বিবিধ ভাবনা ৫৩

ফিরোজ মাহবুব কামাল

১. যিকরের গুরুত্ব ও যিকরে না থাকার বিপদ

সুরা ক্বামারে মহান আল্লাহতায়ালার ঘোষণা,“ওয়া লাক্বাদ ইয়াচ্ছারনাল কুর’আনা লিয যিকর, হাল মিন মুদ্দাকির।” অর্থ:“এবং নিশ্চয়ই আমরা যিকরের জন্য কিতাবকে সহজ করেছি, আছে কি যিকর করার কেউ?” পবিত্র কুর’আনে এ আয়াতটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। সুরা ক্বামারে এ আয়াতটি ৪ বার এসেছে। সেটি ১৭, ২২, ৩২ ও ৪০ নম্বর আয়াতে।  যিকর শব্দের অর্থ স্মরণ। প্রশ্ন হলো, এখানে স্মরণটি কিসের? এ স্মরণ কি স্রেফ মহান আল্লাহতায়ালার নামের? সেটি হলে প্রশ্ন উঠে, পবিত্র কুর’আন কি শুধু তাঁর নামের যিকরকে সহজ করা জন্য নাযিল হয়েছে? তাসবিহ হাতে নিয়ে মহান আল্লাহতায়ালার নামে জপ করলেই কি যিকরের সে দায়িত্বটি পালিত হয়?

যিকরের অর্থটি আরে গভীর। সেটি বুঝতে হলে বুঝতে হবে খোদ পবিত্র কুর’আনের পরিচয় এবং ঈমানদারের দায়ভার জানার মধ্য দিয়ে। কুর’আন হলো হিদায়েতের গ্রন্থ। কুর’আন হলো জান্নাতের পথে চলার রোডম্যাপ। একমাত্র সে ব্যক্তিই জান্নাতে যাবে যে ব্যক্তি প্রতি পদে কুর’আনের বিধানগুলিকে অনুসরণ করে। সড়ক পথে গাড়ি চালানোর সময় পথ ভূল করলে গন্তব্যে পৌঁছা যায় না। তাই গাড়ি চালনার সময় রোডম্যাপকে প্রতিটি মুহুর্তে স্মরণে রাখতে হয়। বিষয়টি জীবন চালনার ক্ষেত্রেও। যিকর নিয়ে বাঁচার অর্থ, জীবনের পথ চলায় প্রতি পদে মহান আল্লাহতায়ার দেয়া বিধানের স্মরণ নিয়ে বাঁচা। মুসলিম রূপে বাঁচার জন্য অপরিহার্য হলো এই স্মরণ।

প্রশ্ন হলো, কে মুসলিম? মুসলিম জীবনে যিকর এতো গুরুত্বপূর্ণই বা কেন? মুসলিম তো সেই যে মহান আল্লাহতায়ালার প্রতিটি হুকুমের প্রতি পুরাপুরি আত্মসমর্পিত। আত্মসমর্পিত ব্যক্তির দায়বদ্ধতা হলো, তাকে বাঁচতে হয় প্রভুর হুকুমগুলির সর্বদা স্মরণ ও পালন নিয়ে। মুসলিমকে প্রতি মুহুর্ত বাঁচতে হয় তার উপর মহান আল্লাহতায়ার পক্ষ থেকে অর্পিত মিশন নিয়ে। মিশন এখানে মহান আল্লাহতায়ালার খলিফার দায়িত্ব দিয়ে বাঁচা। তাই শুধু ঈমান আনলেই দায়িত্ব শেষ হয়না, খলিফার দায়িত্ব পালনে পথে নামতে হয়। এবং পথে নামলে তাকে প্রতি পদে সিরাতুল মুস্তাকীম বেয়ে পথ চলতে হয়। এবং সে পধে শুধু নামায, রোযা, হজ্জ ও যাকাত পালনের বিষয়টিই আসে না। বরং আসে শরিয়ত, হুদুদ, মুসলিম ঐক্য ও জিহাদ পালনের বিষয়ও। আসে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং অন্যায়ের নির্মূল ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার বিষয়। যিকর তাই ব্যক্তি ও সমষ্ঠির সামগ্রিক বিষয়ে মহান আল্লাহতায়ালার বিধানের প্রতি আনুগত্যের স্মরণ।

পবিত্র কুর’আনে শিরক, মুর্তিপূজা, সূদ, মদ, জ্বিনা, মানব হত্যা, মিথ্যাচার, এতিমের হক, গরীবের হক, প্রতিবেশীর হক, ওয়াদা পালন, দায়খয়রাত, যাকাত, মহিলাদের হিযাব, অশ্লিলতা, গিবত, হাসিমস্করা, অন্যায়ের নির্মূল, জালেমের বিরুদ্ধে জিহাদ ইত্যাদি বিষয়ে হুকুমগুলি নাযিল করা হয়েছে অতি সহজ-সরল ভাষায়। এগুলি বুঝতে দার্শনিক বা ফকিহ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এ বিধানগুলো মানলেই সমাজে শান্তি নেমে আসে। তখন সহজ হয় জান্নাতে পৌঁছা। উপরুক্ত আয়াতে মহান আল্লাহতায়ালা তাই প্রশ্ন রেখেছেন, বিধানগুলিকে যখন এতো সহজ ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে, সেগুলিকে স্মরণে রাখা ও তা পালনে আগ্রহী ক’জন?     

মহান আল্লাহতায়ালার স্মরণ থেকে গাফেল হয়ে বাঁচার ভয়ানক বিপদ নিয়ে সাবধান বানী ঘোষিত হয়েছে সুরা যুখরুফ, ৩৬ নম্বর আয়াতে। বলা হয়েছে, “ওয়া মাই ইয়াশু আন যিকরির রাহমানি নুকাইয়েদ লাহুশ শায়তানা ফাহুয়া লাহু কারীন।” অর্থ: “এবং যে ব্যক্তি রাহমানের যিকর থেকে ভূলে থাকলো, তার উপর চাপিয়ে দেই শয়তান, অতঃপর সে তার সঙ্গি হয়ে যায়।”

মহান আল্লাহতায়ালার স্মরণশূণ্য মানুষের ঘাড়ে যে শয়তান বসে -সেটি এক নিশ্চিত বিষয়। এক্ষেত্রে সন্দেহ করাটাই বেঈমানী। এবং তার উপর শয়তানের উপস্থিতি সুষ্পষ্ট দেখা যায়। সেটি বুঝা যায় সে ব্যক্তির মিথ্যাচার, ব্যাভিচার, দুর্নীতি, চুরি-ডাকাতি, ভোটডাকাতি, সন্ত্রাস, ছিনতাই, গুম-খুন, পর্দাহীনতা, অশ্লিলতা ও নানারূপ পাপাচারের মাঝে। ঘাড়ে শয়তানের উপস্থিতি আরো টের পা্‌ওয়া যায় মুখে জাতীয়তাবাদ, সেক্যুলারিজম, নাস্তিকতাবাদ ও বর্ণবাদের নানারূপ বাতিল মতবাদের বানী বর্ষণ হতে দেখে। তার পক্ষে ইসলামের পক্ষ নেয়া শয়তান অসম্ভব করে।  

২. জ্ঞানার্জনের বিধান ও মুসলিমের নিদারুন ব্যর্থতা

ইসলামই একমাত্র ধর্ম যা জ্ঞানাঅর্জনকে প্রতিটি নারী ও পুরুষের জন্য ফরজ করেছে। একজন মুসলিম যেমন মদ্যপায়ী হতে পারে না, তেমনি অশিক্ষিতও হতে পারে। অশিক্ষা অসম্ভব করে মুসলিম হওয়া। কারণ, মুসলিম হতে হলে মহান আল্লাহতায়ালার কুর’আনী হুকুমগুলি জানতে হয় এবং সেগুলি মেনে চলতে হয়। কিন্তু যে ব্যক্তি সে বিধানগুলি জানলোই না, সেগুলি সে মানবে কীরূপে? গাড়ি চালনায় যেমন পথের রোডম্যাপ জানতে হয়, তেমনি জীবন যাপনে জীবনের রোডম্যাপ কুর’আনকে বুঝতে হয়। সে বুঝার প্রয়োজনেই মিশর, ইরাক, সিরিয়া, সূদান, লিবিয়া, মরক্কো, তিউনিসিয়া, আলজিরিয়ার অনারব জনগণ নিজেদের মাতৃভাষা কবরে পাঠিয়ে আরবী ভাষাকে গ্রহণ করেছিল। তারা বুঝেছিল ভাষাপ্রেম তাদের জান্নাতে নিবে না, জান্নাতে নিবে কুর’আনের জ্ঞান।

অথচ আজকের বিশ্বে মুসলিমরাই সবচেয়ে অশিক্ষিত। আল্লাহ মুসলিমদের শিক্ষিত দেখতে চান। এবং শয়তান চায় অশিক্ষিত রাখতে। এবং বিপুল সংখ্যায অশিক্ষিত থেকে মুসলিমগণ শয়তানকে খুশি করছে। এ পথ তো মহান আল্লাহতায়ালার আযাব ডেকে আনার।

৩. বই পড়ার কল্যাণ এবং না পড়ার বিপদ

ক্ষুধা কমলে বুঝতে হবে দেহে রোগ ধরেছে। তেমনি জ্ঞানের ক্ষুধা লোপ পেলে বুঝতে হবে, বিবেক বা চেতনায় ক্যান্সার ধরেছে। এমন মানুষেরা দৈহিক দিক দিয়ে বলবান হলেও মানসিক দিক দিয়ে অতি অসুস্থ্য। এরা ভাল ভাবে ভাবতে ও বুঝতে পারে না। এরাই জীবনে ব্যর্থ হয়। এদের চরিত্র ধরা পড়ে হাটে বাজারে। মাছ-মাংস ও পোষাক-পরিচ্ছদ কিনতে বহু টাকা ব্যয় করলেও বছরে একখানি বইও তারা কেনে না। এমন লোকদের সংখ্যা যে জাতির মাঝে অধিক সে জাতির জীবনে কখনোই উন্নতি আসেনা। বাংলাদেশীদের মূল রোগ এখানেই। তারা ভেবেছে কাপড় সেলাই, বিদেশ মানব রপ্তানী ও চিংড়ির আবাদ বাড়িয়ে বিশ্বের মাঝে ইজ্জত বাড়াবে!

জ্ঞানের বই ঘরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরূমের চেয়ে সমৃদ্ধ করে। মানুষ জ্ঞানী হয় স্কুল কলেজে ভর্তি হওয়ার কারণে নয়; বরং ঘরে প্রচুর বই রাখা ও সেগুলো পড়ার কারণে। মানব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ জ্ঞানীগণ কোন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল নন, তারা স্বশিক্ষিত। তারা শিক্ষা নিয়েছেন নিজ ঘরের বই পড়ে। মুসলিমদের যখন বিশ্বজোড়া গৌরব ছিল তখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেশী না থাকলেও ঘরে ঘরে লাইব্রেরী ছিল। যার লাইব্রেরীতে যত বেশী বই থাকতো, সমাজে তার ততো মর্যাদা জুটতো। ইতিহাসে এমন নজির নেই, কোন জাতির লোকজন শিক্ষিত হলো অথচ সে জাতি দুর্বল ও পরাজিত হলো। এমন উদাহরণও নাই, জাতি অশিক্ষিত থাকলো, অথচ সন্মান ও বিজয় পেল।

ব্ই কেনার কারণে কেউ দরিদ্র হয়েছে সে প্রমাণ নাই। বরং বই পড়ার কারণে জ্ঞানী হয়েছে এবং উপার্জন ও ইজ্জত বেড়েছে -সে প্রমাণ প্রচুর। মুসলিমদের পতনের শুরু তখন থেকে যখন তারা বই লেখা ও বই পড়ার পথ ছেড়েছে। উন্নয়নের চাবি হলো জ্ঞানার্জন তথা বই পড়া। তাই উন্নয়নের পথ ধরতে হলে বিপুল ভাবে বাড়াতে হয় বই বড়ার আয়োজন। ৭ কোটি মানুষের দেশ বিলেতে যে পরিমাণ বই ছাপা হয় তা ৫৭টি মুসলিম দেশে ছাপা হয় না। বিশ্বব্যাপী মাথাপিছু গড় আয়ের হিসাব নেয়া হয়। মাথাপিছু বইয়ের হিসাব নেয়া হলে বাংলাদেশে যে সবচেয়ে নীচের দেশগুলির একটি হতো -তা নিয়ে কি কোন সন্দেহ আছে?           

মহান আল্লাহতায়ালাও এটিই চান যে মানুষ বেশী বেশী পড়াশুনা করুক। তাই “ইকরা” তথা “পড়” পবিত্র কুর’আনের প্রথম ওহী। মহান আল্লাহতায়ালার এ নির্দেশ প্রাথমিক যুগের মুসলিমদের উপর এতোটাই প্রভাব ফেলেছিল যে সামান্য কিছুকালের মধ্যে তারা বিশ্বের সবচেয়ে শিক্ষিত জাতিতে পরিণত হয়েছিল। গড়ে তুলেছিল বইয়ের বিশাল আয়োজন। অথচ পবিত্র কুর’আনের আগে আরবী ভাষায় কোন বই ছিল না। ছিল শুধু কিছু কাসিদা বা কবিতাগুচ্ছ।

৪. দেশবাসীর সবচেয়ে বড় শত্রু

বাংলাদেশের জনগণের সবচেয়ে বড় শত্রু চোর-ডাকাতেরা নয়। তারা হলো দেশের পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আদালতের বিচারকগণ। চোর-ডাকাতগণ মানুষের ঘরে হানা দিয়ে কিছুঅর্থ লুট করলেও তারা সমগ্র দেশ ডাকাতি করে না। জনগণের ভোট ডাকাতি করে তারা রাজনৈতিক ডাকাত দলের হাতে তুলে দেয়না। কিন্তু পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আদালতের বিচারকগণ দেয়।

চোর-ডাকাতগণ জনগণের রাজস্বের অর্থে প্রতিপালিত হয় না। কিন্তু পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আদালতের বিচারকগণ প্রতিপালিত হয় জনগণের রাজস্বের অর্থে। ফলে তারা শুধু অপরাধীই নয়, চরম  বিশ্বাসঘাতকও। এবং সে বিশ্বাসঘাতকতা জনগণের বিরুদ্ধে। সে বিশ্বাসঘাতকতার নমুনা হলো ২০১৮ সালের ভোটডাকাতির নির্বাচন।

৫. নৈতিক পরীক্ষায় পাশ-ফেল

বিশ্বমাঝে সভ্য ও ভদ্র রূপে গণ্য হতে হলে নৈতিক পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। সে পরীক্ষাটি কখনোই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার হলে হয়না। সেটি হয় রাজনীতি, বুদ্ধিবৃত্তি, কর্ম ও সমাজ-সংস্কৃতির চত্ত্বরে। সে নৈতিক পরীক্ষায় পাশ করতে হলে চোরডাকাত, ভোটডাকাত, গণতন্ত্র হত্যাকারীপ্, স্বৈরাচারী, ও গুম-খুনের নায়ক দুর্বৃত্তদের ঘৃনা করার সামর্থ্য থাকতে হয়। দুর্বৃত্ত ও অসভ্যদের সে সামর্থ্য থাকে না। সে সামর্থ্য তাদেরও থাকে না যারা গণতন্ত্র হত্যাকারী, মানব হত্যাকারী, ক্ষমতালোভী, ও ধোকাবাজ বাকশালী মুজিবকে জাতির পিতা ও বঙ্গবন্ধু বলে। সে নৈতিক সামর্থ্য থাকলে তারা তাকে ঘৃণা করতো।

বাংলাদেশে এদের সংখ্যাটি বিশাল। বাংলাদেশের মূল সংকটটি এখানেই। সে সংকটটি অতি প্রকট দেশের পুলিশ, সেনাবাহিনী, আদালতের বিচারক, বুদ্ধিজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মচারীদের মাঝে। সে ব্যর্থতাটি প্রকট ভাবে ধরা পড়ে এ শতাব্দীর শুরুতে বিশ্বমাঝে দুর্বৃত্তিতে পর পর ৫ বার প্রথম হওয়ায়। সে নৈতিক সামর্থ্য না থাকার কারণে জনগণের ভোট ডাকাতি হয়ে গেলেও রাস্তায় প্রতিবাদ দেখা যায়। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, আদালতের বিচারক, সামরিক বাহিনীর প্রধান বরং সে ভোটডাকাতিকে সুষ্ঠ নির্বাচন বলে। কোন সভ্য সমাজে কি এমনটি ভাবা যায়?

 ৬.  সবাইকে নিজের কর্ম দেখাতে হয়

বাগানের প্রতিটি গাছকেই ফল দিতে হয়। নইলে খড়ি হয়ে চুলার আগুনে জ্বলতে হয়। বিষয়টি অভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রেও। মহান আল্লাহতায়ালা মানুষকে বহুবিধ সামর্থ্য দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। মানব তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। তাই প্রতিটি মানুষ থেকে মহান আল্লাহতায়ালার প্রত্যাশাও অনেক। সে যেমন তাজমহল গড়তে পারে বা চাঁদে নামতে পারে, তেমনি সভ্য সমাজও নির্মাণ করতে পারে। সে পরিণত হতে পারে মহান আল্লাহতায়ালার যোগ্য খলিফায়। কেউ যদি কোন কল্যাণ কর্ম না দিয়ে শুধু অকল্যাণ বাড়ায় -তবে তাকে জ্বলতে হবে জাহান্নামের চুলায়।

৭. দুর্বৃত্তের নির্মূল কীরূপে?

দুর্বৃত্তের নির্মূলই বাংলাদেশের মূল সমস্যা। চোরডাকাতের এখন আর শুধু গ্রামগঞ্জে বসে নাই, তারা দখলে নিয়েছে সমগ্র দেশ। দেশের প্রধানমন্ত্রী হলো দেশের সবচেয়ে বড় ডাকাত। পুলিশ ও আদালতের বিচারকদের দিয়ে দুর্বৃত্ত নির্মূল সম্ভব নয়। বরং তারাই পরিণত হয়েছে বড় দুর্বৃত্তে। তারা ডাকাতি করে নিয়ে সমগ্র দেশ। ফলে পুলিশ বাড়ালে শুধু দুর্নীতিই বাড়বে।

মশামাছি যেমন নোংরা পরিবেশে জন্ম নেয়, দুর্বৃত্তরা জন্ম নেয় তেমনি অসভ্য ও নোংরা সমাজে।তাই দুর্বৃত্তদের উৎপাদন কমাতে হলে সমাজকে সভ্য করতে হয়। সভ্য সমাজ নির্মাণের কাজে মহান আল্লাহর দেয়া হাতিয়ারটি হলো পবিত্র কুর’আন। কীরূপে সে হাতিয়ারের প্রয়োগ করতে হয় সেটি দেখিয়েছেন খোদ মহান আল্লাহতায়ালা। তিনি শুরু করেছিলেন কুর’আন শিক্ষা ফরজ করে, নামায-রোযা ফরজ করেছেন তার প্রায় ১১ বছর পর। অথচ বাংলাদেশে মহান আল্লাহতায়ালার সে পবিত্র সূন্নত বাদ দিয়ে পুলিশ বাড়ানো হচ্ছে। এবং যারা কুর’আনের শিক্ষাকে প্রচার করতো তাদের কারাবন্দী করা হচ্ছে। ০৩/০৬/২০২১

                             

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *