প্রাসঙ্গিক ভাবনা-৬

১.                 

ভারতের উচ্চবর্ণের হিন্দুগণ হিন্দুদের কল্যাণের মাঝে আনন্দ খোঁজে না। তারা আনন্দ খোঁজে মুসলিমদের ক্ষতি করে। বিজিপি সে চেতনা নিয়েই রাজনীতি করে। তেমন এক স্যাডিস্টিক চেতনার কারণেই বিজিপি সরকারের ব্যস্ততা হিন্দুদের কল্যাণ বৃদ্ধির বদলে কী ভাবে মুসলিমদের দুঃখ বাড়ানো যায় -তা নিয়ে। তারা জানে, মুসলিমদের দুঃখ বাড়ালে তাদের ভোটও বাড়বে। বিগত নির্বাচনগুলিতে তাদের সে ধারণা সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। বিজিপি যতই মুসলিমদের খুন ও ধর্ষণ করছে এবং যতই আগুণ দিয়েছে তাদের ঘর ও দোকান-পাটে -ততই বাড়ছে তাদের ভোট। বিজেপির পক্ষে জনমতে বিশাল প্লাবন আসে ১৯৯২ সালে -যখন তারা বাবরি মসজিদের ন্যায় একটি ঐতিহাসিক মসজিদকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছিল। ফলে যে বিজেপির ভান্ডারে মাত্র কয়েক দশক আগে পার্লামেন্টে মাত্র দুইটি সিট ছিল, এখন সে পার্লামেন্টে তাদের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা।  

ভারতীয় দলিত নেতা রাম বিলাস পাসওয়ান বলেছেন, বিজিপির এজেন্ডা হিন্দুদের উন্নয়ন নয়, বরং তাদের মূল এজেন্ডা হলো মুসলিমদের ক্ষতির পরিমান বাড়ানো। এজন্যই তাদের মনযোগ মসজিদ ভেঁঙ্গে ও মুসলিমদের ঘরে আগুণ দিয়ে মুসলিমদের মনে কষ্ট দেয়া এবং তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে উৎসব করা। এমন একটি অসভ্য মানসিকতা শুধু আর.এস.এস বা বিজেপির গুন্ডাদের মাঝেই সীমিত নয়, বরং সেটি ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের মাঝেও বিকট। ফলে মসজিদ ভাঙ্গার ন্যায় অসভ্য অপরাধকে তারা পুরস্কৃত করলো মসজিদের ভিটায় মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দিয়ে। সে অসুস্থ্য চেতনায় প্রকট ভাবে আক্রান্ত ভারতীয় পুলিশগণও। ফলে মুসলিমদের ঘরে আগুণ দিলে, মসজিদ ভাঙ্গলে, মুসলিমদের হত্যা বা ধর্ষণ করলে ভারতে পুলিশ সে গুলিতে বাঁধা দেয় না। তাই যে হাজার হাজার মানুষ বাবরী মসজিদ ভেঁঙ্গেছে তাদের পুলিশ বাধা দেয়নি। এবং গুজরাতে যখন শত শত মুসলিম ঘরে ও দোকানপাটে আগুণ দেয়া হলো এবং মুসলিমদের হত্যা ও ধর্ষণ করা হলো তখনও বাধা দেয়নি।

এরূপ অসভ্য মানসিকতা হিন্দুদের মাঝে প্রকট হওয়াতে বিশ্বের সর্বাধীক দরিদ্র জনগোষ্ঠির বসবাস ভারতে। পাকিস্তানে গরীব মানুষের জন্য যেরূপ ইদি ফাউন্ডেশন বা শওকত খানম কান্সার হাসপাতালের ন্যায় বিশাল বিশাল বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এবং দরিদ্রদের জন্য সরকারি অর্থে যেরূপ লক্ষ লক্ষ ঘর বানানো হচ্ছে – ভারতে তা হচ্ছে না। ফলে ভারতে বহু কোটি মানুষকে রাস্তাঘাটে বসবাস ও পেশাব-পায়খানা করতে হয় এবং বহুলক্ষ মানুষকে বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে হয়। এবং লোন পরিশোধ না করতে পেরে প্রতিবছর আত্মহত্যা করে বহু হাজার কৃষক। এমন কি বাংলাদেশের ন্যায় দেশেও হাজার হাজার কোটি টাকার যাকাত-ফিতরা প্রতি বছর গরীবের ঘরে পৌঁছে। ভারতের হিন্দুগণ ইসলামের সে নিয়ামত থেকেও বঞ্চিত। এরূপ নানা কারণে ভারতে শিশু ও প্রসূতি মায়ের মাঝে মৃত্যুর হার এমন কি বাংলাদেশের চেয়েও অধীক। এবং বাংলাদেশীদের চেয়েও কম ভারতীয়দের গড় আয়ু। সে অপ্রিয় সত্য কথাগুলো সম্প্রতি বেরিয়ে এসেছে অমর্ত্য সেনের কথায়।

২.
হিন্দুগণ পুলিশ, বিচারক বা মন্ত্রী হলেও তারা পক্ষপাতদুষ্ট গোঁড়া হিন্দুই থেকে যায়। ফলে তাদের চেতনায় থেকে যায় হিন্দু-সুলভ তীব্র মুসলিম বিরোধী হিংস্রতা। আজ অবধি তাই কি কোন হিন্দু বিচারক হিন্দুদের বিরুদ্ধে এবং ইসলাম ও মুসলিমের পক্ষে রায় দিয়েছে? তাই সাম্প্রতিক বছর গুলোতে গুজরাত, মোম্বাই, মুজাফ্ফর নগরে যখন দাঙ্গা বাধিয়ে মুসলিমদের হত্যা ও ধর্ষণ করা হলো, মুসলিমগণ পুলিশ থেকে যেমন নিরাপত্তা পায়নি, আদালত থেকেও তেমন কোন বিচার পায়নি। তবে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার মত কেউ যদি এ আগ্রাসী হিন্দুদের বিজয় বাডাতে নিজ দেশের স্বাধীনতা উজাড় করে দেয় তবে তাকে তারা যেমন বাহবা দেয়, তেমনি প্রতিরক্ষাও দেয়। তাই ভারতে মুসলিম হত্যা ও মসজিদ ভাঙ্গলেও বাংলাদেশে তারা ভোট-ডাকাত হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।

৩.
হিন্দুগণ প্রথমে মিথ্যা রটায়, তারপর সে মিথ্যার পক্ষে পৌরাণিক কল্পকাহিনী খাড়া করে। এরপর সে মিথ্যাকে ধর্মীয় বিশ্বাস রূপে জনগণের মাঝে জনপ্রিয় করে। পরে আদালতও প্রমাণ ছাড়াই সে মিথ্যার পক্ষে রায় দেয়। মিথ্যাকে এভাবেই বিজয়ী করা হলো ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ে। এমন কি ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের রায়েও বলা হয়েছে তারা এ প্রমাণ পা্য়নি যে, বাবরি মসজিদ মন্দিরের উপর গড়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরও মিথ্যাকে বিজয়ী করা হয়েছে। যুক্তি হিসাবে রায়ে বলা হয়েছে, জনগণের বিশ্বাস প্রমাণে কোন প্রমাণ লাগে না। তাই হিন্দুদের প্রচলিত বিশ্বাসকে মেনে নিয়েই মসজিদের ভূমিতে মন্দির নির্মাণর পক্ষে রায় দেয়া হয়েছে। অথচ মসজিদ যে কোন মন্দিরের উপর গড়া হয়নি -মুসলিমদের সে বিশ্বাস প্রমাণ করতে বিচারকদের পক্ষ থেকে প্রমাণ চাওয়া হয়েছে। এতে প্রমাণ মেলে, বিচারকগণ রায় দিয়েছেন পক্ষপাতদুষ্ট গোঁড়া হিন্দু রূপে, নিরপেক্ষ বিচারক রূপে নয়।
 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলে বেড়ায়, তাদের ঋষিগণ স্পেস শিপে আকাশে উড়ে বেড়াতো। আরো বলে, প্রাচীন ভারতের হিন্দুগণ সর্বপ্রথম প্লাস্টিক সার্জারির প্রবর্তন করে এবং তারাই হাতির নাক গনেশের নাকের উপর বসিয়ে দিয়েছে। একই রূপ মিথ্যাচারের মধ্য দিয়ে তারা পুরুষের লিংগ, নিজেদের হাতে গড়া পুতুল ও গরুকে পূজনীয় করেছে। বাবরি মসজিদের ন্যায় ৪০০ মসজিদ গড়া হয়েছে মন্দির ভেঙ্গে এরূপ অসংখ্য মিথ্যাও যে তারা এভাবে জনগণের মাঝে জনপ্রিয় বিশ্বাস রূপে প্রতিষ্ঠা দিবে তাতেই বা অস্বাভাবিক কি? বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পর নতুন ভাবে বলা শুরু করেছে তাজমহলও মন্দিরের উপর গড়া হয়েছে। দাবী তুলছে সেখানেও মন্দির গড়া হবে।

৪.
দুনিয়ার এ জীবন পরীক্ষা নেয়ার জন্য। পবিত্র কোর
আনে তাই বলা হয়েছে, তিনিই (মহান আল্লাহ) মৃত্যু এবং জীবনকে সৃষ্টি করেছেন এজন্য যে, তিনি পরীক্ষা করবেন তোমাদের মধ্যে কে কর্মে উত্তম। -( সুরা মুলক, আয়াত ২)। তাই শুধু ঈমান আনলে বা নামায-রোযা পালন করলে চলে না, পরীক্ষায় পাশ করতে হয় নেক আমলের মাধ্যমে। এখানে পরীক্ষা হয় কে আখেরাতে জান্নাতের যোগ্য এবং কে জাহান্নামের যোগ্য -সে বিষয়টি জানার জন্য। ফলে এটি মানব জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। চাকুরি জীবনে পরীক্ষা ছাড়া প্রমোশন মেলে না। আর আখেরাতের প্রমোশনটি তো বিশাল। তাই বিশাল ও নিখুঁত হলো পরীক্ষার আয়োজনটিও। পরীক্ষার হলে প্রতিটি ভাল ছাত্রের থাকে পাশের চিন্তা, তাই একটি মুহুর্তও সে অপচয় করেনা। পরীক্ষার হলে বসে তাই কেউ ঘুমায় না, গান-বাজনা শুনে না বা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করে না। বরং প্রতিটি মুহুর্ত ব্যয় করে পরীক্ষার খাতায় স্কোর বাড়াতে।

পরীক্ষায় পাশের একই রূপ চেতনা কাজ করে প্রকৃত ঈমানদারের জীবনে। তাই যারা প্রকৃত ঈমানদার, তাদের মাঝে থাকে নেক আমল বাড়ানোর বিরামহীন ব্যস্ততা। এবং সেটি কবরে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। পরীক্ষায় পাশের মধ্যেই মাগফিরাত। পবিত্র কোরআনেও তাগিদ দেয়া হয়েছে সে মাগফিরাত লাভে প্রতিযোগিতা ও তাড়াহুড়া করতে (সুরা হাদিদ ও সুরা আল ইমরান দ্রষ্টব্য)। তাই মুমিনের জীবনে কোন রেটায়ারমেন্ট বা অবসর নাই। বড় দুটি নেক আমল হলো জ্ঞানলাভ ও জ্ঞান দান। এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নেক আমলটি হলো জিহাদ। তাই যে দেশে প্রকৃত ঈমানদারদের সংখ্যা বেশী, সে দেশে জ্ঞানের রাজ্যে জোয়ারটি অনিবার্য। তেমনি অনিবার্য হলো ইসলামের শত্রুশক্তির বিরুদ্ধে লাগাতর জিহাদ। তারই প্রমাণ দেখা গেছে প্রাথমিক যুগের মুসলিমদের মাঝে। সে সময় এমন কোন সাহাবী ছিলেন না যিনি আলেম বা জ্ঞানী ছিলেন। এবং এমন কোন সাহাবা ছিলেন না যিনি নিজের জান ও মালের কোরবানী পেশ করতে জিহাদে যাননি।

আরবী ভাষায় কোরআনের আগে কোন লিখিত ব্ই ছিল না। কিন্তু সে আরবী ভাষাতে ১৪ শত বছর আগে সমগ্র বিশ্ব মাঝে জ্ঞানের সবচেয়ে বড় ভান্ডার গড়ে উঠেছিল। সে সাথে এসেছিল জিহাদের জোয়ার। জিহাদের সে তীব্র জোয়ারে পতন ঘটেছিল রোমান সাম্রাজ্য ও পারসিক সাম্রাজ্য সে সময়ের এ দুটি বিশ্বশক্তির। অথচ আজ মুসলিম জাহানের চিত্রটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। নেক আমলের বিচারে তারা বড়ই দৈন্যতার শিকার। তারা যেমন জ্ঞানের রাজ্যে নাই, তেমনি  নাই জিহাদের রাজ্যেও। বরং জোয়ার এনেছে দুর্বৃত্তিতে এবং আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে।

একটি দেশের জনগণ পরীক্ষায় কী হারে ফেল বা পাশ করবে -সেটির বিচারে কি সে দেশের মসজিদ-মাদ্রাসা বা মানুষের টুপি-দাড়ি গণনা করার প্রয়োজন পড়ে? দেশে কীরূপ দুর্বৃত্তি ও নেক আমল হচ্ছে -তা দেখেই তো নির্ভূল একটি ধারণা পাওয়া যায়। বাংলাদেশ এ শতাব্দীর শুরুতে ৫ বার দুর্নীতিতে বিশ্বে প্রথম হয়েছে। এখনও দেশ চোর-ডাকাতদের পুরাপুরি দখলে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজেই একজন ভোট-ডাকাত। চুরি-ডাকাতির পাশাপাশি জ্ঞানার্জনের নেক আমল বিদায় নিয়েছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সেখানে পয়দা হয় খুনি, ঘুষখোর, ধর্ষক, চাঁদাবাজ ও নানারূপ দুর্বৃত্ত। দুর্বৃত্তের নায়ক-নায়িকায় পরিণত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ভিসিগণও। মহান আল্লাহতায়ালার নির্ধারিত এ পরীক্ষার হলে বাংলাদেশীরা যে কীরূপ গণহারে ফেল করছে -সেটি কি দেশে দুর্বৃত্তির জোয়ার দেখে বুঝতে বাঁকি থাকে? দুর্বৃত্তিতে ডুবে থেকে কি নেক আমলের পরীক্ষায় পাশ করা যায়?

৫.

মানুষ তার ঘর থেকে বের  হয় কোথায় যাবে সে চিন্তাকে মগজে রেখে। তাই রাস্তায় এক কদমও কেউ ফেলেনা -কোথায় সে যাবে সেটি ঠিক না করে। আখেরাত হলো মানুষের জীবনের শেষ ঠিকানা। এখানে রয়েছে জান্নাত ও জাহান্নাম। প্রকৃত বুদ্ধিমান তো তাঁরাই যারা জীবনে পথ চলে হৃদয়ে জান্নাতের ঠিকানা রেখে। এবং যার হৃদয়ে জান্নাতের ঠিকানা
সেই তালাশ করে সে ঠিকানায় পৌঁছার সিরাতুল মুস্তাকীম তথা কোর
আনের পথ।

৬.
কারো মৃত্যুতে
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিয়ুন পড়া হয়। নিশ্চ্য়ই সবাই আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয়ই সবাইকে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে -একজন ব্যক্তি মারা গিয়ে সেটিই অন্যদের শিখিয়ে যায়। প্রকৃত কল্যাণ তো এ চেতনাটি শুধু অন্যের মৃত্যুতে নয়, নিজ জীবনের প্রতি মুহুর্তে হৃদয়ে নিয়ে বাঁচায়।

৭.
ভারতের উগ্র হিন্দু সংগঠনগুলি সোসাল মিডিয়াতে ৪০০ মসজিদের তালিকা প্রকাশ করেছে। অনেকগুলি তাদের গয়া, কাশি ও মথুরাতে। সে গুলিকে ধ্বংস করা এখন তাদের নতুন টারগেট। উগ্র হিন্দু সংগঠনগুলির লক্ষ্য তিনটিঃ এক). দৈহিক ভাবে মুসলিমদের নির্মূল; দুই). মুসলিমদের চেতনা থেকে ইসলাম বিলুপ্তি; তিন). মুসলিম প্রতিষ্ঠানগুলি যেমন মসজিদগুলির নির্মূল। তারা ভাবছে এ ভাবেই ভারতভূমি মুসলিম শূন্য বা মুসলিমের প্রভাবশূন্য করা যাবে।  

৮.

মসজিদের মালিকানা একমাত্র মহান আল্লাহতায়ালার। যে ভূমিতে একবার মসজিদ নির্মিত হয় সে ভূমি আল্লাহর হয়ে যায়। কোন আদালতের এ অধিকার থাকে না যে, মসজিদের ভূমিতে কাউকে মন্দির নির্মাণের অধিকার দিবে। প্রতিটি মুসলিমের ঈমানী দায়ভার হলো, মহান আল্লাহতায়ালার সে মালিকানাকে প্রতিরক্ষা দেয়া। প্রশ্ন হলো, মুসলিমগণ আল্লাহর ঘরের প্রতিরক্ষা দেয়ার কাজে যদি দায়িত্বহীন হয়, তবে মহান আল্লাহতায়ালাও কি তাদের ঘরের নিরাপত্তা দিবেন? তাই ভারতীয় মুসলিমদের সামনে এখন এক বিশাল পরীক্ষা। আল্লাহতায়ালার ঘরের নির্মূল স্বচোখে দেখেও যদি ২০ কোটি ভারতীয় মুসলিম নীরব থাকে তবে তাদের উপর মহান আল্লাহতায়ালার আযাবও অনিবার্য হয়ে উঠবে। তখন বিপদে পড়বে তাদের নিজেদের ঘরও। ১২/১১/২০১৯

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *