দেশ এবং সমাজ নিয়ে ভাবনা-৪

1.
স্বৈরাচারি শাসনামালে অতি নৃশংস অপরাধগুলো শুধু সরকারের অনুগত পুলিশ এবং গুন্ডাদের হাতে হয় না। বরং বড় বড় নৃশংস অপরাধগুলো ঘটে দাস চরিত্রের বিচারকদের হাতে।এবং সেটি বিচারের নামে। নিরপরাধ মানুষদেরও তখন ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। স্বৈরাচার শাসকগণ তাই শুধু অনুগত পুলিশ বাহিনীই গড়ে তোলে না, গড়ে তো অনুগত বিচারক বাহিনীও।

2.
বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ যেন আওয়ামী লীগের ক্যাডার। এতকাল জয় বাংলা স্লোগান আওয়ামী  লীগ দলীয় মিটিং ও মিছিলে দেয়া হত। কে আওয়ামী লীগ, আর কে আওয়ামী লীগ নয় -সেটি চেনা যেত এ স্লোগান থেকে। এখন সকল সভায় সবার উপর জয় বাংলা বলাকে আদালত বাধ্যতামূলক করলো। এটি কি আদালতের কাজ?

3.
আদালতের মূল কাজ আইনের শাসন কায়েম করা। আইনের শাসন থাকলে কি মধ্যরাতের ভোট ডাকাতগণ ক্ষমতায় বসতে পারতো? বিচারে তাদের জেলে যেতে হতো।

4.
সুপ্রিম কোর্ট স্বৈরাচারের পক্ষে এবং জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানটি কোন দলের ছিল না, এটি প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল সকল দলের দাবীর ভিত্তিতে। স্বৈরাচারের পক্ষ থেকে যাতে ভোট ডাকাতি না -সেটি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। জনগণের ভোটের উপর ডাকাতিকে সহজ করতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানকে আদালত বাতিল করেছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের চরিত্র প্রকাশ পেয়েছে এ রায়ের মধ্য দিয়ে ।    

5.
যে বিচারকদের ভোট ডাকাতদের আদালতে কাঠগড়ায় খাড়া করে বিচার করার যোগ্যতা নাই তারা এ অধীকার কোত্থেকে পায় যে ভাষণ কি বলে শুরু করতে হবে ও শেষ করতে হবে সে ছবক শোনায়!

6.
আওয়ামী লীগ ভারত সরকারের কাছে অতি প্রিয়। কারণ ভারতের ইচ্ছা তারা সব সময় পূরণ করে।১৯৭১’য়েও ভারতকে বিজয়ী করে খুশির বন্যা দিয়েছিল ও বিশ্বের মুসলিমদের চোখে পানি এনেছিল।

7.
একটি মুসলিম দেশ যদি কাফের শক্তির হামলায় পরাজিত হয় ও ভেঁঙ্গে যায় এবং তা নিয়ে যদি কেউ উৎসব করে -তবে বুঝতে হবে তার ঈমান নাই। টুপি-দাড়ি, নামায-রোযা ও হজ্ব-উমরাহ দিয়ে এ বেঈমানী ঢাকা যায় ন। এরাই ইসলামের শত্রু।

8.
বাংলাদেশের শিক্ষানীতির সবচেয়ে বড় সফলতাটি হলো, এটি অধিকাংশ ছাত্রদের ইসলামশুণ্য করতে পেরেছে এবং চোরডাকাত ও ভোটডাকাতদের গদিতে বসিয়ে সন্মান দিতে  শিখিয়েছে।

9.
একটি ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সফলতাটি বিশাল।চোর-ডাকাতগণ সবার ঘৃনার ভয়ে এতকাল মুখ লুকিয়ে থাকতো। এখন জনগণই ভয়ে হাসিনার ন্যায় এক ভোট ডাকাতকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলে

10.
ঈমান ব্যাক্তির মনের দৃষ্টি বাড়ায়। দেহের চোখ মাত্র দুটি, কিন্তু মনের চোখ অসংখ্য। মনের চোখ দিয়ে আল্লাহর নেয়ামত যেমন দেখা যায়, তেমনি দুর্বৃত্তদেরও চেনা যায। মনের এ দৃষ্টিকে পবিত্র কোর’আনের ভাষায় নূর বা বাসিরাত বলা হয়। ঈমানদার তাই ভোট ডাকাতকে কখনোই জননী বা কাওমী জননী বলেনা।

11.
শেখ হাসিনার বড় অহংকার, উন্নতি দিয়ে দেশ ভরে দিয়েছে। সেটি হলে ভোট ডাকাতিতে নামেন কেন? মিছিল-মিটিংয়ের স্বাধীনতাই বা কেড়ে নেন কেন? ভোট ও মাঠে নামার অধীকার দিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই করেন না কেন?

12.
বাংলাদেশে ন্যায্য বিচার থাকলে ভোট ডাকাতির অপরাধে শেখ হাসিনা ও তার সাথীদের কঠোর সাজা হতো। কিন্তু সেটি না হয়ে আদালত পরিনত হয়েছে বিরোধীদের শাস্তি দেয়ার সরকারি হাতিয়ারে।

13.
জনগণের মূল্যবান সম্পদ হলো তার ভোট। অতি ঘৃণ্যতম ডাকাতি হলো সে ভোটের উপর ডাকাতি করা।সে ডাকাতিতে হাতেনাতে ধরা পড়েছে শেখ হাসিনা। অথচ সে ডাকাতের হুকুমই বাংলাদেশের মানুষকে মেনে চলতে হয়। কথা হলো, যারা ডাকাতদের হুকুম মেনে চলে তাদের কি আন্তর্জাতিক অংগনে ইজ্জত থাকে?

14.
শেখ মুজিবকে চিনতে যাদের এখনো বাঁকি, শেখ হাসিনার হাতে সে মুজিবী আদর্শের বাস্তবায়ন দেখে তাকে চেনা উচিত। বুঝতে হবে এরাই ছিল ১৯৭১’য়ের রত্ম যারা সে সময় বহু লক্ষ মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। এবং ডেকে এনেছিল ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ।

15.
আদালতে বিচার না করে পুলিশ এবং RAB’য়ের হাতে প্রতিটি হত্যাই হলো খুন। এখানে খুনি হলো দেশের ভোট-ডাকাত সরকার। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী মানুষ খুন হচ্ছে স্বৈরাচারি এ সরকারের হাতে। অথচ সে খুনের কোন বিচার হচ্ছে না।

16.
কোর’আন ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের প্রতিটি সমস্যায় পথ দেখায়। অথচ সমস্যায় পড়লে মুসলিমগণ পথ খোঁজে নিজেদের মুসলিম পরিচয় বাদ দিয়ে এবং কোর’আন-হাদীসের বাইরে থেকে। এটি হলো মহান আল্লাহতায়ালা ও নবীপাকের সাথে চরম বেঈমানী। এ বেঈমানী আযাব ডেকে আনে।

১৭.
কেউ কেউ বলে, জিহাদ হলো নফসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। সেটি বলে অস্ত্রের যুদ্ধ থেকে মুসলিমদের দূলে রাখার লক্ষ্যে। প্রশ্ন হলো,  নবীজীর দাঁত ভাঙ্গলো এবং শতকরা ৭০ জনের অধীক সাহাবা শহীদ হলেন কি নফসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে।

 

2 Responsesso far.

  1. Natisha says:

    Everyone loves it when people get together and share views.

    Great blog, keep it up!

  2. haberler says:

    I’ve been exploring for a bit for any high-quality articles or blog posts on this kind
    of arwa . Exploring in Yahoo I finally stumbled upon this website.
    Studying this information So i am happy to express that
    I have an incredibly good uncanny feelimg I discovered exactly what I
    needed. I so much withhout a doubt will make cedrtain to do not
    forget this website and provides it a glance on a constant basis.

    Feel free to visit my web blog: haberler

Leave a Reply to Natisha Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *