বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস ও ভোটডাকাতদের নাশকতা

দ্বি-মুখি হামলার মুখে জনগণ

ভয়ানক দ্বি-মুখি হামলার শিকার এখন বাংলাদেশের জনগণ। এক দিকে প্রাণনাশী করোনা ভাইরাসের মহামারি। অপরদিক ঘাড়ের উপর খাড়িয়ে ভোট-ডাকাতদের বিশাল ঘাতকদল। লাশ পড়ছে যেমন করোনা ভাইরাসে, তেমনি শত শত লাশ পড়ছে সরকারি দলের গুন্ডা, পুলিশ ও RAB এর খুনিদের হাতে। ফলে ভয়াবহ বিপদের মুখে এখন বাংলাদেশের জনগণ। এরূপ মহামারির মোকাবেলার সামর্থ্য আম জনগণের থাকে না। এটি এক বিশাল যুদ্ধ। এ যুদ্ধ এতই ভয়ংকর যে শিরকমুক্ত হয়ে নিহত হলে ইসলামে রয়েছে শহীদের মর্যাদা।এ যুদ্ধের মোকাবেলায় মার্কিন যুক্তরা্ষ্ট্রের ন্যায় বিশ্বশক্তিও হিমশিম খাচ্ছে। হিমশিম খাচ্ছে গ্রেট ব্রিটেন, ফান্স, রাশিয়া, ইটালী, স্পেন। প্রশ্ন হলো, এ মুহুর্তে বাংলাদেশ কি করবে? বাংলাদেশীদের জন্য মহাবিপদ এজন্য যে, দেশে দায়িত্বশীল কোন সরকার্ নেই। আছে এক ভোটডাকাত সরকার। ডাকাতদের কাজ তো ডাকাতি করা, তাদের কাছ থেকে কি জনকল্যাণ আশা করা যায়? 

সভ্য ও বিবেকবান মানুষের প্রধান গুণটি হলো, কিসে মানুষের কল্যাণ তা নিয়েই গভীর চিন্তা-ভাবনা করা এবং সে ভাবনা নিয়ে ত্বরিৎ ময়দানে নেমে পড়া। দেশ সভ্যতর ও সমৃদ্ধ হয় এমন বিবেকবান মানুষের কারণেই। কিন্তু চোর-ডাকাত ও ভোটডাকাতদের ন্যায় অপরাধীদের থেকে কি সেরূপ কিছু আশা করা যায়? যে অপরাধীদের কাজ চুরি-ডাকাতি, ভোটডাকাতি ও গুম-খুনের রাজনীতি, তাদের মানসিক বিকলাঙ্গতাটি বিশাল। তাদের থাকে না জনগণের কল্যাণ নিয়ে কিছু ভাবা ও কিছু করার সামর্থ্য। ক্যান্সারে পেট আক্রান্ত  হলে খাদ্যে রুচি থাকে না। তেমনি নীতি-নৈতিকতা মারা পড়লে, রুচি থাকে না সভ্য কাজে। ফলে জনগণের স্বাস্থ্য খাত, শিক্ষাখাত বা অন্য কোন জনকল্যাণ নিয়ে ভাবার রুচি চোর-ডাকাত ও ভোটডাকাতদের থাকে না। সভ্য কর্ম বাদ দিয়ে তারা বরং আবিস্কার করে দুর্বৃত্তির নতুন কৌশল। ২০১৮ সালে তেমনই এক অসভ্য আবিস্কার হলো নির্বাচন-পূর্ব রাতে ভোটডাকাতির কৌশল। ইতিহাসের বুকে বাংলাদেশ কোন সভ্য আবিস্কারে স্থান না পেলেও অবশ্যই বেঁচে থাকবে ভোটডাকাতির এ অসভ্য আবিস্কার নিয়ে। বিপদের আরো কারণ, বাংলাদেশ সে অসভ্যদের হাতেই আজ অধিকৃত। তাদের রাজনীতির মূল লক্ষ্য, যে কোন মূল্যে নিজেদের বাঁচানো, জনগণকে বাঁচানো নয়। সেটি বুঝা যায় তাদের রাজনীতির লক্ষ্য ও বিনিয়োগ দেখে।  

বাংলাদেশের ভোটডাকাতগণ কথা বলে ফেরেশতার ন্যায়। অথচ তাদের আসল চরিত্র কখনোই গোপন থাকার নয়। সেটি জানা যায়, কীভাবে তারা ক্ষমতায় এলো তা থেকে। জানা যায়, বাজেটের বিভিন্ন খাতে অর্থ বরাদ্দের দিকে নজর দিলে। রাজস্বের অর্থ জনগণের। ফলে জনগণের কল্যাণ নিয়ে যারা ভাবে, রাজস্বের অর্থ তারা ব্যয় করে জনগণের কল্যাণে। কোন নেতা বা নেত্রীর মৃত পিতা বা মাতার স্মৃতিকে বড় করতে নয়। জন-কল্যাণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাতটি হলো স্বাস্থ্য খাত। ফলে যারা জনগণের কল্যাণ নিয়ে ভাবে তারা জাতীয় বাজেটে সবচেয়ে বেশী বরাদ্দ রাখে স্বাস্থ্য খাতে। কারণ, এ খাতটি হলো জনগণকে মৃত্যু থেকে বাঁচানোর খাত। ফলে অন্য কোন খাত এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। অধিকাংশ মানুষই নানা পেশায় নেমে নিজ পরিবারের ভরন-পোষনের দায়ভার নিজে পারে। কিন্তু নানা রোগ-ভোগে চিকিৎসায় খরচ বহনের সামর্থ্য সবার থাকে না। থাকে না প্রয়োজনীয় অর্থ। এ কাজটি তাই সরকারের। সরকার সে দায়ভার না নিলে গরীবদের বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে হয়। তাই দেশের সরকার কতটা সভ্য, বিবেকমান ও দায়ত্বশীল  সেটি জানতে গবেষণার প্রয়োজন পড়ে না, বুঝা যায় জাতীয় বাজেটের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেখে।

 

অবহেলিত স্বাস্থ্যখাত

বাংলাদেশের বাজেটের জনকল্যাণমুখি চরিত্র কতটুকু সেটির বিচার করা যাক। গ্রেট ব্রিটেনের জনসংখ্যা ৬ কোটি ৭০ লাখ। এ দেশটির বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ হলো ১৪০.৪ বিলিয়ন পাউন্ড। অপরদিকে বাংলাদেশের জনসংখ্য ১৭ কোটি যা গ্রেট ব্রিটেনের জনসংখ্যার আড়াই গুণ। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দের পরিমাণ ২৯,৪৬৪ কোটি টাকা অর্থাৎ ২৯৪ বিলিয়ন টাকা। বর্তমানে পাউন্ডের মূল্য ১০০ টাকারও কিছু বেশী। অতএব স্বাস্থ্যখাতের বরাদ্দকৃত ২৯৪ বিলিয়ন টাকার পরিমাণটি ৩ বিলিয়ন পাউন্ডেরও কিছু কম। ৬ কোটি ৭০ লাখ জনগণের জন্য ১৪০.৪ বিলিয়ন পাউন্ড এবং ১৭ কোটি মানুষের জন্য ৩ বিলিয়নেরও কম। বাংলাদেশে মাথাপিছু স্বাস্থ্য বাজেট মাত্র ১৭ পাউন্ডেরও কাছাকাছি। অথচ বিলেতে সেটি ২ হাজার ৯৫ পাউন্ড।

বিষয়টি অন্যভাবে দেখা যাক। বাংলাদেশে অর্থভান্ডার গ্রেট ব্রিটেনের সাথে তূলনীয় নয়। কিন্তু তূলনা করা যেতে দেশ দুটির স্বাস্থ্য খাতের প্রায়োরিটির। সেটি বুঝা যায়, জিডিপি (Gross Domestic Product) ও  সর্বমোট বাজেটের কতটা স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় হয় -তা থেকে। বাজেট অর্থ বরাদ্দের পরিমান কম হতে পারে, কিন্তু তূলনামূলক বিচারে স্বাস্থ্য খাতের প্রায়োরিটি কখনোই কম পারে না। দেখা যাক,  জিডিপি’র কতটা ব্যয় হয় স্বাস্থ্য খাতে? গ্রেট ব্রিটেন তার জিডিপি’র ৭% খরচ করে স্বাস্থ্য খাতে।  বাংলাদেশ স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দিয়েছে জিডিপি’র মাত্র ১.০২%।  ব্যয়ের এ অনুপাতটি প্রতিবেশী ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল ও পাকিস্তান থেকেও কম। ভারত ব্যয় করে জিডিপি’র ১.১৬% ৴এবং শ্রীলংকা ব্যয় করে ১.৫০%। তবে দক্ষিণ এশিয়ার বুকে সবচেয়ে বেশী বরাদ্দ নেপালের এবং দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তান । ২০১৬ সালে স্বাস্থ্য খাতে নেপাল ব্যয় করেছিল জিডিপি’র ৬.৩% এবং পাকিস্তান ব্যয় করেছিল তার জিডিপি’র ২.৭৫%। বাংলাদেশ ও ভারতের তুলনায় পাকিস্তানের জিডিপি ব্যয় ছিল দ্বিগুণ। নেপালের ছিল ৫ গুণ।  

তুলনা করা যাক, প্রতিবেশী দেশগুলোর মাঝে সমুদয় বাজেটের কে কতটা স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করে -সেটি? বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়ের পরিমাণ সমুদয় বাৎসরিক বাজেটের মাত্র ৫.৬৩%। এ বরাদ্দটি প্রতিবেশী পাকিস্তানের তুলনায় অত্যন্ত কম। পাকিস্তানের সরকার  ২০১৯ সালের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দিয়েছে মোট বাজেটের ১৭.৭% ভাগ। অথচ দেশের ভোটডাকাত সরকারের দাবী, বাংলাদেশের অবস্থা পাকিস্তানের চেয়ে অনেক ভাল। এদের অনেকে পাকিস্তানকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বলে। অপর দিকে সরকারের মন্ত্রীগণ বড়াই করে, বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হতে যাচ্ছে। অপরদিকে গ্রেট ব্রিটেন স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেয় মোট বাজেটের ২৪%। এমন বিশাল বরাদ্দের কারণেই ব্রিটিশ সরকার তার নাগরিকদের জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে হার্ট অপারেশন, ট্রান্সপ্লান্ট অপরাশেন,ডায়ালাইসিসের ন্যায় সকল প্রকার চিকিৎসাই বিনা মূল্যে দেয়। অথচ বাংলাদেশে রোগীদেরও প্রাণ বাঁচানোর ঔষধ সরকার থেকে দেয়া হয় না। ডায়ালাইসিসের সামর্থ্য না থাকায় অধিকাংশ রোগীই বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে বাংলাদেশে। ফলে বুঝতে কি বাঁকি থাকে, বাংলাদেশে জনগণের প্রাণ বাঁচানোর খাতটি কতটা অবহেলিত। তাতে ধরা পড়ে সরকারের দায়িত্বহীনতা। অথচ শত শত কোটি টাকা ব্যয় হয় মৃত মুজিবের নামে। শত কোটি টাকা ব্যয় করে মুর্তি গড়া হয়। হাজার হাজার কোটি টাকার চুরিডাকাতি হয়ে যাচ্ছে সরকারি তহবিল থেকে -যা দিয়ে শত শত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা দেয়া যেত, কেনা যেত বহু হাজার ভেন্টিলেটর এবং দেয়া যেত কিডনি ডায়ালাইসাইসিস। বহু লক্ষ মানুষকে তখন বিনা মূল্যে প্রাণ বাঁচানোর চিকিৎসা দেয়া যেত।

বাংলাদেশে অভাব অর্থের নয়, বরং সেটি বিবেকের। ভোটডাকাতদের সেটি থাকারও কথা নয়। তাদের এজেন্ডা মানুষকে বাঁচানো নয়, বরং গুমখুন,ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বা ক্রসফায়ারে দিয়ে মানুষ মারার। এ দুর্বৃত্তগণ বাজেটের বেশীর ভাগ অর্থ খরচ করে নিজেদের গদি বাঁচাতে। নিজের পকেট ভরতে এরা সরকারি প্রজেক্টের অর্থের করে চুরি-ডাকাতি। তাদের চুরি-ডাকাতির ফলে প্রতি মাইল রাস্তা বানাতে বাংলাদেশে খরচ হয় বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় বেশী। জনগণের দেয়া রাজস্বের অর্থ ব্যয় হচ্ছে পুলিশ বাহিনী, প্রশাসন, বিচারক, RAB ও সেনাবাহিনীর ন্যায় যারা ভোটডাকাত সরকারের গদির পাহারাদার ও ভোটডাকাতির ডাকাত তাদের জৌলুস বৃদ্ধিতে। অপরদিকে বিনা চিকিৎসায় লাখ লাখ মানুষ মারা গেলেও তা নিয়ে সরকারেরর মাথা ব্যথা নেই। বরং প্রচার দেয়া হয়, সরকার প্রচুর সেবা দিচ্ছে। যত দোষ রোগ-জীবানু ও জনগণের। 

 

যে আযাব অনিবার্য দুর্বৃত্ত শাসনে

যে কোন যুদ্ধ যোদ্ধা লাগে। এবং লাগে যুদ্ধাস্ত্র এবং যোগ্য জেনারেল বা নেতৃত্ব। খালি হাতে কোন সৈনিককে রণাঙ্গণে পাঠানোটি গুরুতর অপরাধ। এতে স্রেফ প্রাণক্ষয় হয়। তেমনি এক গুরুতর অপরাধ হচ্ছে বাংলাদেশের ডাক্তার ও নার্সদের সাথে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ডাক্তার ও নার্সদের যুদ্ধটি করতে হচ্ছে অনেকটা খালি হাতে। শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বেসরকারি ডাক্তার ও নার্সদের নির্দেশ দেয়া হচ্ছে, পারসোনাল প্রটেকটিক ইকুইপমেন্ট তথা মাস্ক, গ্লাভস, এ্যাপ্রোন, চোখের কভার নিজ খরচে কিনতে। যেন যুদ্ধে যেতে হবে নিজে অস্ত্র কিনে! 

যে কোন যুদ্ধে সৈনিকদের স্বীকৃতি ও তাদের প্রতি সৌজন্যবোধ  যে কোন সভ্য সমাজেই কাম্য। নইলে যুদ্ধে সৈনিক জোটে না। কিন্তু বাংলাদেশের সরকারি মহলে সেটি নেই। পাকিস্তানে ডাক্তার-নার্সদের হাসপাতালের সামনে গার্ড অব অনার দেয়া হচ্ছে। সে চিত্র টিভিতেও বার বার দেখানো হচ্ছে। বিলেতে ডাক্তার-নার্সদের শুধু সরকার নয়, জনগণও দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে সমস্বরে সাবাশ দিচ্ছে। সে চিত্রও টিভিতে বার বার দেখানো হচ্ছে। হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সদের সাবাশ দিতে তাদের কাছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উপঢৌকন নিয়ে হাজির হচ্ছে্। অথচ বাংলাদেশে তাদেরকে তিরস্কার করা হচ্ছে। জরুরী সামগ্রী না জুগিয়ে হাসিনা হুমকি দিচ্ছে, সে নাকি বিদেশ থেকে ডাক্তার আনবে।  

বাংলাদেশের হাসপাতালগুলির অবস্থাও বেহাল। নাই জরুরী সামগ্রী। নাই কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য পৃথক পৃথক কামরা। অধিকাংশ হাসপাতালে নাই ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট। এ মুহুর্তে অতি জরুরী হলো ভেন্টিলেটর যা কৃত্রিম ভাবে অতি অসুস্থ্য রোগীকে অক্সিজেন জোগায়। তাতে রোগী পায় রোগের সাথে লড়াইয়ের সামর্থ্য এবং পায় কিছু বাড়তি সময়। অনেক রোগী তাতে বেঁচে যায়। ভেন্টিলেটর না লাগালে রোগের সাথে লড়াইয়ের সামর্থ্য দ্রুত লোপ পায় এবং রোগী মারা যায়। ভেন্টিলেটর সংগ্রহে সরকারের উদ্যোগ কই? হাসপাতালে নাই পর্যাপ্ত সংখ্যক মাস্ক। নাই রোগীদের ভাইরাস সনাক্ত করার টেস্ট সামগ্রী। দেশ জুড়ে পুরা এক বেহাল অবস্থা।

অপরদিকে মন্ত্রীদের দাবী, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকতে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আসা অসম্ভব। এভাবে এক ভোটডাকাত দুর্বৃত্তকে তারা অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারি দরবেশ বানিয়ে ফেলেছে। যেন বাংলাদেশে আসতে হলে ভাইরাসকে শেখ হাসিনার অনুমতি নিয়ে আসতে হবে। সুস্পষ্ট শিরক আর কাকে বলে? ভাবটা এমন, যে দেশে সাপ-শকুন, গরু-ছাগলকে ভগবান বলা হয়, সে দেশে হাসিনা কম কিসে? অথচ ভাইরাস শুধু আসে নাই, বহু লোক তাতে ইতিমধ্যে মারা গেছে। বাংলাদেশে যে কীরূপ বিবেকশূণ্য আহম্মকদের শাসন চলছে -সেটি কি এরপরও বুঝতে বাঁকি থাকে?     

দুর্বৃত্তদের ক্ষমতায় রাখার এটি হলো এক ভয়ংকর আযাব। আযাব তখন নানা বেশে মানুষকে ঘিরে ধরে। আযাবেরই এক রূপ, দেশ ছেয়ে যায় ভয়ানক দুর্বৃত্তদের দ্বারা।  মানব ইতিহাসের নৃশংস বর্বরতাগুলো কখন বাঘ-ভালুকের ন্যায় হিংস্র জানোয়ার হাতে হয়নি। বরং হয়েছে মানবরূপী এরূপ হিংস্র জন্তুদের হাতে। পবিত্র কোর’অআনে এদের শুধু পশু বলা হয়নি, তার চেয়েও নিকৃষ্ট জন্তু বলা হয়েছে। পবিত্র কোর’আনের ভাষায় সে বর্ণনাটি হলো, “উলা’য়িকা কা আল আন’য়াম, বালহুম আদাল” অর্থঃ এরাই হলো গবাদি পশুর ন্যায়, বরং তার চেয়েও নিকৃষ্ট।”

তাই ইসলামে সবচেয়ে বড় মাপের ইবাদতটি জঙ্গলের বাঘ-ভালুক নির্মূল নয়। ড্রেনের মশামারি নির্মূলও নয়। বরং সেটি হলো রাষ্ট্র থেকে দুর্বৃত্ত নির্মূলের জিহাদ। যারা প্রকৃত  মুসলিম তাদের মাঝে দুর্বৃত্ত নির্মূলের এ পবিত্র জিহাদটি নামায-রোযা, হজ্ব-যাকাতের ন্যায় অতিশয় মজ্জাগত বলেই সুরা আল-ইমরানে মহান আল্লাহতায়ালা মুসলিমদের সমগ্র মানব জাতির মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি বলে অভিহিত করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশে কোথায় সে মুসলিম? কোথা সে ইসলাম? এবং  কোথায় সে জিহাদ? ১৬/০৪/২০২০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *