দেশ নিয়ে ভাবনা-১

১.

একাত্তরে ভারত এক ঢিলে দুই পাখি মেরেছে। এক).পাকিস্তানকে ভেঁঙ্গেছে। দুই). বাংলাদেশকে গোলাম বানিয়েছে। এভাবে বিপুল ভাবে বেড়েছ ভারতের শক্তি এবং দুর্বল হয়েছে মুসলিমগণ। ভারতের কামান এখন ২০ কোটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে।

ভারতীয় সে প্রকল্পের সাথে সহযোগিতার চেতনাই হলো একাত্তরের চেতনা। আজ সে চেতনাই নিয়েই কাজ করছে শেখ হাসিনা ও তার দলের লোকেরা। ফলে সমুদ্রবন্দর, করিডোর, নদীর পানি, গ্যাসসহ ভারত যাচ্ছে শেখ হাসিনা তাই দিচ্ছে। কারণ ভারতকে শক্তিশালী করার জন্য সেগুলি দেয়াকে শেখ হাসিনা অপরিহার্য মনে করে। জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী কাশ্মির সমস্যার সমাধান হতে হবে কাশ্মিরীদের রায়ের ভিত্তিতে। ভারত সে প্রস্তাব না মেনে গায়ের জোরে ভারত ভূক্ত করার জন্য সেখানে আগ্রাসন চালাচ্ছে। সেখানে গণহত্যা ও দমন প্রক্রিয়া চালাতে ভারত সেখানে ৮ লাখ সৈন্য সমাবেশ করেছে। বিশ্বের মুসলিমগণ কাশ্মিরীদের পক্ষে। কিন্তু ভোট-ডাকাত হাসিনা ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। এভাবে মুসলিম স্বার্থের সাথে গাদ্দারি করে ভারতের পাশে দাঁড়ানোটাই  হলো একাত্তরের চেতনা। এ চেতনার যারা বিরোধী তারা শুধু একাত্তরের রাজাকারই নয়, আজকের এবং ভবিষ্যতের রাজাকারও।

২.
সভ্য শাসকেরা শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে ভাবে না, দারুন ভাবে মানব-উন্নয়ন তথা মানবের চরিত্রের উন্নয়ন নিয়ে। নইলে সভ্য সমাজ নির্মিত হয় না। অপর দিকে ডাকাত সর্দারের মূল ভাবনাটি নিজ দলে ডাকাতের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে। অসভ্য ভোট-ডাকাত সরকারর মনযোগটি তাই জনগণের চরিত্র ধ্বংস নিয়ে। কারণ, এ পথে দুর্বৃত্ত বৃদ্ধির সাথে সাথে তার সমর্থকও বাড়ে। সে প্রয়োজন মেটাতেই ভোট-ডাকাত হাসিনার অসভ্য সরকার পরিকল্পিত ভাবে দেশে চোর-ডাকাত-ধর্ষক ও সন্ত্রাসীদের সংখ্যায় বিপুল ভাবে বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে।

৩.
ভোট ও মিছিলের অধিকার বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলেও ছিল। তখনও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। পাকিস্তান আমলে শত শত মিছিল ও মিটিং করেছে মুজিব। কিন্তু ভোট-ডাকাত হাসিনা সে অধিকার বাংলাদেশীদের দিতে রাজী নয়। সে মৌল অধিকার নিষিদ্ধ করেছে নিজের অবৈধ গদি বাঁচাতে। এটিই হলো নিরেট অসভ্য শাসনের দুর্ভোগ।

 

৪.
দেশে আইনের শাসন থাকলে হাসিনাকে ভোট ডাকাতির অপরাধে জেলে যেতে হতো। হাসিনা তাই আইনের শাসনের বদলে তার দলের ক্যাডারদের শাসন প্রতিষ্ঠা
করেছে। শুধু পুলিশ বাহিনী নয়, আদালতেও ঢুকিয়েছে তার দলীয় ক্যাডারদের।
৫.

৫,

ভোট-ডাকাত হাসিনাকে মাননীয় বললে একজন দুর্বৃত্তকে সন্মান
করা হয়। এবং তাতে দুর্বৃত্তিকে বৈধতা দেয়া হয়। ইসলামে এটি হারাম। কোর’আন দুর্বৃত্তদের নির্মূলের হুকুম দেয়, সন্মান করতে নয়।

 

৬.
চোর-ডাকাত ক্ষমতায় গেলে পুলিশের কাজ হয় শাসক দলের খুনি ও চোর-ডাকাতদের পাহারা দেয়া। জনগণকে পাহারা দেয়ার গরজ তাদের থাকে না। নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাই জনগণকে চোর-ডাকাতদের সরকারকে হটাতে হয়। নইলে অসভ্যতা নিয়ে বাঁচতে হয়। এমন দেশে হাজার হাজার আবরার ফাহাদ লাশ হবে এবং নুসরত জাহানকে আগুণে পুড়িয়ে হত্যা করা হবে -সেটিই অতি স্বাভাবিক।

৭.
কোন পরিবারে চোর-ডাকাত জন্ম নিলে সে পরিবারের ইজ্জত থাকে না। তেমনি কোন দেশে হাসিনার ন্যায় ভোট-ডাকাত প্রধানমন্ত্রী হলে বিশ্বমাঝে সে দেশেরও ইজ্জত থাকে না। কারণ, বিশ্ববাসী অন্ধ নয়। তারা দেখে, কোন দেশে কারা ক্ষমতায়। চোর-ডাকাত ও ভোট-ডাকাত ক্ষমতায় গেলে বিশ্বব্যাপী সেটি খবর হয়। এমন একটি চেতনার কারণেই যাদের আত্মসম্মান আছে সেরূপ কোন সভ্য জনগণ কখনোই অসভ্য ভোট-ডাকাতকে নিজ দেশের প্রধানমন্ত্রি রূপে বরদাশত করে না। সে অসভ্য শাসন দিতে সভ্য জনগণ তাই যুদ্ধ করে।

 

৮.
বাংলাদেশে উন্নতি যা হচ্ছে সে কৃতিত্ব জনগণের। চোর-ডাকাতদের হাতে  দেশ  না গেলে আরো উন্নতি হতো। বাংলাদেশের জনগণ এক কালে শ্রেষ্ঠ বস্ত্রশিল্পের জন্ম দিয়েছিল। ভোট-ডাকাত হাসিনা যা বাড়িয়েছে তা হলো খুনি, চোর-ডাকাত ও ধর্ষকদের সংখ্যা।

৯.

বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রয়েছে। হাসিনা ক্ষমতায় আসলো ভোট ডাকাতির ন্যায় বিশাল দুর্নীতি করে। কিন্ত সে দুর্নীতির বিচার কই? ভোট-ডাকাত হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রমাণ করেছে এ সংস্থার কর্তাব্যক্তিগণ নিজেরা কতটা দুর্নীতিতে ডুবে আছে।

 

১০.
বাংলাদেশের জনগণের জন্য সবচেয়ে লজ্জার বিষয়টি হলো চোর-ডাকাত ও খুনিদের কাছে বিচার ভিক্ষা করতে হচ্ছে। সভ্যদেশে যাদের বসবাস হয় কারাগারে তারাই সমগ্র দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *