বিবিধ ভাবনা-৮
- Posted by ফিরোজ মাহবুব কামাল
- Posted on November 26, 2020
- Bangla Articles, সমাজ ও রাজনীতি
- No Comments.
ফিরোজ মাহবুব কামাল
১.
একটি মুসলিম দেশকে বিভক্ত করা ও দুর্বল করার দিনকে কেউ যদি বিজয়-দিবসে পরিণত করে -সে যত নামায়-রোযা ও হজ্ব-যাকাত পালন করুক না কেন -তাকে কি ঈমানদার বলা যায়? ইসলাম শুধু নামায-রোযা্ ও হজ্ব-যাকাতের বিধানই দেয় না, বরং সে সাথে অলংঘনীয় নীতি মালা দেয়ে রাজনীতি ও যুদ্ধবিগ্রহেরও। ঈমানদারের রাজনীতিতে তখন গুরুত্ব পায় ভাষা, বর্ণ ও আঞ্চলিকতার উর্দ্ধে উঠে মুসলিম দেশের অখণ্ডতা রক্ষা। গুরুত্ব পায় প্যান-ইসলামিক মুসলিম ভাতৃত্ব। এবং চরম গাদ্দারী রূপে চিহ্নিত হয় ভাষা ও অঞ্চলের নামে সে দেশকে খণ্ডিত করার কাজ। হারাম গণ্য হয় কাফের শক্তি থেকে অর্থ, প্রশিক্ষণ ও হাতিয়ার নিয়ে মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামা।
মুসলিম হ্ওয়ার শর্ত হলো, ইসলামের প্রতিটি বিধান শতকরা শতভাগ মেনে চলা। বাঙালী সেক্যুলারিস্টদের জীবনে ইসলামী বিধানের প্রতি সে আনুগত্য থাকলে তারা কি ১৯৭১’য়ে ভারতের ন্যায় একটি শত্রু দেশের কোলে গিয়ে উঠতো? এবং সেদেশের কাফের শক্তির ঘরে বিজয় তুলে দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটাতো?
ব্যক্তির ঈমান দেখা যায় না। কিন্তু ঈমানদারকে চেনা যায় কাকে সে বন্ধু এবং কাকে সে শত্রুরূপে গ্রহণ করলো –তা থেকে। ঈমানদার কখনোই কোন কাফেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করে না। এ কাজ বেঈমানদের। মীর জাফর বন্ধু রূপে গ্রহণ করেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর কর্তাব্যক্তি রবার্ট ক্লাইভকে। তাতে ইংরেজদের হাতে লুন্ঠিত হয় বাংলার স্বাধীনত। আর শেখ মুজিব বন্ধু রূপে গ্রহণ করেছিল ভারতের কাফের শাসক ইন্দিরা গান্ধিকে। এবং তাতে দ্বিতীয়বার পরাধীনতা নেমে আসে বাংলাদেশীদের জীবনে। মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতার পর বাঙালী মুসলিম ইতিহাসে এটাই হলো সবচেয়ে কলংকিত ইতিহাস। ইসলাম ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেখ মুজিব ও তার অনুসারিদের অপরাধ এবং ভারতের প্রতি তাদের দাসসুলভ চরিত্র আজ আর গোপন বিষয় নয়। শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশে আজ যা কিছু হচ্ছে -তা তো তার পিতার অপরাধ কর্মেরই ধারাবাহিকতা।
২.
শেখ হাসিনা বলে “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার”। একথা তো শয়তানের। শয়তান তো এভাবেই কালী পূজা, দুর্গা পূজার ন্যায় নানা দেব-দেবী পূজাকে বাঙালী মুসলিমের উৎসবে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করে। শয়তান এভাবেই মুসলিমদের ইসলাম থেকে দূরে সরায় এবং পৌত্তলিকতার কাছে টানে। প্রশ্ন হলো, হিন্দুরা কি কখনো মুসলিমদের গরু কোরবানী ন্যায় ঈদ উৎসবকে নিজেদের উৎসব রূপে গ্রহণ করবে? মুসলিমগণ তো জবাই করে তাদের গো-দেবতাকে। ফলে সে উৎসবে তার যোগ দেয় কি করে? তারা তো গো-মুত্র সেবন করে এবং গোবর মেখে ঘরের পবিত্রতা আনে। একই কারণে মুসলিমগণ বা কি করে দেব-দেবীর মুর্তির সামনে গিয়ে উৎসব করে? তাদের মহান নবী (সাঃ)’র সূন্নত তো মুর্তি ভাঙ্গার, মুর্তি গড়া বা মুর্তির সামনে গিয়ে ভক্তি দেখানো নয়। তাই কাফেরদের উৎসবগুলি একান্তই তাদের নিজস্ব উৎসব, সেগুলি কখনোই মুসলিমদের উৎসব হতে পারে না। তেমনি মুসলিমদের উৎসবগুলিও হিন্দুদের উৎসব হতে পারে না।
৩.
সেুক্যুলারিস্টগণ সূদকে মুনাফা, ব্যভিচারকে ব্যবসা এবং মুর্তিপূজাকে ভাস্কর্য শিল্পে পরিণত করেছে। ঢাকা যে মসজিদের শহর –ঢাকার এ ইসলামী পরিচয় শেখ হাসিনার ভাল লাগেনি। সেটি যে কোন সেক্যুলারিস্টেরই ভাল লাগার কথা নয়। যেখানে ইসলাম আছে -সেটিই তাদের কাছে পশ্চাদপদতা মনে হয়। আর মসজিদ তো ইসলাম ও মুসলিম সমাজের প্রতীক। এ জন্যই শেখ হাসিনা ঢাকা শহরকে মসজিদের শহরের পরিবর্তে মুর্তির শহরে পরিনত করতে চায়। সে মুর্তিগুলি হবে তার পিতা শেখ মুজিবের। মুজিব পূজারীগণ দাবী তুলেছে মুজিবের মুর্তি স্থাপন করতে হবে প্রতিটি স্কুল, প্রতিটি কলেজ ও প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এবং সে সাথে প্রতিটি জেলা, প্রতিটি থানা ও প্রতিটি ইউনিয়নে। এভাবে চেষ্টা হচ্ছে মুর্তিপূজাকে বাঙালীর সংস্কৃতিতে পরিনত করা। ইবলিস যা এতো কাল পারিনি, সেটাই প্রতিষ্ঠা দিচ্ছে হাসিনা।এরূপ পূজার সংস্কৃতির শুরু হয়েছে ২১শে ফেব্রেয়ারীতে শহিদ মিনার ফুল দেয়ার নামে স্তম্ভ পূজার মধ্য দিয়ে। বেঈমানদের ক্ষমতায় রাখার এই হলো বিপদ। তখন হামলা হয় ঈমান-আক্বীদার ভূমিতেও।
৪.
রাষ্ট্র কোন ব্যক্তি বা দলের নয়। এর মালিকানা মহান আল্লাহতায়ালার। মহান আল্লাহতায়ালার খলিফা রূপে প্রতিটি ব্যক্তির জিম্মাদারী হলো রাষ্ট্রকে চোর-ডাকাত, খুনি, ধর্ষক ও বেঈমানদের দখলদারী থেকে বাঁচানো। এবং দায়িত্ব হলো শরিয়তের প্রতিষ্ঠা। বাংলাদেশের জনগণ যে সে দায়িত্ব পালনে কতটা ব্যর্থ সেটাই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে ভোট-ডাকাত হাসিনার শাসন। প্রশ্ন হলো, এ বিশাল ব্যর্থতা কি মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ করে ঢাকা যায়? মসজিদ-মাদ্রাসা তো ইসলামের দুর্গ। দুর্গের কাজ তো সৈন্য পালন ও জিহাদ গড়ে তোলা। নবীজী (সাঃ)র আমলে তো সেটাই হয়েছে। কিন্তু যে দেশে লক্ষ লক্ষ দুর্গ থাকা সত্ত্বেও ইসলামের শত্রুপক্ষ বিজয়ী হয় -সে দুর্গগুলিকে কি আদৌ দুর্গ বলা যায়?
৫.
সভ্য সমাজে চোর-ডাকাতদের জেলে যেতে হয়। আর অসভ্য সমাজে চোর-ডাকাত এবং ভোটডাকাতও নেত্রী ও মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর সন্মান পায়। যেমন ডাকাত দলে সর্দার হয় সবচেয়ে বড় ডাকাত। একটি দেশের জনগণের চরিত্র বুঝতে গবেষণার প্রয়োজন পড়ে না। সেটি নজরে পড়ে দেশের শাসকের চরিত্র দেখে। বিশ্ববাসীর সামনে বাংলাদেশীদের মুখে কালি লাগানোর জন্য তাই প্রধানমন্ত্রীর আসনে ভোটচোর হাসিনার উপস্থিতিই যথেষ্ট।
সভ্য জনপদে হিংস্র পশু ঢুকলে সেটিকে হত্যা করতে হাতের কাছে যা পায় তা নিয়ে জনগণ রাস্তায় নামে। সেটি না হলে সে জনপদও জঙ্গলে পরিনত হয়। তাই কোন দেশে চোর, ডাকাত, খুনি বা দুর্বৃ্ত্ত ব্যক্তি শাসকের চেয়ারে বসলে তার নির্মূলে সে দেশের সভ্য জনগণ যুদ্ধ শুরু করে। তেমন একটি যুদ্ধ না হলে সমগ্র দেশ তখন অসভ্য দেশে পরিণত হয়। তখন সে দেশে দুর্বৃ্ত্ত চোর-ডাকাত ও ভোটডাকাতও মাননীয় নেতা ও প্রধানমন্ত্রী রূপে গণ্য হয়। এমন কি গণতন্ত্র হত্যাকারি গণদুশমনকে জাতির পিতা এবং বন্ধু বলা হয়। তখন দেশে বাড়ে চুরি,ডাকাতি, খুন, সন্ত্রাস ও ধর্ষণ। আজকের বাংলাদেশ তো সে অসভ্যতারই উদাহরণ।
৬.
চোর-ডাকাতগণও নিজেদের বদনাম ঢাকার চেষ্টা করে। সমাজে তারাও ভাল সাজার ভান করে। ডাকাতও তখন দান করে। ভোটচোর হাসিনাও তেমনি তাহাজজুদ নামাজের ঢোল পেটায়। নিজ হাতে সেলাই করে ও মাছ ধরে -তা নিয়েও ঢেড়া পেটায়। তখন আওয়ামী লীগের মুখপত্র দৈনিক ইত্তেফাক ‘হাসিনা সেলাই করে ও অবসরে মাছ ধরে’ –সে খবর গুরুত্ব দিয়ে ছাপে।
৭.
হিফাজতে ইসলামের অনেকেই বলেন তারা রাজনীতিতে নাই। তাহলে যে চোরডাকাতগণ দেশ দখলে নিয়েছে তাদের থেকে দেশকে মুক্ত করবেন কীরূপে? শরিয়তই বা প্রতিষ্ঠা করবেন কী করে? নবী তো রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। অতএব রাজনীতি না করার অর্থ নবীজীর একটি পবিত্র সূন্নতকে অমান্য করা। তাছাড়া রাজনীতি কি স্রেফ নবীজী (সাঃ) সূন্নত? এটি তো সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে শয়তান নির্মূলের পবিত্র জিহাদ তথা সেরা ইবাদত। মহান আল্লাহতায়ালা তো চান ঈমানদারদের হাত দিয়ে দুর্বৃত্তদের শিকড় কাটতে –যা বলা হয়েছে সুরা আনফালের ৭ নম্বর আয়াতে। তাই যারা রাজনীতি থেকে দূরে থাকে তারা মূলত আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী। আলেম রূপে পরিচয় দিলেও তারা পানি ঢালছে ইসলামের শত্রুপক্ষের শিকড়ে। ইসলামের শত্রুপক্ষ চায় রাজনীতির অঙ্গণ ইসলামমুক্ত হোক।
৮.
কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজারের খবর, ভারতে কারাবন্দীদের সংখ্যা ৪ লাখ ৬৬ হাজার। এর মধ্যে ৩ লাখ ৩০ হাজার অর্থাৎ শতকরা ৭০ ভাগই বন্দী আছে বিনা বিচারে। এটি কি সভ্যদেশের আলামত? ভারতে নানা রূপ অসভ্যতা চলছে এমন কি ধর্মের নামে। সমগ্র শরীরে গরুর গোবর মেখে উৎসব করা হচ্ছে -সে ছবিও দেখা গেছে। দলিত শ্রেণীর বহুহাজার কিশোরীকে প্রতিবছর দেবদাসীর খেতাব দিয়ে মন্দিরের পুরোহিতদের যৌন লালসার পূরণে জিম্মি বানানো হয়। এ বিশ্বাসে যে পরজন্মে তারা বর্ণ জন্ম পাবে। উচ্চ কয়েক বছর পর এ দেবদাসীদের পতিতাপল্লিতে যেতে হয়; নিজ পরিবারে তাদের স্থান হয় না। আল-জারিয়া টিভি ইংরেজী সার্ভিস এর উপর এক বেদনাসিক্ত ডকুমেন্টারী প্রচার করেছে।
অথচ ভারতে বহু শত বিশ্ববিদ্যালয়, লক্ষ লক্ষ বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক। নিজেদেরকে এরা ভদ্র রূপে দাবি করে। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, এ ভয়ানক অসভ্যতা ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন নাই। মিডিয়াও এরূপ অসভ্যতার বিরুদ্ধে সোচ্চার নয়। রবীন্দ্র নাথ যখন বেঁচে ছিলেন তখনও বিধবাদের মরতে হতো মৃত স্বামীর চেতায় দগ্ধ হয়ে। কিন্তু রবীন্দ্র নাথও সে অসভ্যতার বিরুদ্ধে কথা বলেননি। বরং কবিতা লিখেছেন সতিদাহকে মহামান্বিত করতে। কি এক বিকট অসভ্যতা! এ অসভ্যদের মাঝে ২০ কোটি মুসলিমকে কে যে কীরূপ যাতনা নিয়ে বাঁচতে হয় -তা কি বুঝতে বাঁকি থাকে?
৯
তুরস্ক কেন ইস্তাম্বুলের আয়া সোফিয়াকে মসজিদ বানালো তা নিয়ে খৃষ্টান দেশগুলোর প্রচন্ড অভিযোগ। অথচ কর্ডোভার ঐতিহাসিক মসজিদে কেন নামায পডা বন্ধ কর হলো এবং সেটিকে গীর্জা বানালো -সে কথা তারা বলে না।
১০.
বাংলাদেশে বহু হাজার চোর-ডাকাতের বাস। কিন্তু কোন দুর্বৃত্তের অপরাধই হাসিনার চেয়ে অধীক নয়। সাধারণ চোর-ডাকাতগণ বড় জোর কয়েকটি ঘরে বা কয়েকটি গ্রামে চুরি-ডাকাতি করে। কিন্তু হাসিনা হানা দিয়েছে সারা দেশের বহু কোটি মানুষের ঘরে। ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের মহামূল্যবান এবং প্রতিষ্ঠা দিয়েছে গুম,খুন ও নির্যাতনের রাজনীতি। এতবড় বিশাল অপরাধ কি বাংলাদেশের তাবত চোর-ডাকাতদের সবাই মিলে করার সামর্থ্য আছে? তাই মহান আল্লাহতায়ালার দরবারে জালেম শাসকদের শাস্তিটি হবে সবচেয়ে বেশী।
১১.
মুজিবামলে বাংলাদেশে বহু হাজার চোর-ডাকাত, খুনি ও সন্ত্রাসী ছিল। কিন্তু তাদের কারো অপরাধই মুজিবের চেয়ে বেশী ছিল না। শেখ মুজিব অপরাধের তালিকাটি বিশাল। হত্যা করেছে ৩০ হাজারের বেশী বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে, দেশ বেচে দিয়েছে ভারতের হাতে। নিজ দলের গুন্ডাদের দিয়ে প্রায় ৪ লাখ বিহারীদের সব কিছু কেড়ে নিয়ে তাদেরকে রাস্তায় বসানোর ন্যায় অসভ্য কান্ডটি ঘটিয়েছে। এ আওয়ামী গুন্ডাদের হাতে শত শত অবাঙালী মহিলাদের ধর্ষিতাও হতে হয়েছে। বাংলার বুকে এরূপ নিরেট অসভ্যতা আওয়ামী আমল ছাড়া আর কোন কালেই হয়নি। দুর্ভিক্ষ ডেকে এনে মেরেছে বহু লক্ষ। হত্য করেছে গণতন্ত্র। চালু করেছে এক দলীয় বাকশাল। ইসলামপন্থিদের জেলে পাঠিয়েছে এবং নিষিদ্ধ করেছে তাদের রাজনীতিকে। চোর-ডাকাত, খুনি ও স্বৈরাচারিকে কোন ভদ্র ও ঈমানদার মানুষ শ্রদ্ধা করে না। এ কাজ অসভ্য বেঈমানদের। তাই মুজিবের ন্যায় অপরাধীকে যারা জাতির পিতা ও বঙ্গবন্ধু বলে তারাও কি কম অসভ্য ও কম বেঈমান?
১২.
ঈমান নিয়ে বাঁচার অর্থ দুর্বৃত্ত নির্মূলের অঙ্গিকার নিয়ে বাঁচা। দুর্বৃত্ত নির্মূলে যেমন মুখ খুলতে হয় তেমনি যুদ্ধেও নামতে হয়। শেখ হাসিনার ন্যায় দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে নীরব থাকার অপরাধটি তাই ভয়াবহ। এতে বিদ্রোহ হয় মহান আল্লাহতায়ালার হুকুমের। তাতে পরাজিত হয় ইসলাম এবং বিজয়ী হয় ইসলামের দুশমনগণ। এমন কাজের জন্য পরকালে উঠতে হবে দুর্বৃত্তদের সাথে।
১৩.
নবীজীর কথা: অন্যায় দেখলে হাত দিয়ে রুখো। সে সামর্থ্য না থাকলে মুখ দিয়ে রুখো। সে সামর্থ্য না থাকলে মন দিয়ে ঘৃণা করো। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মুসলিম নবীজী (সা)’র এ নির্দেশ মানলে কি দুর্বৃত্ত হাসিনা বাঁচতো? ভোটচোর হাসিনা বেঁচে আছে গুম, খুন, ফাঁসি ও নির্যাতনের ফ্যাসিবাদী রাজনীতি নিয়ে। হৃদয়ে সামান্য ঈমান থাকলে এ দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে গভীর ঘৃণা সৃষ্টি হতো। তখন সে ঈমানদার ব্যক্তি হাসিনাকে কি কখনো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলতো? বরং বেঈমানী এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বহু আলেমধারী ব্যক্তি ভোটচোর হাসিনাকে কওমী জননী বলে অভিহিত করছে।
১৪.
সম্প্রতি এক সভায় ভোটচোর হাসিনার উক্তি: “জনসমর্থন না থাকলে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারে না।” এ কথা বলে হাসিনা বুঝাতে চেয়েছে, তার ক্ষমতায় টিকে থাকাই প্রমাণ করে তার জনসমর্থণ আছে। প্রশ্ন হলো, ইংরেজগণ ১৯০ বছর শাসন করেছিল কি জনসমর্থনের বলে? সেটি তো নৃশংস নীতি ও অস্ত্রের বলে। হাসিনা তো তাদেরই অনুসরণ করছে।
১৫.
Donald Trump is exposed as white supremacist, racist, liar & nonsensical during his rule. But still more than 70 million people voted for him. It exposed the immortality of the huge number of the Americans.
১৬.
ঘরে ডাকাত ঢুকলে নামাযে মন বসেনা। তখন ফরজ হয় ডাকাত তাড়ানো। তেমনি দেশ ডাকাতদের দখলে গেলে সে দেশে যথার্থ ইবাদত করা যায় না। তাই শ্রেষ্ঠ ইবাদত হলো ডাকাত নির্মূলের মধ্য দিয়ে পবিত্র পরিবেশ সৃষ্টি করা। ইসলামে এজন্যই দুর্বৃত্ত নির্মূলের এ কাজ পবিত্র জিহাদ।
ANNOUNCEMENT
ওয়েব সাইটটি এখন আপডেট করা হচ্ছে। আগের লেখাগুলো নতুন ওয়েব সাইটে পুরাপুরি আনতে কয়েকদিন সময় নিবে। ধন্যবাদ।
LATEST ARTICLES
- মুসলিম দেশগুলিতে সেক্যুলারিস্টদের দখলদারি ও নাশকতা
- আবারো ডাকাতি হয়ে যাবে জনগণের ভোট
- সেক্যুলারিস্টদের ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ এবং যুদ্ধ ইসলামের বিরুদ্ধে
- বাংলাদেশে হিফাজতে ইসলাম ও ইসলামের হিফাজতে ভয়ানক ব্যর্থতা
- তাবলীগ জামায়াত কতটা দূরে সরেছে ইসলাম থেকে?
বাংলা বিভাগ
ENGLISH ARTICLES
RECENT COMMENTS
- Mohammad Arifur Rahman on জিন্নাহ’র সাদকায়ে জারিয়া ও মুজিবের গুনাহে জারিয়া
- সিরাজুল ইসলাম on জিন্নাহ’র সাদকায়ে জারিয়া ও মুজিবের গুনাহে জারিয়া
- Abdul Aziz on বিবিধ ভাবনা ৮২
- Fazlul Aziz on বাঙালি ও অবাঙালি মুসলিমের বৈষম্য এবং ফ্যাসিবাদী মিথ্যচার
- Fazlul Aziz on বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের তান্ডব: মুক্তি কীরূপে?
ARCHIVES
- March 2023
- January 2023
- December 2022
- November 2022
- October 2022
- September 2022
- August 2022
- July 2022
- June 2022
- May 2022
- April 2022
- March 2022
- February 2022
- January 2022
- November 2021
- October 2021
- September 2021
- August 2021
- July 2021
- June 2021
- May 2021
- April 2021
- March 2021
- February 2021
- January 2021
- December 2020
- November 2020
- October 2020
- April 2020
- March 2020
- February 2020
- January 2020
- December 2019
- November 2019
- October 2019
- September 2019
- August 2019
- July 2019
- June 2019
- May 2019
- April 2019
- March 2019
- February 2019
- January 2019
- December 2018
- November 2018