আল্লাহ তায়ালার দোয়া কবুলের নীতিমালা ও মুসলিমদের ব্যর্থতা

ফিরোজ মাহবব কামাল

দোয়া কবুল নিয়ে আজগুবি ওয়াজ

দোয়া কবুল ও জান্নাত পাওয়া নিয়ে প্রায়ই নানারূপ আজগুবি কথা বার্তা বলা হয়ে থাকে। এক আলেমকে বলতে শোনা গেল, “ওজুতে তিনটি কাজ করলেই জান্নাতের ৮টি দরজা খুলে দেয়া হবে।” আরেক হুজুরের মুখে শোনা গেল, “ওমুক দোয়া পাঠের পর কোন দোয়া করলে তা ব্যর্থ হয় না, অবশ্যই কবুল হয়।” মসজিদের জন্য অর্থ সংগ্রহের সময় বলা হয়, “মসজিদের জন্য অর্থ দিলে, জান্নাতের মাঝে ঘর মিলবে।” বিস্ময়ের বিষয় হলো, জান্নাতে ঘরপ্রাপ্তির কথা শোনানো হলেও জান্নাতে কিভাবে প্রবেশ জুটবে -সে কথা বলা হয়না। বহু সূদখোর, ঘুষখোর ও প্রতারকও মসজিদ নির্মাণে বিপুল অর্থ দেয়। অনেক জালেম শাসকও মসজিদ নির্মাণ করে। তবে তারাও কি জান্নাতের মাঝে ঘর পাবে? এসব দুর্বৃত্তগণ একটি নয়, ১০টি মসজিদ নির্মাণ করলেও কি জান্নাতের দরজার কাছে পৌঁছতে পারবে? জান্নাতে প্রবশ যদি এতো সহজই হতো তবে সে ঘোষণাটি মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে পবিত্র কুর’আনে আসা উচিত ছিল। কিন্তু সে বিষয়ে পবিত্র কুর’আনের বর্ণনাটি ভিন্নরূপ। বার বার যা বলা হয়েছে তা হলো, জান্নাত পেতে হলে ঈমানের পরীক্ষায় অবশ্য পাশ করতে হবে। সে পরীক্ষাটি নেয়া হয় নানারূপ সংকটের মুখোমুখী করে। যেমন বলা হয়েছে:

 أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تَدْخُلُوا۟ ٱلْجَنَّةَ وَلَمَّا يَأْتِكُم مَّثَلُ ٱلَّذِينَ خَلَوْا۟ مِن قَبْلِكُم ۖ مَّسَّتْهُمُ ٱلْبَأْسَآءُ وَٱلضَّرَّآءُ وَزُلْزِلُوا۟ حَتَّىٰ يَقُولَ ٱلرَّسُولُ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ مَعَهُۥ مَتَىٰ نَصْرُ ٱللَّهِ ۗ أَلَآ إِنَّ نَصْرَ ٱللَّهِ قَرِيبٌۭ

অর্থ: “তোমরা কি মনে করে নিয়েছো যে এমনিতেই জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ এখনো তোমাদের নিকট তাদের মত কিছুই আসেনি যারা বিগত হয়েছে তোমাদের পূর্বে। তাদের উপর আঘাত হেনেছিল দুঃখকষ্ট ও দুর্দশা এবং তাতে তারা প্রকম্পিত হয়েছিল। এমন কি রাসূল এবং তাঁর সাথের মুমিনগণ বলেছিল, “কখন আসবে আল্লাহ সাহায্য?” জেনে রাখো, আল্লাহর সাহায্য নিকটবর্তী।” –(সুরা বাকারা, আয়াত ২১৪)। 

 

দোয়া কবুল নিয়ে আল্লাহ তায়ালার নীতিমালা

দোয়া কবুলের ব্যাপারেও সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে মহান আল্লাহ তায়ালার। তিনি তাঁর বান্দার দোয়া অবশ্যই শোনেন। তবে বিষয়টি এমন নয় যে, দোয়া করলেই তা কবুল হয় এবং জান্নাতের দরজাও খুলে দেয়া হয়। দোয়া কবুলের শর্ত হলো, অবশ্যই পূরণ করতে হয় মহান আল্লাহ তায়ালার প্রত্যাশাকে– যার ঘোষণা এসেছে পবিত্র কুর’আনে। বলা হয়েছে:

وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِى عَنِّى فَإِنِّى قَرِيبٌ ۖ أُجِيبُ دَعْوَةَ ٱلدَّاعِ إِذَا دَعَانِ ۖ فَلْيَسْتَجِيبُوا۟ لِى وَلْيُؤْمِنُوا۟ بِى لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُونَ

অর্থ: “এবং যখন আমার বান্দাগণ তোমাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, তাদের বলুন, আমি তো নিশ্চয় তাদের নিকটবর্তী। এবং বলুন, যারা আমাকে ডাকে, আমি তাদের ডাকে সাড়া দেই। সুতরাং প্রত্যাশা হলো, তারা যেন অবশ্যই আমার ডাকে সাড়া দেয় এবং যেন অবশ্যই আমার উপর ঈমান আনে আশা করা যায় তারা সঠিক পথ পাবে।” -(সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৬)।    

উপরিউক্ত আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতিশ্রুতি হলো, যার তাঁকে ডাকে, তিন অবশ্যই তাদের ডাকে সাড়া দেন। তবে দোয়াকারীদের থেকেও মহান আল্লাহ তায়ালার সুনির্দিষ্ট প্রত্যাশা রয়েছে। সেটি হলো, তারা পূর্ণ ঈমান আনবে তাঁর উপর এবং পূরণ করবে তাঁর ইচ্ছাকে। এর অর্থ, তারা একাত্ম হবে তাঁর এজেন্ডার সাথে। আজকের মুসলিমদের মূল ব্যর্থতা মূলত এখানেই। মহান আল্লাহ তায়ালা থেকে তাদের চাওয়ার বিষয় অনেক; কিন্তু তারা রাজী নয় আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা পূরণে। বরং বাঁচছে তাঁর প্রত্যাশার সাথে গাদ্দারী নিয়ে। তার প্রমাণ, তারা প্রতিষ্ঠা দেয় না তাঁর সার্বভৌমত্ব ও আইন। নির্মূল করেনা মিথ্যা ও দুর্বৃত্তিকে এবং প্রতিষ্ঠা দেয় না সত্য ও সুবিচারকে। বরং তারা প্রতিষ্ঠা দেয় নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও কাফিরদের প্রণীত আইন। দুর্বৃত্তির নির্মূল না করে তারা প্লাবন আনে দুর্বৃত্তির। এরপরও কি তাদের আশা, কবুল করা হবে তাদের দোয়া! 

 

পরীক্ষা এড়ানোর পথ নাই

পবিত্র কুর’আনে তাই বার বার বলা হয়েছে, জান্নাত পেতে হলে জিহাদের ময়দানে জান ও মালের পরীক্ষায় অবশ্যই পাশ করতে হবে। যেমন বলা হয়েছে:

وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَىْءٍۢ مِّنَ ٱلْخَوْفِ وَٱلْجُوعِ وَنَقْصٍۢ مِّنَ ٱلْأَمْوَٰلِ وَٱلْأَنفُسِ وَٱلثَّمَرَٰتِ ۗ وَبَشِّرِ ٱلصَّـٰبِرِينَ

অর্থ: “এবং আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করবো কিছু ভয়, ক্ষুধা, এবং জান-মাল ও ফসলাদির ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে; এবং আপনি ছবরধারণকারীদের সুসংবাদ দিন।” –(সুরা বাকারা, আয়াত ১৫৫)।

অতএব প্রতিটি ঈমানদারদের জন্য পরীক্ষার এ পর্বটি সুনিশ্চিত; জান্নাতের স্বপ্ন দেখলে এ পরীক্ষা এড়ানোর সুযোগ নাই।  প্রশ্ন হলো, যে পরীক্ষাটি ভয়-ক্ষুধা, এবং জান-মাল ও ফসলাদির ক্ষয়ক্ষতির মধ্য দিয়ে নেয়াই মহান রব’য়ের পরিকল্পনা, সেটি কি স্রেফ দোয়া পাঠের মধ্য হয়? সে ক্ষয়ক্ষতি তো নামাজ-রোজা ও হজ্জ-যাকাত পালনেও হয়না। সে  পরীক্ষার ক্ষেত্রটি তো জিহাদ। সে কথা বলা হয়েছে পবিত্র কুর’আনের অন্যান্য সুরাতে। এবং যারা সে পরীক্ষার পর্বে প্রবেশ করতে চায়নি, তাদের কাফির বলা হয়েছে। অথচ কি বিস্ময়! স্রেফ দোয়া-দরুদ আর নামাজ-রোজার মধ্য দিয়েই জান্নাতপ্রাপ্তির সুসংবাদ শোনানো হচ্ছে। এভাবে তুলে ধরা হয় জান্নাত লাভের ভূল পথ বা ত্বরিকার কথা। বাংলাদেশে সে কাজটি করছে সে সব আলেম যারা নিজেরা জিহাদে নাই এবং কুর’আন-হাদীসের নাম ভাঙ্গিয়ে অর্থ উপার্জনে নেমেছে। নবীজী (সা:) ওয়াজ করে অর্থ কামাই করেছেন সে প্রমাণ নাই। অথচ এ আলেমগণ অর্থ না দিলে ওয়াজ করেন না।  

দোয়া কবুলের আগে দেখা হয়, কতটা মানা হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালার বিধানগুলি। রাজনীতিতে যারা জাতীয়তাবাদী, বিশ্বাসে যারা সেক্যুলারিস্ট, সংস্কৃতিতে হিন্দুয়ানী, অর্থনীতিতে সূদখোর, আদালতে অনুসারি কুফরি আইনের, জুয়া ও বেশ্যাবৃত্তি যাদের কাছে বৈধ ব্যবসা এবং শিক্ষা-দীক্ষায় যারা কুর’আন-বিরোধী –তারা তো সুস্পষ্ট বিদ্রোহী। এরূপ বিদ্রোহীদের দোয়া কি মহান আল্লাহ তায়ালা কখনো কবুল করেন? বিদ্রোহীদের জন্য যা বরাদ্দ তা তো জাহান্নামের আযাব এবং এ দুনিয়ায় অপমান।

তাছাড়া মুসলিম বিশ্ব জুড়ে দোয়া কি কম হচ্ছে? চোখের পানিও কি কম ফেলা হচ্ছে? প্রতি নামাযে রয়েছে দোয়া। রোজাতে দোয়া। হজ্জে গিয়ে দোয়া। প্রতি বছর ২০ লাখের বেশী মুসলিম চোখের পানি ফেলছে দোয়া কবুলের স্থান আরাফার ময়দানে দাঁড়িয়ে। ২০ লাখের বেশী মানুষ দোয়াতে শরীক হচ্ছে টঙ্গির বিশ্ব ইজতেমাতে। কিন্তু দোয়া কবুলের আলামত কই? দোয়া কবুল হলে কি মুসলিম ভূমি শত্রুদের হাতে অধিকৃত হতো? ৫০ হাজারে বেশী মুসলিম কি নিহত হতো গাজাতে?  বিধ্বস্ত হতো কি মুসলিম নগর-বন্দর ও গ্রাম? নিহত, ধর্ষিতা ও নিজ ঘর থেকে বহিস্কৃত হতো কি মুসলিম নর-নারী? এ নিয়ে ভাবতে হবে। এবং নিয়মিত ভাবার অভ্যাস গড়তে হবে।  চিন্তা-ভাবনাও যে উত্তম ইবাদত -সেটি স্মরণে রাখতে হবে। ভাবনাশূণ্যতাই ঈমানশূণ্যতার দিকে ধাবিত করে।

 

অবাধ্য উম্মত ও নবীজী (সা:)‌’র ফরিয়াদ

পবিত্র কুর’আন ও তাঁর সূন্নাহর প্রতি মুসলিমদের আগামী দিনের অবাধ্যতার কথা নবীজী (সা:) জীবিত অবস্থাতেই টের পেয়ছিলেন। তিনি স্বচোখে দেখেছেন কয়েক শত মুনাফিকদের গভীর ষড়যন্ত্র। অথচ তারা তাঁর পিছনে নিয়মিত নামাজ পড়তো।  তিনি দেখেছেন মুসলিমদের মধ্যে গোত্রবাদের প্রতি আসক্তি। তিনি দেখেছেন আনসার ও মোহজিরদের মাঝে সংঘাত বাঁধানোর ষড়যন্ত্র। আরো দেখেছেন তাঁর প্রিয় স্ত্রী আয়েশার চরিত্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা গুজবের তুফান। অথচ যারা সে গুজব ছড়িয়েছে তারা ছিল তার নিজের উম্মতের লোক।

ফলে তাঁর মৃত্যুর পর পবিত্র  কুর’আন থেকে দূরে সরার কাজও যে ব্যাপক ভাবে শুরু হবে -সেটিও তিনি বুঝতে পেরেছিলনে। তা নিয়ে রোজ হাশরের বিচার দিনে নবীজী (সা:) যে মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে উম্মতের বিরুদ্ধে গুরুতর ফরিয়াদ তুলবেন -সেটি সর্বজ্ঞানী মহান আল্লাহ তায়ালার জানতেন। কারণ, তিনি তো সর্বজ্ঞানী। তিনি শুধু অতীত ও বর্তমানের খবরই জানেন না, ভবিষ্যতে কি হবে সেটিও জানেন। এ প্রেক্ষপটে মহান আল্লাহ তায়ালা চান, উম্মতের লোকেরা জানুক, তাদের সম্মন্ধে নবীজী (সা:)’র কি রায় এবং অভিযোগ হবে -সে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি। কারণ উম্মতকে নিয়ে নবীজী (সা:)’র রায় ও অভিযোগ জানতে পারলে হয়তো অনেককেই পরিশুদ্ধির সুযোগ পাবে। রোজ হাশরের বিচার দিনে জানলে তো সে সুযোগ থাকবে না। এখানেই  মহান আল্লাহ তায়ালার হিকমাহ। তিনি চান, বেঁচে থাকতেই উম্মত জেনে নিক কুর’আনের প্রতি তাদের অবহেলা নিয়ে নবীজী (সা:)’র নিজের রায় ও অভিযোগ।  নীচের আয়াতে ব্যক্ত হয়েছে সে রায় ও অভিযোগের কথা:

 وَقَالَ ٱلرَّسُولُ يَـٰرَبِّ إِنَّ قَوْمِى ٱتَّخَذُوا۟ هَـٰذَا ٱلْقُرْءَانَ مَهْجُورًۭا

অর্থ: “এবং রাসূল বলবেন, হে আমার রব, নিশ্চয়ই আমার কউম এই কুর’আন পরিতাজ্য গণ্য করেছে।” –(সুরা ফুরকান, আয়াত ৩০)।

উপরিউক্ত আয়াতের মধ্য মুসলিম উম্মাহর জন্য রয়েছে গভীর হুশিয়ারি। জানিয়ে দেয়া হয়েছে তারা রয়েছে ভয়ানক বিচ্যুতির পথে। কুর’আন হলো সিরাতাল মুস্তাকীম তথা জান্নাতের একমাত্র পথ। কুর’আন থেকে দূরে থাকার পথটি পরাজয়, পতন ও আযাবের পথ। সেটি নিশ্চিত জাহান্নামে পথ। এখানেই নবীজী (সা:)’র দুশ্চিন্তা। তারা যদি জাহান্নাম থেকে বাঁচতে চায় তবে কুর’আন থেকে দূরে না সরে কুর’আনের শিক্ষাকে আঁকড়ে ধরতে হবে।

মুসলিম উম্মতের বিরুদ্ধে নবীজী (সা:)’র অভিযোগটি যে শতকরা শতভাগ সঠিক -তার অতি জাজ্বল্যমান প্রমাণ হলো আজকের মুসলিমগণ। পবিত্র কুর’আনের বাণী বুঝা ও অনুসরণের জন্য মিশর, সূদান, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, আলজিরিয়া, তিউনিসিয়া, মরক্কো, মৌরিতানিয়াসহ বহু দেশের জনগণ নিজেদের মাতৃভাষা পরিত্যাগ করে আরবী ভাষাকে গ্রহণ করেছিল। অথচ আজকের মুসলিমগণ কুর’আন বুঝতে রাজী নয়, বরং বড় জোর না বুঝে তেলাওয়াতে ও মুখস্থ করতে রাজী।

সে কালে মুসলিমগণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতো আদালতে শরিয়তী আইন প্রতিষ্ঠা দিতে। অথচ আজ ৫০টির বেশী মুসলিম দেশের কোন একটি দেশের আদালতেও কুর‌’আনে নাযিলকৃত শরিয়তী আইনে বিচার হয়না। অর্থাৎ কুর’আন পরিত্যক্ত হয়েছে মুসলিম দেশের আদালতগুলিতে। কুর’আন বলে ভাষা, বর্ণ, গোত্র ও অঞ্চল ভিত্তিক পরিচয়ের উর্দ্ধে উঠে একতাবদ্ধ হতে। কুর’আনের সে শিক্ষাটিও মুসলিম ভূমিতে আজ পরিত্যক্ত। মুসলিমগণ উৎসব করে নিজেদের মাঝে গড়া ভূ-রাজনৈতিক বিভক্তি নিয়ে। কুর’আন নির্দেশ দেয় দুর্বৃত্তির নির্মূল এবং সুবিচার প্রতিষ্ঠার জিহাদের। কিন্তু মুসলিমগণ সে জিহাদে নাই। বরং তারা  রেকর্ড গড়ছে দুর্বৃত্তিতে। বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বিশ্বে ৫ বার প্রথম হয়েছে। কুর’আন থেকে এর চেয়ে বড় বিচ্যুতি আর কি হতে পারে? প্রশ্ন হলো কুর’আনের পথ থেকে এতোটা দূরে সরে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করলে কি সে দোয়া কবুল হয়? আল্লাহ তায়ালার কথা যারা শোনে না, তাদের কথা তিনি কেন শুনবেন? ২৭/০৫/২০২৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *