বাঙালি মুসলিমের ব্যর্থ শিক্ষাব্যবস্থা এবং ব্যর্থ রাষ্ট্র

ফিরোজ মাহবুব কামাল

শিক্ষার লক্ষ্য ও এজেন্ডা

প্রশ্ন হলো, শিক্ষার উদ্দেশ্য কি? শিক্ষার কাজই বা কি? এগুলি এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। তবে এর কোন সর্বজনসম্মত উত্তর নেই। এ জগতে সবাই যেমন একই উদ্দেশ্যে বাঁচে না, তেমনি একই উদ্দেশ্যে শিক্ষিতও হয় না। অনেকেই শিক্ষাকে বেশী বেশী জানার মাধ্যম মনে করেন। ভাবেন, শিক্ষার কাজ যুগোপযোগী নাগরিক গড়া। কেউ বলেন, এর লক্ষ্য ব্যক্তিত্বের বিকাশ অর্থাৎ তার আমিত্বকে বড় করা। কারো মতে শিক্ষার লক্ষ্য, পেশাদারী জ্ঞানদান ও উপার্জনে বৃদ্ধি আনার সামর্থ্য সৃষ্টি তাদের কথা, শিক্ষা বাড়াবে বাজারে ছাত্রের বিক্রয়মূল্য যাতে সে বেশী দামে পণ্যের ন্যায় বিক্রি হতে পারে। শিক্ষা নিয়ে মানুষের এরূপ ভিন্ন ভিন্ন ভাবনার কারণ ভিন্ন ভিন্ন জীবনদর্শন। তাই শিক্ষা নিয়ে মুসলিমের ভাবনা অমুসলিমদের থেকে ভিন্নতর। কারণ, অমুসলিম যে উদ্দেশ্যে বাঁচে মুসলিম সে উদ্দেশ্যে বাঁচে না। গন্তব্য ভিন্ন হলে পথ এবং পাথেয়ও ভিন্ন হয়। একারণে মুসলিমের হালালহারামের বাছবিচার শুধু পানাহারের ক্ষেত্রে নয়। একই রূপ বাছবিচার শিক্ষার ক্ষেত্রেও। দেহের প্রয়োজনের ন্যায় মুসলিমের মনের প্রয়োজনও অমুসলিম থেকে ভিন্ন।

ঈমানদারের কাছে শিক্ষার মূল লক্ষ্য হলো, বাঁচার মূল লক্ষ্য অর্জনে সাফল্য দেয়া। বাঁচার লক্ষ্য ও শিক্ষার লক্ষ্য হবে পরস্পরের পরিপূরক। প্রশ্ন হলো, বাঁচার লক্ষ্য কি?  এ প্রশ্নের উত্তর অমুসলিমের কাছে যাই হোক, মুসলিমের কাছে সেটিই যা পবিত্র কুর’আনে বর্ণিত হয়েছে। এবং সেটি হলো: আল্লাযী খালাকাল মাউতা ও হায়াতা লি ইয়াবলুয়াকুম আইয়ো’কুম আহসানা আমালা অর্থ:  তিনি (সেই মহান আল্লাহ) যিনি মৃত্যু ও জীবনকে সৃষ্ঠি করেছেন এজন্য যে তিনি পরীক্ষা করবেন তোমাদের মধ্যে আমলের দিক দিয়ে কে উত্তম”-(সুরা মূলক, আয়াত)। অর্থাৎ দুনিয়ার এ জীবন হলো পরীক্ষাকেন্দ্র। এবং পরীক্ষার শেষ ঘন্টাটি যখন তখন বেজে উঠতে পারে। যেহেতু এ পরীক্ষায় পাশের উপর নির্ভর করে জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাতপ্রাপ্তী, ফলে এ পরীক্ষায় পাশের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মানবজীবনে নেই। একই কারণে এ জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এ পরীক্ষায় পাশের প্রস্তুতি। যারা এ পরীক্ষায় পাশ করে একমাত্র তারাই জান্নাতের যোগ্য রূপে বিবেচিত হয়। যারা ফেল করে তাদের স্থান হবে জাহান্নামে। তাই এ পরীক্ষায় পাশের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এ জীবনে অন্য কিছু হতে পারে না। পাশের জন্য চাই উপযুক্ত শিক্ষা। এজন্যই জ্ঞানচর্চা ইসলামে ফরজ। এবং সেটি ফরজ করা হয়েছে নামাজ, রোজা, হজ্জ ও যাকাত ফরজ করার এক দশকের বেশী কাল পূর্বে।

বস্তুত মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে নির্ধারিত জীবনের মূল পরীক্ষায় পাশের সামর্থ্য বাড়ানোর চেয়ে মুসলিম জীবনে জ্ঞানার্জনের আর কোন মহত্তর ও শ্রেষ্ঠতর লক্ষ্য নেই। যে শিক্ষা সে পরীক্ষায় পাশের সামর্থ্য বাড়ায় না তাতে উপার্জন বাড়লে পরকালে জাহান্নামে হাজির করবে। এবং সেটি কোটি বছরের জন্য নয়, বরং মৃত্যুহীন এক অনন্ত জীবনের জন্য। ফলে এর চেয়ে বড় বিপর্যয় আর কি হতে পারে? অথচ সেক্যুলার শিক্ষা তো সে বিপর্যয়ই ডেকে আনে। ফলে অনাহারে বাঁচার চেয়েও ভয়ানক বিপদ হলো সেক্যুলার শিক্ষা নিয়ে বাঁচা। অনাহারে মারা যাওয়াতে কেউ জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে না, কিন্তু জাহান্নামে পৌঁছবে কুর’আনের জ্ঞানশূণ্য সেক্যুলার শিক্ষা নিয়ে বাঁচার কারণে।কারণ সেক্যুলার শিক্ষা সিরাতাল মুস্তাকীম দেখায় না।

 

অজ্ঞ রাখে জীবনের মূল প্রশ্নে

পরিতাপের বিষয় হলো, মানব কেন বাঁচবে এবং কীভাবে বাঁচবে -সে মৌলিক প্রশ্নের উত্তর এ সেক্যুলার শিক্ষা দেয় না। বাংলাদেশে শিক্ষব্যবস্থায় সে পাঠ একবারও দেয়া হয়না। ফলে বিশ বছরের শিক্ষা জীবন পাড়ি দেয়ার পরও একজন ছাত্র বা ছাত্রী জানতে পারে না এ জীবনে বাঁচার মূল লক্ষ্য কি এবং কীভাবে সে বাঁচবে। এ শিক্ষা কেবল তার উপার্জনের সামর্থ্য বাড়ায় মাত্র। দৌড়ানোর সামর্থ্য থাকাটাই বড় কথা নয়, কোন দিকে দৌড়াতে হবে সেটিও জানতে হয়। কুর’আন তো সে সঠিক পথটাই দেখায়। পানাাহারে বাঁচার সামর্থ্য যে কোন পশুরও থাকে। কিন্তু মানুষকে পশুর ন্যায় বাঁচলে চলে না। কীভাবে এবং কোন লক্ষ্য বাঁচতে হবে সেটিও তাকে জানতে হয়। কিন্তু সেক্যুলার শিক্ষা সেটি শেখায় না। বাংলাদেশের সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থার বড় বিপর্যয় এখানেই। এবং তাতে ব্যর্থ হচ্ছ রাষ্ট্র ও জনগণ।

মাথা টানলে কাননাকচোখ যেমন এমনিতেই আসে, তেমনি আখেরাতের পাশের সামর্থ্য বাড়লে, সামর্থ্য বাড়ে বিশ্ব মাঝে বিজয় ও গৌরব নিয়ে বাঁচার। সাহাবায়ে কেরাম সেটিই প্রমাণ করে গেছেন। যে জ্ঞান লাভে জান্নাতপ্রাপ্তি ঘটে সে জ্ঞান এ দুনিয়াতেও প্রতিষ্ঠা, বিজয় ও ইজ্জত বাড়ায়। এমন শিক্ষায় সামর্থ্য বাড়ে নেক আমলের। নেক আমলের বর্ণনা দিতে গিয়ে নবীপাক (সা🙂 বলেছেন, পথ থেকে একটি কাঁটা ফেলে দেওয়াও নেক আমল। অর্থাৎ ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্ববাসীর জন্য যা কিছু কল্যাণকরএমন প্রতিটি কর্মই হলো নেক আমল। তাই শুধু পথের কাঁটাই নয়, সাহাবায়ে কেরাম অর্থ, শ্রম ও রক্তব্যয় করেছেন সমাজ ও রাষ্ট্রের বুক থেকে কাঁটা সরাতে। এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের বুক থেকে কাঁটা সরানোর কাজটিই হলো ইসলামে শ্রেষ্ঠ ইবাদত। এটিকেই জিহাদ বলা হয়। এটিই হলো মুসলিমের রাজনীতি। রাজনীতি হলো সমাজ থেকে কাঁটা ও আবর্জনা সরানোর হাতিয়ার। সমাজের কাঁটা ও আবর্জনা হলো সেই সব দুর্বৃত্ত জালেম শাসক যারা অন্যায়ের নির্মূল, ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও সভ্য রাষ্ট্র নির্মাণকে অসম্ভব করে। ফলে সুবিচারের প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্রের পরিশুদ্ধির জিহাদ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে শুধু নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত এবং নানারূপ নফল ইবাদতে মগ্ন হওয়া নবীজীর সূন্নত নয়।

 

অসম্ভব করে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত

পবিত্র কুর‌’আনে রাজনীতি বলে কোন শব্দ নাই।  আছে জিহাদ। জিহাদ হলো দুর্বৃত্তির নির্মূল ও রাষ্ট্রের বুকে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা দেয়ার লড়াই। এটিই হলো ইসলামে সর্বোচ্চ ইবাদত। রাজনীতি হলো রাষ্ট্র ও সমাজ পরিবর্তনের সেক্যুলার প্রচেষ্টা। সেক্যুলারিস্টের রাজনীতিতে মহান আল্লাহতায়ালার এজেন্ডা পূরণে কোন তাড়না কাজ করে না। সে রাজনীততে সেটি মৌলবাদ। কিন্তু মুসলিমের রাজনীতিতে থাকতে মহান আল্লাহতায়ালার এজেন্ডার সাথে পূর্ণ একাত্মতা। সেটি অন্যায় ও অসত্যের নির্মূল ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার লড়াই। সে লড়াইয়ে অংশ নেয়া ইসলামে ফরজ। সে লড়াইয়ে অংশ না নেয়ার শাস্তিটি ভয়ানক, তখন বাঁচতে হয় দুর্বৃ্ত্ত জালিম শাসকের জুলুমের খাঁচায় বন্দী হয়ে। বাংলাদেশসহ অধিকাংশ মুসলিম দেশের মুসলিমদের উপর তো সে আযাবই নেমে এসেছে। এটি হলো রাজনীতির জিহাদে অংশ না নেয়ার পেনাল্টি। এরপর আখেরাতে ভুগতে হবে জাহান্নামের আযাব। সেক্যুলার শিক্ষার ভয়ানক বিপদটি হলো এ শিক্ষা জিহাদের তথা রাজনীতির ফরজ পালনের সামর্থ্য ও আগ্রহ কোনটাই বাড়ায় না।

জ্ঞান শুধু পথের কাঁটা সরাতে আগ্রহ বাড়াবে -সেটিই যথেষ্ট নয়। গলার বা খাদ্যনালির কাঁটা সরানোর স্কিল দিবে -সেটিও যথেষ্ট নয় বরং দিতে হয় সমাজ ও রাষ্ট্রের বুক থেকে সকল রকম কাঁটা সরানোর সামর্থ্য। বস্তুত সে জ্ঞানই তো প্রকৃত কল্যাণকর জ্ঞান। অথচ দেশ যখন দুর্বৃত্তদের দখলে যায় তখন শিক্ষাব্যবস্থার কাজ হয় দুর্বৃত্তদের সম্মানিত করায় এং মিথ্যা এবং দুর্বৃত্তিকে প্রতিষ্ঠা দেয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের অভ্যস্থ করা। যুগে যুগে ফিরাউনদের তো এভাবেই ভগবানের আসনে বসানো হয়েছে। সে সাথে এজেন্ডা হয় পবিত্র কুর’আনের জ্ঞানদান ও সত্য ইতিহাস চর্চাকে অসম্ভব করা। বাংলাদেশে তো তাই হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশে ছাত্রছাত্রীদের শেখানো হচ্ছে মুজিবের ন্যায় গণতন্ত্রের খুনি, বাকশালী ফ্যাসিবাদের জনক এবং ভারতের প্রতি দায়বদ্ধ এক গোলামকে সম্মানিত করতে। শেখানো হচ্ছে তার মুর্তি ও ছবির সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে -যা হিন্দুরা মন্দিরে মুর্তির সামনে করে।

জ্ঞান দেয় বিস্ময়কর সৃষ্টিশীলতা। ইসলামের জ্ঞানচর্চা তাই নিছক কিতাব নির্ভর নয়, বরং আমলনির্ভর। কর্মজগতের সাথে প্রত্যক্ষ সংযোগ ঘটায় জ্ঞানচর্চার। তাছাড়া যথার্থ জ্ঞানলাভ না হলে ধর্মকর্মও সঠিক হয় না। সম্ভব হয় না সিরাতাল মুস্তাকীমে চলাটিও। জ্ঞানের মাধ্যমেই জুটে কোটি কোটি মানুষকে স্বল্প সময়ে আলোকিত করার সামর্থ্য। সামর্থ্য দেয় বিস্ময়কর বিশ্বলোককে দেখার। ফলে মানুষ তখন নিজ চোখে দেখতে পায় মহান আল্লাহতায়ালার অসীম কুদরতকে। মহাশূণ্যে কোটি কোটি নক্ষত্ররাজীর ভিড়ে, দিনরাতের ঘুর্ণায়নে, সাগর-মহাসাগরের গভীরে, পত্রপল্লবে তারা সর্বত্র দেখতে পায় মহান আল্লাহতায়ালার আয়াতকে। ফলে বৃদ্ধি পায় মু’মিনের ঈমান।

জ্ঞানবান ব্যক্তির অবদান বহুমুখী। কৃষির ফলন বাড়িয়ে সে লাঘব করে ক্ষুদার্ত মানুষের যাতনা। চিকিৎসায় নেমে আরোগ্য দেয় অসংখ্য রোগীর। যুদ্ধাস্ত্র বানিয়ে সুদৃঢ় প্রতিরক্ষা দেয় ইসলামী রাষ্ট্রের এবং বিনাশ ঘটায় দূর্বৃত্ত শক্তির। এবং বুদ্ধিবৃত্তির ময়দানের পরাজিত করে দুষ্ট মতবাদের। জ্ঞানের বিস্তার এভাবেই নানাভাবে সমৃদ্ধি আনে নেক আমলে এবং সামর্থ্য দেয় জীবনের মূল পরীক্ষা পাশে। এরূপ বহুমুখী সামর্থ্য বাড়াতেই নবীজী (সা🙂 এমনকি সুদূর চীনে যেতে বলেছেন। চীনে কখনোই কুর’আন-হাদীস শেখার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না, কিন্তু সেখানেও শিক্ষণীয় বহু কিছু ছিল যা সমাজ ও রাষ্ট্রকে সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য জরুরি। সাহাবাদেরকে শুধু অক্ষরজ্ঞান দেয়ার জন্য নবীজী (সা:) মুক্তি দিয়েছেন বদরের যুদ্ধে ধৃত কাফের বন্দীদের। এভাবেই নবীজী (সা🙂 শিখিয়েছেন জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রটি কতটা বিশাল এবং মুসলিমগণ জ্ঞানের কোন ক্ষেত্রকেই অবহেলা করতে পারে না।

যা কিছু শেখার ও বুঝার সামর্থ্য বাড়ায় তাই জ্ঞান। তাই সেটিকে শুধু কুর’আন-হাদীসে সীমিত রাখলে চলে না। সভ্যতার নির্মাণে কুর’আন-হাদীসের জ্ঞানের বাইরেও বহুবিধ জ্ঞান-বিজ্ঞান অপরিহার্য। গৌরবযুগের মুসলিমগণ সেটি বুঝতেন। এজন্যই প্রাথমিক যুগের মুসলিমগণ ইতিহাস, চিকিৎসা বিজ্ঞান, দর্শন, ভূগোল, বিদেশী ভাষা ও বিজ্ঞানের নানা বিষয়ে জ্ঞানার্জনকে দুনিয়াদারী ভাবেননি, বরং উঁচু পর্যায়ের নেকআমল ভেবে  সে জ্ঞানের সংগ্রহে বিপুল অর্থ, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করেছিলেন। ফলে কয়েক শত বছরের মধ্যে বিশ্বের নানা ভাষা থেকে বিজ্ঞানের অসংখ্য পুস্তক আরবীতে অনুবাদ করেছিলেন এবং গড়ে তুলেছিলেন জ্ঞানের বিশাল ভান্ডার। ফলে স্বল্প সময়ে সম্ভব হয়েছিল ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ সভ্যতার নির্মাণ এবং বিশ্বশক্তি রূপে প্রতিষ্ঠালাভ। তাই বিজ্ঞানচর্চাকে দুনিয়াদারী বলা শুধু মুর্খতাই নয়, আত্মঘাতীও। এমন মুর্খতায় যে শুধু নেক আমলের সামর্থ্য কমে যায় তাই নয়, মুসলিম উম্মাহ পরাজিত এবং অপমানিতও হয়। আর এরূপ আত্মঘাতী কর্ম সমাজে ব্যাপ্তি পেলে বিপর্যয়ের জন্য বহিঃশক্তির প্রয়োজন পড়ে কি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *