বিবিধ ভাবনা (৪৪)
- Posted by ফিরোজ মাহবুব কামাল
- Posted on April 18, 2021
- Bangla Articles, Bangla বাংলা, সমাজ ও রাজনীতি
- 1 Comment.
ফিরোজ মাহবুব কামাল
১. বাংলাদেশে দুর্বৃত্ত শাসন ও অসভ্য রীতি
যে কোন সভ্য দেশে চোরডাকাত-ভোটডাকাতদের ন্যায় দৃর্বৃত্ত ও অপরাধীদের জেলে বন্দী করা হয়। দেশকে অসভ্য ও অপরাধীদের হাত থেকে বিপদমুক্ত রাখা্র এটিই হলো সভ্য রীতি। কিন্তু বাংলাদেশে যা ঘটছে তা হলো সম্পূর্ণ উল্টো। এদেশে চোরডাকাত-ভোটডাকাত, খুনি, ধর্ষক ও সন্ত্রাসীদের শাস্তি হয়না। তাদের জেলে নেয়া হয় না। ছাত্রলীগের জসিমুদ্দীন মানিক তাই জাহাঙ্গির নগর বিশ্বিদ্যালয়ে ধর্ষণে সেঞ্চুরি করেও কোন শাস্তি পায়নি। জেনারেল আজিজের ভাই খুনের অপরাধে জেলে গিয়েও বেকসুর মুক্তি পেয়েছে। বরং জেল হয়, হত্যা বা গুম করা হয় এবং রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয় তাদের যারা চোরডাকাত-ভোটডাকাত দৃর্বৃত্তদের নিন্দা করে এবং রাজপথে তাদের নির্মূলের দাবী তুলে। আবরার ফাহাদ লাশ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্টাটাস দেয়ায়। দেশ দখলে গেছে অপরাধীচক্রের সিন্ডিকেটের হাতে। তারা চায়, বাংলাদেশকে বিশ্বমাঝে সবচেয়ে অসভ্য দেশ বানাতে। এবং সে কাজে তারা সাফল্য যে বিশাল–সে প্রমাণও কি কম?
যে কোন সভ্য মানুষের স্বভাব হলো, অসভ্য ও দুর্বৃত্তদের নির্মূলে তাঁর আপোষহীন। অথচ অসভ্য সমাজে তাদের নির্মূল না করে প্রতিপালন দেয়া হয়। শেখ হাসিনার অপরাধ এক্ষেত্রে অতি ভয়ানক। সে শুধু গণতন্ত্রকেই কবরে পাঠায়নি, ভদ্র রীতি-নীতিকেও কবরে পাঠিয়েছে। দেশ পরিণত হয়েছে গহীন জঙ্গলে। জঙ্গলে যেমন হিংস্র পশুগণ নিরাপত্তা পায় ও প্রাণ হারাম নিরস্ত্র মানুষ, বাংলাদেশেও তেমনি নিরাপত্তা পায় হিংস্র দুর্বৃত্তগণ ও লাশ হয় আবরার ফাহাদগণ। আল জাজিরা ডক্যুমেন্টারী চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ ও তার ভাইদের খুনখারাবী ও দুর্বৃত্তির কাহিনী। কিন্তু সরকার কাউকেই শাস্তি দেয়নি। সে কাজে হাসিনা সরকারের সামান্যতম আগ্রহও নাই। জেনারেল আজিজ তার পদে এখনো আসীন। শাস্তি থেকে মুক্ত তার খুনি ভাইগণও। কোন সভ্য দেশে কি এরূপ অসভ্য রীতি আশা করা যায়?
আওয়ামী বাকশালীদের সবচেয়ে জঘন্য নাশকতাটি এই নয়, তারা চুরিডাকাতি, ভোটডাকাতি, গুম-খুন, ধর্ষণ ও সন্ত্রাসের ন্যায় দুর্বৃত্তিকেই প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। বরং সবচেয়ে বড় দুর্বৃ্ত্তি ও নাশকতাটি হলো, মানব সমাজে হাজার হাজার বছর ধরে যে অপরাধগুলি ঘৃণিত হয়ে আসছে -সে গুলিকে ঘৃণা করাও দন্ডনীয় অপরাধে পরিণত করেছে। ধ্বংস করেছে মানুষের বিবেকবোধকে। হিংস্র পশুরা প্রাণ সংহার করলেও এরূপ বিবেক হত্যা করে না। বাংলাদেশীদের সামনে মূল ইস্যু তাই স্রেফ গণতন্ত্র বাঁচানো নয়, বরং সেটি অসভ্যদের নির্মূলের।
২. জিহাদ কী?
জিহাদ হলো অন্যায়ের নির্মূল (নেহী আনিল মুনকার) ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা (আ’মিরু বিল মারুফ) –পবিত্র কোর’আনে নির্দেশিত এ মিশন নিয়ে বাঁচার আপ্রাণ প্রচেষ্টা। এটি হলো সকল অনৈসলামিক বিধান নির্মূল করে আল্লাহর শরিয়তি বিধানকে বিজয়ী করার আমৃত্যু লড়াই। এটি বস্তুত একটি রাষ্ট্রকে ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করার যুদ্ধ। এরূপ জিহাদে ঈমানদারগণ বিনিয়োগ করে তাদের অর্থ, শ্রম, মেধা ও রক্তের। এটিই হলো নবীজী (সা:) ও সাহাবাদের অনুসৃত ইসলাম। ব্যক্তির পরিশুদ্ধির জন্য ইসলামের প্রেসক্রিপশন হলো নামায, রোযা, হজ্জ ও যাকাত। আর সমাজ ও রাষ্ট্রের পরিশুদ্ধির জন্য প্রেসক্রিপশন হলো জিহাদ। তাই যে দেশে জিহাদ না্ই সে দেশে নামাযী, রোযাদার, হাজী, তাবলিগী ও মসজিদ-মাদ্রাসা বিপুল সংখ্যায় হলেও সে দেশ দুর্বৃত্তিতে ভরে যায়। বাংলাদেশে হলো তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
অনেকে যে কোন উত্তম কর্মে প্রচেষ্টা করাকে জিহাদ বলে। সেটি ঠিক নয়। হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ ও রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই অনেক কাফের, ফাসেক ও মুশরিকগণও করে। কিন্তু সেগুলি জিহাদ হয়না। জিহাদী হতে হলে প্রথমে ঈমানদার হতে হয়। মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোর’আনে জিহাদকে “জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ” অর্থাৎ আল্লাহর পথে জিহাদ বলে উল্লেখ করেছেন। কোন কিছু মহান আল্লাহতায়ালার পথে হওয়ার অর্থ, সে কর্মের মধ্যে থাকতে হবে তাঁর এজেন্ডাকে বিজয়ী করার নিয়েত। পবিত্র কোর’আনে এরূপ জিহাদের কথা বার বার বলা হয়েছে। জিহাদ ইসলামের কোন পৃথক স্তম্ভ নয়; বরং মিশে থাকে ঈমানের মাঝে। জিহাদ ঈমানের এতটাই অবিচ্ছদ্দ্য অঙ্গ যে, সুরা হুজরাতের ১৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে ঈমানের দাবীতে একমাত্র তারাই সাচ্চা যাদের মাঝে রয়েছে জান ও মালের জিহাদ।
তাই শুধু ঈমানের দাবী করলেই কেউ ঈমানদার হয়না, সাথে জিহাদও থাকতে হয়। এ নিয়ে সম্পূরক হাদীস রয়েছে নবীজী (সা:)’র। নবীজী (সা:)বলেছেন, যে ব্যক্তি জিহাদ করলো না, এবং জিহাদের নিয়েতও করলো না, সে ব্যক্তি মুনাফিক। -(মুসলিম শরীফ)। তাই নবীজী (সা:)’র প্রত্যেক সাহাবার জীবনে জিহাদ ছিল এবং শতকরা ৬০ ভাগের বেশী সাহাবা শহীদ হয়েছেন। সমাজে পরিশুদ্ধি এসেছিল জিহাদের বিনিময়ে। পবিত্র কোর’আনে এ ঘোষণাও বার বার দেয়া হয়েছে, “ঈমান এনেছি এ কথা বললেই কি ছেড়ে দেয়া হবে এবং পরীক্ষা নেয়া হবে না?” ঈমানের সে পরীক্ষাটি হয় জিহাদের ময়দানে। যারা জিহাদে শহীদ হয় তাদেরকে জীবিত বলা হয়েছে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। তাই যে ইসলামে জিহাদ নাই সেটি নবীজী (সা:)’র ইসলাম নয়। সেটি ভন্ডদের বানাওয়াট ইসলাম।
৩. কোর’আনের মর্যাদা
মহান আল্লাহতায়ালা সন্তান-সন্ততি, পানাহার ও বিপুল সম্পদ কাফেরদেরও দেন। তবে মানব জাতির জন্য তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ দানটি হলো পবিত্র কোর’আন। এবং এ কোর’আন থেকে ফায়দা নেয়ার যোগ্যতা রাখে কেবল ঈমানদারগণ। কোন কিছুই জান্নাতে নিবে না, নিবে একমাত্র পবিত্র কোর’আন। পবিত্র কোর’আন হলো মহান আল্লাহতায়ালার নিজের ভাষায় “হাবলিল্লাহ” তথা আল্লাহর রশি। যারা এ রশিকে আঁকড়ে ধরবে তাঁরাই পাবে জান্নাতের পথ। নইলে অনিবার্য হয় জাহান্নাম। তাই ঈমানদারদের উদ্দেশ্যে সুরা আল ইমরানে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, “সবাই মিলে আঁকড়ে ধরো আল্লাহর রশিকে এবং পরস্পরে বিচ্ছন্ন হয়ো না।” কোর’আন আঁকড়ে ধরার অর্থ হলো কোর’আনের অনুসরণ।
এ বিশ্ব চরাচরে মহান আল্লাহতায়ালার অসংখ্য বিস্ময়কর সৃষ্টি। সেগুলি নিরবে সাক্ষ্য দেয় তাঁর অস্তিত্বের পক্ষে। এবং মহান আল্লাহতায়ালা নিজে কথা বলেন পবিত্র কোর’আনের মাধ্যমে। তাই যারা মহান আল্লাহতায়ালার প্রকৃত আশেক তারা কোর’আন থেকে তাঁর সে কথাগুলি বুঝার জন্য পাগল। কে জান্নাতে পথ পাবে এবং কে জাহান্নামে যাবে -তা নির্ভর করে কোর’আন বুঝা ও তা অনুসরণের উপর। মানব জীবনে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তাই ওহী নাযিল শুরু হওয়ার পর মুসলিমদের উপর কোর’আন বুঝাকে সর্বপ্রথম ফরজ করা হয়েছিল। নামায-রোযা ফরজ হয়েছিল তার ১১ বছর পর। তাই ইবাদত শুধু নামায-রোযা ও হজ্জ-যাকাত নয়, সেটি কোর’আন বুঝাও। এবং বুঝতে হবে, মহান আল্লাহতায়ালা কি বলেন -তা না বুঝে তেলাওয়াতে জানা যায় না। ফলে তাতে জ্ঞানার্জনের ফরজও আদায় হয়না।
৪. তামাশা ইসলাম নিয়ে
ইসলাম নিয়ে প্রচুর তামাশা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ওমুক দোয়া পাঠ করলে জান্নাতের ৮টি দরজা খুলে দেয়া হবে। স্রেফ দোয়া পাঠের মধ্যে জান্নাতপ্রাপ্তির প্রতিশ্রুতি শোনানো হচ্ছে। রমযান মাসে সে কথাগুলো আরো বেশী বেশী শোনানো হয়। এটি এক বিশাল ব্যাপার। সেটি সত্য হলে সে বিশাল ঘোষণাটি আসা উচিত ছিল মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে পবিত্র কোর’আনে। কিন্তু সে বিষয় নিয়ে পবিত্র কোর’আনে কোন ঘোষণাই নাই। অথচ দোয়া কবুলের ব্যাপারে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারায় বলা হয়েছে, মহান আল্লাহতায়ালা তাঁর বান্দার দোয়া অবশ্যই শোনেন। তবে দোয়া করলেই তা কবুল হয় না এবং জান্নাতের দরজাও খুলে দেয়া হয়না। দোয়া কবুলের শর্ত হলো, দোয়াকারী বান্দা মান্য করবে তাঁর কোর’আনে ঘোষিত কথাগুলো। মহান আল্লাহতায়ালার কথা মান্য করার অর্থ, তাঁর বিধানকে নিজ জীবনে ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা দেয়ায় আত্মনিয়োগ করা।
পবিত্র কোর’আনে তাই বার বার বলা হয়েছে, জান্নাত পেতে হলে জিহাদের ময়দানে জান ও মালের পরীক্ষায় অবশ্যই পাশ করতে হবে। প্রশ্ন হলো, স্রেফ দোয়া পাঠে কি জান ও মালের সে কাঙ্খিত পরীক্ষাটি হয়? তাছাড়া দোয়া কবুলের আগে দেখা হয়, কতটা মানা হচ্ছে মহান আল্লাহতায়ালার কথাগুলো রাজনীতিতে জাতীয়তাবাদী, আদর্শে সেক্যুলারিস্ট, সংস্কৃতিতে হিন্দুয়ানী, অর্থনীতিতে সূদ-ঘুষ, আদালতে কুফরি আইন, ব্যবসার নামে বেশ্যাবৃত্তি এবং শিক্ষা-দীক্ষায় কোর’আন-বর্জন –এগুলি তো বিদ্রোহের আলামত। এরূপ বিদ্রোহীদের দোয়া কি মহান আল্লাহতায়ালা কখনো কবুল করেন? বিদ্রোহীদের জন্য যা বরাদ্দ তা তো আযাব ও অপমান।
তাছাড়া মুসলিম বিশ্ব জুড়ে দোয়া কি কম হচ্ছে? চোখের পানিও কি কম ফেলা হচ্ছে? প্রতি নামাযে দোয়া। রোযা কালীন দোয়া। হজ্জে গিয়ে দোয়া। প্রতি বছর ২০ লাখের বেশী মুসলিম চোখের পানি ফেলছে দোয়া কবুলের স্থান আরাফার ময়দানে দাঁড়িয়ে। কিন্তু দোয়া কবুলের আলামত কই? দোয়া কবুল হলে কি মুসলিম ভূমি শত্রুদের হাতে অধিকৃত হতো? বিধ্বস্ত হতো কি মুসলিম নগর-বন্দর ও গ্রাম? নিহত, ধর্ষিতা ও নিজ ঘর থেকে বহিস্কৃত হতো কি মুসলিম নর-নারী?
৫. গাদ্দারী নিয়ামতের সাথে
প্রতিটি মানুষকে মহান আল্লাহতায়ালা নানাবিধ সামর্থ্য দেন -যা দিয়ে সে নিজেকে জান্নাতের যোগ্য রূপে গড়ে তুলতে পারে। প্রকৃত বুদ্ধিমান তো তারাই যারা সে সামর্থ্যকে কাজে লাগায় মহান আল্লাহতায়ালার কাছে প্রিয় হওয়ার জন্য। এবং সবচেয়ে বড় আহাম্মক হলো তারা্ যারা সে সামর্থ্যকে কাজে লাগায় অর্থপূজা, নেতাপুজা, দলপূজায়, পেশাপূজা ও দেশপূজায়। মহান আল্লাহতায়ালার দেয়া নিয়ামতের সাথে এর চেয়ে বড় গাদ্দারী আর কি হতে পারে? বস্তুত এরূপ গাদ্দারীই ব্যক্তিকে জাহান্নামের উপযোগী করে।
৬. ছোট লোকের ছোট ভাবনা
কে কতটা মহান ও ক্ষুদ্রতর –সেটি দেখা যায় তার বাঁচার এজেন্ডার দিকে নজর দিলে। ঈমানদার বাঁচে ইসলামকে বিজয়ী করার প্রবল বাসনা নিয়ে। সে কাজে সে তাঁর সকল সামর্থ্যের বিনিয়োগ করে। কিন্তু যাদের জীবনে এরূপ মহান কিছু করার সামর্থ্য ও ইচ্ছা থাকেনা তাঁরাই বাঁচে অর্থপূজা, ব্যক্তিপূজা, ফেরকাপূজা ও দলপূজা নিয়ে। তারাই প্রচন্ড স্বার্থপর ও চিন্তা-চেতনায় ছোটলোক হয়। বাংলাদেশে এদের সংখ্যা বেশী। ফলে দেশটিতে ইসলামকে বিজয়ী করার কাজে জনবলের দারুন অভাব। এবং লোকবলের বড্ড অভাব স্বৈরাচারমুক্ত সভ্যতর সমাজ গড়ার কাজেও। এদের কারণে বিপুল হারে ভোটডাকাত, চোরডাকাত, গুন্ডা, ধর্ষক ও সন্ত্রাসীর ভীড় দেখা দেয় হাসিনার ন্যায় স্বৈরাচারীর শিবিরে।
৭. ঝান্ডা বিদ্রোহের
ঈমান ও মহান আল্লাহতায়ালার ভয় সুস্পষ্ট দেখা যায়। কোন মহিলার হৃদয়ে শরিষার দানা পরিমান আল্লাহর ভয় থাকলে -সে কি কখনো বেপর্দা হতে পারে? সে কি পারে দেহের নিষিদ্ধ স্থানগুলো জনসম্মুখে দেখাতে? বেহিজাবী তথা পর্দাহীনতা তো মহান আল্লাহতায়ালার হুকুমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ঝান্ডা। এরূপ বিদ্রোহীদের নামায-রোযার কি আদৌ মূল্য আছে? বিদ্রোহীদের স্থান তো জাহান্নামে।
ঈমানদারের লক্ষণ, সে গুরুত্ব দেয় নিজের খেয়াল-খুশির বদলে মহান আল্লাহতায়ালার বিধান মেনে চলাকে। এজন্যই ঈমানদার নারীগণ পর্দানশীন হয়। অথচ বেঈমানের কাছে গুরুত্ব পায় নিজের ইচ্ছার গোলামী। এরাই বেছে নেয় বেপর্দা হওয়ার পথ এবং তুলে নেয় মহান আল্লাহতায়ালার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ঝান্ডা। দেহ জুড়ে বিদ্রোহের এ প্রকাণ্ড ঝান্ডা দেখেও কি তাদের বেঈমানী নিয়ে কোন গবেষণার প্রয়োজন পড়ে? অথচ প্রতিটি মহিলাই হলো গৃহশিক্ষক। শিশুরা গড়ে উঠে তাদের হাতে। কিন্তু এদের কারণে মুসলিম দেশের কোটি কোটি ঘর পরিণত হয়েছে বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে। ফলে পরাজিত হচ্ছে ইসলাম এবং বিনা যুদ্ধে বিজয় বাড়ছে শয়তানের। ১৮/০৪/২০২১
ANNOUNCEMENT
ওয়েব সাইটটি এখন আপডেট করা হচ্ছে। আগের লেখাগুলো নতুন ওয়েব সাইটে পুরাপুরি আনতে কয়েকদিন সময় নিবে। ধন্যবাদ।
LATEST ARTICLES
- সেক্যুলারিস্টদের ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ এবং যুদ্ধ ইসলামের বিরুদ্ধে
- বাংলাদেশে হিফাজতে ইসলাম ও ইসলামের হিফাজতে ভয়ানক ব্যর্থতা
- তাবলীগ জামায়াত কতটা দূরে সরেছে ইসলাম থেকে?
- Bangladesh: A Tale of Success of a Robber and the Failure for the Opposition
- বাংলাদেশে সেক্যুলারিজমের তাণ্ডব এবং সংকটে বাংলাদেশের স্বাধীনতা
বাংলা বিভাগ
ENGLISH ARTICLES
RECENT COMMENTS
- Mohammad Arifur Rahman on জিন্নাহ’র সাদকায়ে জারিয়া ও মুজিবের গুনাহে জারিয়া
- সিরাজুল ইসলাম on জিন্নাহ’র সাদকায়ে জারিয়া ও মুজিবের গুনাহে জারিয়া
- Abdul Aziz on বিবিধ ভাবনা ৮২
- Fazlul Aziz on বাঙালি ও অবাঙালি মুসলিমের বৈষম্য এবং ফ্যাসিবাদী মিথ্যচার
- Fazlul Aziz on বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের তান্ডব: মুক্তি কীরূপে?
ARCHIVES
- March 2023
- January 2023
- December 2022
- November 2022
- October 2022
- September 2022
- August 2022
- July 2022
- June 2022
- May 2022
- April 2022
- March 2022
- February 2022
- January 2022
- November 2021
- October 2021
- September 2021
- August 2021
- July 2021
- June 2021
- May 2021
- April 2021
- March 2021
- February 2021
- January 2021
- December 2020
- November 2020
- October 2020
- April 2020
- March 2020
- February 2020
- January 2020
- December 2019
- November 2019
- October 2019
- September 2019
- August 2019
- July 2019
- June 2019
- May 2019
- April 2019
- March 2019
- February 2019
- January 2019
- December 2018
- November 2018
ইসলাম প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে শুরু করে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মুসলমানরা জিহাদ করতে পারতো, যেমন আফগানিস্তানে এবং বসনিয়ায় জিহাদ করেছিল।
কিন্তু বর্তমানে, বাংলাদেশ সহ যে কোন মুসলিম দেশে দুর্বিত্ত পাশবিক ক্ষমতাসিল শক্তির বিরুদ্ধে এখন আর জিহাদ করা আর সম্ভব না। কারন ৯/১১ এর পর সমগ্ৰ পৃথিবির পট সমুলে উতপাটন হয়ে গেছে। এখন জিহাদের নাম মুখে নিলেই টেরোরিস্ট আক্ষ্যা দিয়া অন্তজাতিক ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির হাতে নির্মুল হইতে হয়।
মুসলমানরা যতদিন এই সহজ সরল সত্যটি বুঝতে না পারবে ততদিন কোন সফল জিহাদ করা যাবে না। আমাদের বুঝতে হবে কেন আমেরিকা ৯/১১ এর মত একটি ভয়ঙ্কর ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন তার নিজের দেশের মধ্যে ঘটিয়েছে।