিট্যান্স বেড়েছে। বিদেশী মূদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। জনগণ ও মিডিয়া স্বাধীনতা পেয়েছে। অর্থপাচার বন্ধ হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন হলো, ইউনুস সরকারকে সরকারকে হঠাতে হবে কেন? ইউনুস সাহেব ভোটের মাধ্যমে আসেনি -এটিই কি ইউনুস সাহেবে অপরাধ? 

ভোটের কেরামতি তো জনগণ অতীতে বহুবার দেখেছে। কিন্তু এবার ভোট ছাড়াই পেয়েছে প্রফেসর ইউনুস সাহেবকে। আগামী নির্বাচনে তাঁর মত বিখ্যাত ব্যক্তি নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি? তবে কেন জনগণ নির্বাচন চাইবে? যে চেয়ারে বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তি প্রফেসর ইউনুস সাহেব বসেছেন, সেখানে বিএনপি তারেক জিয়াকে বসাতে চায়। প্রশ্ন হলো, তারেক জিয়া কি ইউনুস সাহেবের বিকল্প হতে পারেন? তাঁর চেয়ারে বসার যোগ্যতা কি তারেক জিয়ার আছে? তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা কি? তাঁর প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাই কি? আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ইউনুস সাহেব যে মর্যাদা, সেটি কি তারেক জিয়ার আছে? এ কথা সত্য, যে ইউনুস সাহেবের জায়গায় তারেকরা বসলে বিএনপি নেতা কর্মীগণ প্রচণ্ড সুবিধা হবে।‌ তারা অতি দ্রুত শত শত কোটি টাকার মালিক হবে। ‌ কিন্তু তাতে জনগণের কি লাভ? 

প্রফেসর ইউনুস সাহেবকে হটিয়ে তারেক জিয়াকে বসালে দুনিয়ার মানুষ শুধু হাসবেই না, বাংলাশীদের কান্ডজ্ঞান শূন্য বেওকুফ বলবে। কারণ যোগ্যবানকে কদর না করা তো বেওকুফদের কাজ। বিএনপি কি বিশ্ববাসীর সামনে বাংলাদেশীদের বেওকুফ বানাতে চায়?   

বিশ্বের বুকে রাষ্ট্রের সংখ্যা প্রায় ২০০টি। জাতিসংঘের সদস্য দেশ ১৯৩টি।‌ নিঃসন্দেহে বলা যায়, বিশ্বের ২০০ জন রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে ইউনুস সাহেবই হলেন সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। বাংলাদেশের জনগণকে কি পাগলা কুকুরে কামড়িয়েছ যে প্রফেসর ইউনেসকে হটিয়ে তারেক জিয়ার মত লোককে শাসন ক্ষমতায় বসাবে। বিএনপির নেতা কর্মীরা কি বাংলাদেশের জনগণকে পাগল মনে করে? জনগণ আন্দোলন করে যেমন ইউনুস সাহেবকে বসিয়েছে তেমনি আন্দোলনে নামতে হবে তাকে ক্ষমতায় রাখতে। নইলে দেশ দুর্বৃত্তদের দখলে চলে যাবে -যেমন গিয়েছিল হাসিনার আমলে। কারণ আওয়ামী ডাকাতদের ন্যায় বিএনপি’র ডাকাতদেরও সামর্থ্য রয়েছে ভোটডাকাতির। ভারত তাদেরকে হাজার হাজার কোটি টাকা দিতে রাজী। কারণ বাংলাদেশ দখলের লক্ষ্যে সীমান্ত যুদ্ধের চেয়ে দালালদের দিয়ে দখলে কম খরচ পড়বে। ভারত সেটি বুঝে। হাসিনার বিদায়ের পর বিএনপি যে ভারতে দল -সেটি এখন স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগের মত তারাও যুদ্ধ শুরু করেছে ইসলাম ও ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে।        

 

মহাজোট গড়তে হবে নব্য ফ্যাসিস্টদের প্রতিরোধে

ফ্যাসিস্ট হাসিনার দুঃশাসন শেষ হয়েছে। শূন্যস্থান দখল করতে যাচ্ছে নব্য ফ্যাসিবাদী বিএনপি। বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মুখে এখন একই ভাষা, একই বয়ান, একটি হিংস্রতা -যা এতো কাল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মুখে শোনা যেত। হাসিনার মত এই নব্য ফ্যাসিস্টগণ্য যুদ্ধ শুরু করেছে ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে। যারা ইসলামপন্থী তাদেরকে এরা রাজাকার আখ্যায়িত করে দেশ ছাড়তে বলছে। যেন দেশটিতে বসবাসের অধিকার একমাত্র তাদেরই। যেন ইসলামপন্থীদের এদেশে বসবাস ও রাজনীতির অধিকার নাই। ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই যাদের এতো নির্মূলমুখী ঔদ্ধত্য -তাদেরকে রুখতেই হবে। এ দায়িত্ব নিতে হবে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল দলগুলোকে। 

অতীতে ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের অনৈক্যের সুযোগ নিয়েই ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার নৃশংস শাসনকে চাপিয়ে দিয়েছিল। এখন সেই একই আশংকার মুখে বাংলাদেশ। এ মুহুর্তে ফ্যাসিবাদ বিরোধী দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হলে তা ভয়ানক বিপর্যয় বাড়াবে। জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির,  ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, এন সি পি, হেফাজত ইসলামীপহ সকল ফ্যাসিবাদ বিরোধী দলকে এক মহাজোট গঠন করতে হবে। আগামী নির্বাচনে তারা একতাবদ্ধ থাকলে, তারাই বিজয়ী হবে। বিভক্ত হলে ফ্যাসিস্টদের শাসন আবার ফিরে আসবে। তখন তাদের উপর নির্যাতন নেমে আসবে ভয়ানক। বুঝতে হবে সব নেকড়েই সমান হিংস্র। তেমনি সব ফ্যাসিস্টই সমান নৃশংস। মুসলিমদের মাঝে বিভক্তি গড়া সব সময়ই কবিরা গুনাহ। রাজনীতির এ সংকট কালে ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের মাঝে বিভক্তি ভয়ানক আযাব ডেকে আনবে। তখন চেপে বসবে আরেক ফ্যাসিবাদ।

 

আগামী ৫ বছর ক্ষমতায় রাখতে হবে প্রফেসর ইউনুসকে

প্রফেসর ইউনুসের চেয়ে যোগ্য ব্যক্তি ক্ষমতাপাগল বিএনপি’র ভাণ্ডারে নাই। তাই বিএনপিকে ক্ষমতায় আনা জনগণের লক্ষ্য হতে পারেনা। এটি হবে আত্মঘাতী। তাই যারা দেশের কল্যাণ চায় তাদেরকে দলীয় বিবেচনার উর্দ্ধে উঠতে হবে। এ মুহূর্তে লক্ষ হতে হবে, ইউনুস সাহেবকে অন্তত পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় রাখা। ইউনুস সাহেবের মাধ্যমে বাংলাদেশীদের সামনে যে মহা সুযোগ এসেছে, এটাকে হেলায় হারানো যাবে না। বুঝতে হবে, ইউনুস সাহেবের বিকল্প কখনোই বিএনপি’র তারেক জিয়া বা মীর্জা ফখরুল হতে পারে না।

বিএনপি একটি পরীক্ষিত দল। ক্ষমতা থাকার জন্য এ দলটি অতীতে বহু অন্যায় কাজ করেছে। খালেদা জিয়ার সরকার দুর্নীতির প্লাবন এনেছিল। তার শাসনামলে বিএনপির নেতাকর্মীরা রেলের জমি, সরকারি বনভূমি, রাস্তার গাছ ও নদীর তীরের উপর ডাকাতি করেছে।  ক্ষমতায় থাকতে এরা মাগুরার উপনির্বাচনে কারচুপি করেছিল -যা থেকে বাঁচতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী নিয়ে সকল বিরোধী দলকে মাঠে নামতে হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান বিএনপির সমর্থক হবে -সে লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে খালেদা জিয়া প্রধান বিচারপতির চাকুরি মেয়াদ বাড়াতে আইন সংশোধন করেছিল। এবং পথ উন্মুক্ত করেছিল সামরিক ক্যু’র।      

এখন এটি পরিষ্কার, ক্ষমতার লোভে বিএন‌পি যা ইচ্ছে তাই করতে পারে -যেমনটি করেছে হাসিনা। ফলে আমরা নিজ হাতে নিজেদের পায়ে কুড়াল মারতে পারিনা। আমার এই নব্য ফ্যাসিস্টদের ক্ষমতায় আসতে দিতে পারিনি। আমাদের সামনে প্রফেসর ইউনুসের যে উত্তম ব্যক্তি নাই। তাই তাকে না সরিয়ে বরং দোয়া করতে হবে,  করুণাম আল্লাহ তায়ালা যেন ইউনুস সাহেবের হায়াত বাড়িয়ে দিন এবং তাকে আমাদের দেশের খেদমত করার সুযোগ দিন। এমন কামনা প্রতিটি বাংলাদেশীর হওয়া উচিত। আসুন আমরা সবাই একতাবদ্ধ হয়ে তাঁর হাতকে মজবুত করি। তাঁর কোন রাজনৈতিক দল নাই। ‌ আমরা জনগণই তাঁর রাজনৈতিক শক্তি। আমরা যদি আমাদের নিজেদের ভালো নিজেরা না বুঝি তাহলে আমাদেরকে আর কে সাহায্য করবেন? আমাদের এখন পরীক্ষা দেয়ার সময়। পরীক্ষা দিতে হবে আমরা কতটা দেশপ্রেমিক। পরীক্ষা দিতে হবে, দলীয় স্বার্থে উর্দ্ধে উঠে আমরা দেশের স্বার্থ নিয়ে ভাবতে পারি। ০৩/০৬/২০২৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *