বাঙালী মুসলিমের গাঁথা

ফিরোজ মাহবুব কামাল

ঝাঁকের কই ঝাঁকে চলে,
কুয়ার ব্যাঙ ভয় পায় সাগরে নামতে।
এরাই দেশ ভাঙ্গে ও গর্ত খোঁজে,
মুসলিমগণ আজ শক্তিহীন ও ইজ্জতহীন তো এদেরই কারণে।

পঞ্চাশটির বেশী দেশ গড়েছে এরাই এভাবে।

ভাষা-ভূগোল ও জাত-পাতের গোলামেরা হয় কি কভু স্বাধীন?
গোলামেরাই প্রভু খোঁজে,
ভারতও তাই কোটি কোটি গোলাম পায় বাংলাদেশের বুকে।

ইজ্জত নিয়ে, শক্তি নিয়ে বিশ্বমাঝে দাঁড়াতে চায় যারা,
যাদের রক্তে ইসলামকে বিজয়ী করার নেশা,
একতা ছাড়া অন্য কোন উপায় কি আছে তাদের?
তারা কি কভু বন্দী হয় ভাষা ও ভূগোলে?

এরাই তো ঝান্ডাবাহী বৃহৎ ভূগোলের।
দেশ না ভেঙ্গে একতা গড়ে,
এবং নানা ভাষার নানা দেশের মানুষকে নিয়ে
বিশাল দেশ গড়ে।

কুর’আনী বিধান একতা গড়ায়, বিভেদে বিদ্রোহ,

বিদ্রোহ নেয় জাহান্নামে, সেটিই তো প্রতিশ্রুত।

ঈমানদারের কি সাহস হয় এমন অবাধ্যতায়?

ইরানী-আরব, তুর্কী-কুর্দি জোট বাঁধাতে জুটলো রহমত আল্লাহর,
বিশ্বশক্তির ইজ্জত পেল নবীর উম্মত।
সাতচল্লিশে সেই পথটাই বেছে নিয়েছিল ভারতের মুসলিম,
বাঙালী-পাঠান, সিন্ধি-বেলুচ, পাঞ্জাবী-বিহারী একাকার হয়ে গড়লো পাকিস্তান।

শত্রুরাও সেদিন বসে থাকেনি,
মুসলিমরা শক্তি পাবে, বিশ্বজোডা ইজ্জত পাবে -তা কি করে হয়?
নেড়েদের এই সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রটাকে না ভাঙ্গলেই নয়।

কাফেরদের সাথে জোট বাঁধলে বাঙালী মুসলিম,
এমন কান্ড মুসলিমগণ করেনি কভু আগে,
তাদেরই অস্ত্রে, তাদেরই অর্থে, তাদেরই বিজয়ে যুদ্ধ করলো মুসলিম সন্তান।
হিন্দুদের এমন বিজয় হয়নি কভু আর।
তাই তো তারা উৎসব করে সারা ভারতময়।

কাফেরদের মুখে হাঁসি ফোটায়, ভাঙ্গে মুসলিম দেশ,
আল্লাহর কাছে এমন গাদ্দার হয় কি কভু প্রিয়?
এ পথটি যে আযাবের পথ, গজবের পথ -সেহুশ ক’জনের?
বাঙালী চিত্ত বেজায় মত্ত কাফেরদের বিজয়ী করে! ২০/১২/২০২১।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *