সর্বশ্রেষ্ঠ নেক আমল ও সর্বনিকৃষ্ট অপরাধ এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট

ফিরোজ মাহবুব কামাল

কর্ম, চরিত্র, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সভ্যতার বিচারে বহু জাতিই উপরে উঠে, আবার অনেক জাতিই দ্রুত নিচে নামে। কেন উপরে উঠে এবং কেন নিচে নামে –সে বিষয়টি কোন রকেট সায়েন্স ও জটিল বিজ্ঞানের বিষয় নয়। একজন নিরক্ষর মানুষও সেটি বুঝে -যদি তার বিবেক ও স্বাভাবিক কাণ্ডজ্ঞান সঠিক ভাবে কাজ করে। মুসলিমদের গৌরবকালে ভেড়ার রাখালও সেটি বুঝতো। ফলে সে কালে তারা মানব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ সভ্যতার জন্ম দিতে পেরেছিল। সে সামান্য মৌলিক বিষয়টুকু বুঝার জন্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন পড়ে না। অথচ অধিকাংশ মানুষ জীবনের সবচেয়ে বড় ভূলটিই এখানে করে –যা তাদের এ জীবনের সকল অর্জনের সাথে পুরা বাঁচাটাই ব্যর্থ করে দেয়।

 

সত্য কথা বলা, পরম সত্যকে বিশ্বাস ও নেক আমলের মধ্যে মহান আল্লাহ তায়ালা জান্নাতের পুরস্কার রেখেছেন। পরম সত্যের উপর বিশ্বাসের অর্থ মহান আল্লাহ তায়ালা ও আখেরাতের উপর বিশ্বাস। কারণ তিনিই তো পরম সত্য। আখেরাত হলো মানবের চুড়ান্ত গন্তব্যস্থল। তাই সত্যসেবী মানুষ হওযার অর্থ সর্বপ্রথম ঈমানদার হওয়া। জান্নাত হলো সত্যসেবী সভ্য মানুষ রূপে বেড়ে উঠা ও বাঁচার পুরস্কার। এবং অসত্য ও দুর্বৃত্তির পক্ষ নেয়ার আযাবটি জাহান্নাম। বস্তুত জাহান্নাম হলো ঈমানদার ও সভ্য মানব রূপে বেড়ে উঠায় ব্যর্থতার শাস্তি। মহান আল্লাহ তায়ালা কখনোই তার বান্দার জটিল বিজ্ঞানের জ্ঞান আছে কিনা -সেটির পরীক্ষা নেন না। বিচার করেন না, হিমালয়ের শীর্ষে উঠার সামর্থ্য আছে কিনা -তা দিয়েও। বরং পরীক্ষা নেন, পরম সত্যকে অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্ব টের পাওয়ার সামর্থ্য আছে কিনা? তিনি দেখেন, নেক আমলের নিয়ত ছিল কিনা? এবং সে নিয়ত পূরণে তার দৈহিক বল, অর্থ, মেধা ও রক্তের বিনিয়োগ ছিল কিনা?  যাদের ঈমান আছে এবং নেক আমল করে -তাদেরকে তিনি অবশ্যই জান্নাত দিয়ে পুরস্কৃত করেন। যেমন বলা হয়েছে:

 

وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّـٰلِحَـٰتِ لَنُكَفِّرَنَّ عَنْهُمْ سَيِّـَٔاتِهِمْ وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَحْسَنَ ٱلَّذِى كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ

 

অর্থ: “এবং যারা ঈমান আনলো এবং নেক আমল করলো, আমি অবশ্যই তাদের থেকে গুনাহগুলিকে দূর করে দিব এবং অবশ্যই পুরস্কৃত করবো এমন কিছু দিয়ে যা তাদের আমলের চেয়ে উত্তম।” –(সুরা আনকাবুত, আয়াত ৭)।    

 

একই রূপ বয়ান এসেছে নীচের আয়াতে:

وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّـٰلِحَـٰتِ لَنُدْخِلَنَّهُمْ فِى ٱلصَّـٰلِحِينَ

 

অর্থ: “ এবং যারা ঈমান আনলো এবং নেক আমল করলো, তাদেরকে অবশ্যই আমি নেক বান্দাদের মাঝে প্রবেশ করাবো।” –(সুরা আনকাবুত, আয়াত ৯)। 

 

নেক আমল হাজারো রকমের। পথের আবর্জনা সরানোও নেক আমল। অর্থ দান, বস্ত্র দান, খাদ্য দান, গৃহ দান, সড়ক নির্মাণ, হাসপাতাল নির্মাণ -এসবই নেক আমল। তবে সবচেয়ে বড় নেক আমল হলো মানুষকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচানো এবং জান্নাতের পথ দেখানো। মহান রাব্বুল আলামিন লক্ষাধিক নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন এবং অনেকগুলি আসমানী কিতাব নাযিল করেছেন। নবী-রাসূলদের হাতে কোন অর্থ দান, খাদ্য দান, বস্ত্র দান, গৃহ নির্মাণ ও সড়ক নির্মাণ প্রকল্প ছিলনা। তাদের লক্ষ্য কোন শিল্প বিপ্লব বা কৃষি বিপ্লব ঘটানো ছিল না। নেক আমলে মহান আল্লাহ তায়ালার নিজস্ব সূন্নত হলো এমন জ্ঞান দান করা যা জনগণকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচায় এবং জান্নতের দিকে নেয়। একমাত্র জ্ঞানই মানুষের চেতনায় বিপ্লব আনে এবং অন্ধকারে সঠিক পথ দেখায়। নবী-রাসূলগণ আল্লাহ তায়ালার সে সূন্নত নিয়ে কাজ করেছেন। তবে নেক আমলের শক্তিশালী হাতিয়ার হলো রাষ্ট্র। কারণ রাষ্ট্রের হাতে থাকে শিক্ষা, মিডিয়া,পুলিশ, প্রশাসন, প্রকাশনা, আদালতসহ জনগণের চেতনাকে প্রভাবিত করার শক্তিশালী হাতিয়ার। তাই ইসলামী রাষ্ট্রের নির্মাণ হলো পৃথিবী সর্বশ্রেষ্ঠ নেক আমল। তখন সমগ্র রাষ্ট্র ও তার প্রতিটি প্রতিষ্ঠান জনগণকের জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচানো ও জান্নাতে নেয়ার জন্য কাজ করে। সর্বশেষ্ঠ নেক আমলটি করেছেন নবীজী (সা:)।

 

কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, মুসলিমগণ নেক আমলে মহান আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূলের সূন্নত পালন করে না। তারা কিছু অর্থ ও বস্তু দান করে বা বড় জোর গরু-ছাগল জবাই করে গোশতা খাইয়ে দেয়। কিন্তু তারা জ্ঞানের বিতরণে নাই। এমন কি জ্ঞানসমৃদ্ধ যে সব বই পবিত্র কুর’আনের  বাণী প্রচার করে -সে ধরণের বই দানের কাজটিও তারা করে না। অথচ এ ধরনের বই দানের সওয়াব কোটি টাকা দানের চেয়েও অধিক। কারণ, কোটি টাকা জান্নাতের পথ দেখায় না, কিন্ত সে কাজটি ইসলামী জ্ঞানসমৃদ্ধ বই করে। অর্থ বরং পাপের পথেও ধাবিত করতে পারে। মুসলিমগণ তখনই বিজয়ী হয়েছে ও ইজ্জত পেয়েছে যখন জ্ঞান দান তাদের কাছে গুরুত্ব পেয়েছে। তখন প্রিন্টিং প্রেস ছিল না। হাতে লিখে বই প্রকাশ করা হতো এবং বিতরণ করা হতো। পবিত্র কুর’আনের পূর্বে আরবী ভাষাতে কোন বই ছিল না। কিন্তু জ্ঞানার্জন ও জ্ঞানদান সেদিন এতোই গুরুত্ব পেয়েছিল যে অল্প দিনের মাঝে তারা আরবী ভাষাকে বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ ভাষায় পরিণত করে। সে আমলে তাদেরকেই সবচেয়ে বেশী সম্ভ্রান্ত ও সবচেয়ে সম্মানিত মনে করা হতো যাদের ঘরে বেশী বই থাকতো। মুসলিমদের আদৌ কোন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নাই -যতক্ষণ না তারা নেক আমলে আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূলের সূন্নত অনুসরণ করে। কিছু রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কলকারখানা ও প্রাসাদসম গৃহ নির্মাণ করে পার্থিব জীবনের  কিছু জৌলুস বাড়ানো যেতে পারে, কিন্তু সেটি হবে জাহান্নামের পথ।                  

                                                                                                                        

মানবের ঈমান ও বেঈমানী গোপন থাকার বিষয় নয়, দিনের আলোর ন্যায় তা দেখা যায়। ঈমান ও বেঈমানী দৃশ্যমান হয় তার কর্ম, চরিত্র এবং উপাস্যদের দিকে নজর দিলে। যে ব্যক্তি মূর্তি ও গরুকে ভগবান বলে, বুঝতে হবে সে একজন বিশুদ্ধ বেঈমান ও কাফের। তেমনি যে ব্যক্তি হাসিনার ন্যায় একজন দুর্বৃত্ত ভোটডাকাতকে শ্রদ্ধেয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলে, বুঝতে হবে সে কখনোই সভ্য ও ঈমানদার হতে পারে না; সে অতি অসভ্য ও বেঈমান। সে ব্যক্তিও কি কম বেঈমান এবং অসভ্য যে মুজিবের ন্যায় গণতন্ত্রের খুনি, বাকশালী ফ্যাসিস্ট, বিচার বহির্ভুত হত্যার নায়ক, ইসলামের শত্রু ও ভারতের চরকে বঙ্গ বন্ধু, নেতা ও জাতির পিতার আসনে বসায়? তখন বোঝা যায়, এমন ব্যক্তি সভ্য ও বিবেকবান মানুষ হতেই ব্যর্থ হয়েছে। অতীতে এ জাতের অসভ্যরাই দুর্বৃত্ত ফিরাউনকে খোদা বলেছে। এ ব্যর্থতার কঠিন শাস্তিও আছে। এরূপ বেঈমান ও অসভ্য মানুষেরা আসলে জাহান্নামের বাসিন্দা, দুনিয়ায় বসবাস কালে তারা এ দুনিয়াটাকেও জাহান্নাম বানাতে চায়। এরাই জনগণের দুশমন। বাংলাদেশে এরাই গুম, খুন, ধর্ষণ, চুরিডাকাতি ও সন্ত্রাসের জোয়ার এনেছে এবং প্রতিষ্ঠা দিয়েছে আয়না ঘর, ক্রস ফায়ার, গণহত্যা ও ফাঁসির রাজনীতি। ইসলাম এমন অপরাধীদের নির্মূল করতে বলে। আল্লাহ তায়ালার খলিফা রূপে সেটিই হলো প্রতিটি মুসলিমের উপর অর্পিত প্রধানতম দায়ভার।

 

জমিতে ফসল ফলাতে হলে আগাছা নির্মূল করতে হয়। নইলে ফসল ফলানোর কাজটি হয়নি। তেমনি সভ্য রাষ্ট্র নির্মাণের কাজটি একমাত্র তখনই সফল হয় যখন অসভ্যদের নির্মূলের কাজটিই সুষ্ঠ ও পূর্ণ ভাবে সাধিত হয়। ইসলামে দুর্বৃত্ত নির্মূলের কাজটি এ জন্যই পবিত্র জিহাদ তথা সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত। যেদেশের জনগণের অনাগ্রহ এ পবিত্র ইবাদতে, তারা ব্যর্থ হয় সভ্য রাষ্ট্র নির্মাণে। বাংলাদেশ হলো তারই উদাহরণ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যর্থতা এতোই বিশাল যে, বর্তমান শতাব্দীদের শুরুতে দেশটি সুনীতির বদলে দুর্বৃত্তিতে বিশ্বে ৫ বার প্রথম হয়েছে। প্রশ্ন হলো, অতি অপমানকর এ বিশাল ব্যর্থতা নিয়ে ক’জন বাংলাদেশী চিন্তিত? সুস্থ মানুষ হঠাৎ অসুস্থতায় শয্যাশালী হলে সে দুশ্চিন্তায় ভেঙ্গে পড়ে। কিন্ত যে ব্যক্তিটি বছরের পর বছর অসুস্থ ও শয্যাশায়ী, তার সে ভাবনা থাকে না। বাংলাদেশের অবস্থা এরূপ অসুস্থ মানুষের ন্যায়।           

                                                                                                                                                            

অধিকাংশ মানুষ জাহান্নামে যাবে মানুষ খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাস বা চুরিডাকাতির জন্য নয়। বরং সুস্থ বিবেক ও কাণ্ডজ্ঞান  নিয়ে জীবন চালনায় ব্যর্থ হওয়াতে। এমন মানুষেরা পশুর চেয়েও ভয়ংকর ও নিকৃষ্টতর হয়। সে কথাটি বলা হয়েছে পবিত্র কুর’আনে। এদের নিয়ে পবিত্র কুর’আনে সর্বজ্ঞানী মহান আল্লাহ তায়ালার নিজস্ব ভাষ্যটি হলো: “উলায়িকা কা’আল আনয়াম, বাল’হুম আদাল।” অর্থ: তারাই হলো গবাদী পশুর ন্যায়, বরং তার চেয়েও নিকৃষ্ট। এ জন্যই সবচেয়ে জনহিতকর কাজটি রাস্তাঘাট, ব্রিজ ও কলকারখানা গড়া নয়, বরং সেটি হলো অসভ্য ও ইতর মানুষদেরকে মানুষ বানানো। সেটি মানুষের মাঝে বিবেক ও কাণ্ডজ্ঞানকে জাগ্রত করার মধ্য দিয়ে। একমাত্র তখনই মানব সন্তানেরা ফেরেশতাদের চেয়েও শ্রেষ্ঠতর হয়। পবিত্র কুর’আন ও হাদীসও মূলত সে কাজটিই করতে বলে। এবং সেটিই হলো মহান নবীজী (সা:)’র জীবনের সূন্নত।

 

মহান আল্লাহ তায়ালা জটিল বিজ্ঞান শেখানোর জন্য পবিত্র কুর’আন নাজিল করেননি। সর্বশ্রেষ্ঠ এ কিতবটি নাজিল করেছেন মানুষের বিবেককে জাগ্রত করার মূল কাজটি করার জন্য। বিবেক জেগে উঠলে মানুষ তখন মানবতা নিয়ে বেড়ে উঠতে শেখে। অপর দিকে শয়তানের কাজ হলো, বিবেককে হত্যা করা। বিবেক মারা যাওযাতে মানুষ তখন নিচে নামতে শুরু করে এবং নিজেকে তখন সে জাহান্নামের যোগ্য করে গড়ে তোলে। বিবেক হত্যার সে কাজটি পুরাপুরি হলে তাদের কাছে সাপ, শকুন, গরু, পুরুষের লিঙ্গ ও মূর্তিও পূজনীয় হয়ে উঠে। বিজ্ঞানী, আবিস্কারক, সামরিক জেনারেল বা কবি-সাহিত্যিক হতে সেরূপ সুস্থ বিবেক লাগে না, এমন কি বহু পৌত্তলিক নাস্তিক এবং দুর্বৃত্তও সে কাজে সফল হয় । ভারত বা পাশ্চাত্যে সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলিতে এদের সংখ্যা বিশাল। পেশাদারি প্রশিক্ষণ সে মানুষকে হিংস্র পশুর ন্যায় শিকারী জীবে পরিণত হয। বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ও অস্ত্র তখন গণহত্যার হাতিয়ারে পরিণত হয়। অতীতে ঔপনিবেশিক শাসন, বর্ণবাদী নির্মূল, বিশ্বযুদ্ধ এবং অধুনা গাজাতে গণহত্যার কারণ তো এই অসুস্থ বিবেকের মানুষ।     

 

বিবেক হত্যা তথা মানবতা হ্ত্যার কাজে শয়তান ও তার অনুসারীরা বাংলাদেশে বিশাল বিজয় পেয়েছে। এমন বিজয় বিশ্বের অন্য কোন দেশে তারা পায়নি। সেটি সুস্পষ্ট বোঝা যায় যখন কোটি কোটি মানুষের কাছে মুজিবের ন্যায় গণতন্ত্রের খুনি, স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট, হিন্দুত্ববাদী ভারতের একান্ত সেবাদাস, নৃশংস ইসলামবিরোধী এক দুর্বৃত্ত বন্ধু, নেতা, পিতা রূপে গৃহিত হয়। এবং শেখ হাসিনার ন্যায় একজন ভোটডাকাত এবং গুম-খুন-অপহরন ও সন্ত্রাসের হোতা শ্রদ্ধেয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রূপে গণ্য হয়। যে কোন সভ্য দেশে এরূপ জঘন্য অপরাধীদের কারাগারে বন্দী রাখা হয়; মারা গেলে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়। কিন্তু বাংলাদেশে মুজিবের ন্যায় অপরাধীর মূর্তি গড়ে পায়ে ফুল দেয়া হয়েছে। গলিত আবর্জনার মাঝে মশামাছি ও বিষাক্ত কীটগুলি যেমন বেঁচে থাকে, তেমনি বাংলাদেশীদের মাঝেও এ দুর্বৃত্তগণ আজও বেঁচে আছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *