বিবিধ ভাবনা-৬

ফিরোজ মাহবুব কামাল

১.

মুসলিমদের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের যুদ্ধ

ফ্রান্স নিজেকে সেক্যুলাজিমের গুরু মনে করে। সেক্যুলারিস্টদের বড় ভন্ডামীটি হলো, তারা সেক্যুলাজিমের ব্যাখ্যা দেয় ধর্মনিরপেক্ষ রূপে। অথচ তাদের মূল চরিত্রটি হলো প্রচন্ড ইসলাম বৈরীতার। তাই যে শিক্ষক স্কুলে নবীজী (সা:)র উপর কার্টুন দেখিয়েছিল -তাকে ফ্রান্স সরকার দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব দিয়ে সন্মানিত করেছে। অথচ এরূপ কার্টুন দেখানো নিজেই এক ভয়ানক অপরাধ এবং যে কোন সভ্য বিচারে অতি কু-রুচিপূর্ণ। এরূপ খেতাব দেয়ার মধ্য দিয়ে ফ্রান্স সরকার তার নিজের চরিত্রটা প্রকাশ করেছে। এবং সেটি জঘন্য কার্টুন নির্মাতার চেয়ে কম কুরুচিপূর্ণ নয়।

প্রতিটি ঈমানদারের কাছে তাঁর প্রাণের চেয়েও প্রিয় হলো নবীজী(সাঃ)। তাই নবী চরিত্রের অবমাননা হলে যে কোন মুসলিম তার বদলা নিতে উদ্যোগী হবে –সেটি কোন নতুন বিষয় নয়। পূর্বেও সেটি বহুবার ঘটেছে। ফ্রান্সে রয়েছে প্রায় ৬০ লাখ মুসলিম। তাদের সবাই নবী চরিত্রের এরূপ বিকট অবমাননা নীরবে মেনে নিবে -সেটি কি করে ভাবা যায়? তাই ফ্রান্স সরকারের সুবুদ্ধি থাকলে তারা ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে ইসলামের প্রিয় নবীজী (সাঃ)’র বিরুদ্ধে কার্টুন যুদ্ধটি নিষিদ্ধ করতো। এটি তো মুসলিমদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক যুদ্ধ। সে যুদ্ধের অংশ রূপে ফ্রান্স সরকার অপরাধীকে পুরস্কৃত করছে। এ যুদ্ধের ফলে প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে অন্যান্য মুসলিম দেশেও। জনগণ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে।

ইসলামের বিরুদ্ধে ফ্রান্স সরকারের সাংস্কৃতিক যুদ্ধের আরেক আলামত হলো, তারা মহিলাদের নানা অশ্লিলতাকে বৈধতা দিলেও মুসলিম মহিলাদের মাথায় স্কার্ফ পড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কভিড থেকে বাঁচতে এমনকি পুরুষেরাও এখন নেকাব তথা মাস্ক পড়ছে। অথচ মুসলিম মহিলাদের ক্ষেত্রে সেটি নিষিদ্ধ করেছিল। স্কার্ফ পরিহিত কোন মুসলিম মহিলার সরকারি চা্কুরি পাওয়ার কোন সুযোগ নাই। সুযোগ নাই কোন কলেজে ভর্তি হওয়ার। বোরখা পড়ে পাবলিক স্থানে হাজির হলে জরিমানা দিতে  হয়। বন্ধ করে দিয়েছে কোন কোন মসজিদ। কঠোরতা আরোপ করেছে নতুন মসজিদ নির্মাণের বিরুদ্ধে। ফলে জুম্মার দিনে মুসলিমদের নামায পড়তে হয় মসজিদ উপচিয়ে রাজপথে।

লক্ষণীয় আরেকটি বিষয় হলো, ইসলামের শত্রুতা অতি পুরনো। বিশ্বের কোন প্রান্তে ইসলামের উত্থান দেখা দিলে ফ্রান্স তার বিরোধীতা শুরু করে। তাই মিশরের সামরিক শাসক জেনারেল আবুল ফাতাহ সিসি যখন দেশটি নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডক্টর মুরসীকে হটিয়ে ক্ষমতা হাতে নেয় এবং ইসলামপন্থিদের হত্যা শুরু করে -তখন ফ্রান্স তাকে কোলে তুলে নেয়। এবং শুরু করে তার প্রতি সর্বপ্রকার সমর্থণ ও সহযোগিতা। ফ্রান্স সৈন্য পাঠিয়েছে আফ্রিকান দেশ মালিতেও। কারণ সেখানে ঘটেছে ইসলামপন্থিদের উত্থান। তাদের রুখতে সেখানে বোমা বর্ষণ করেছে। তাছাড়া আরেকটি কারণ হলো, মালি’তে রয়েছে বিশাল বিশাল স্বর্ণ খনি। ফ্রান্স চায় না, সে স্বর্ণের খনিগুলি মুসলিমদের হাতে যাক ও তা থেকে তারা লাভবান হোক। কিছু বছর আগে ফ্রান্সের বোমারু বিমানগুলি বর্ষণ করেছে সিরিয়ার ইসলামপন্থিদের উপর। এই আগ্রাসী ফান্সই ১৫ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছিল আলজিরিয়াকে অধিকৃত রাখতে। তাই ফ্রান্সের মুসলিম বিরোধী চরিত্রটি অতি পুরানো। প্রশ্ন হলো, এমন একটি চরম মুসলিম বিরোধী দেশের শক্তি বাড়ে এমন কিছু করা কি জায়েজ? সেটি করলে কি ঈমান থাকে? এজন্যই যাদের মধ্যে ঈমান আছে তারা ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। এটি এক অর্থনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক যুদ্ধ। কোন ঈমানদার কি এ যুদ্ধ থেকে হাত গুটিয়ে থাকতে পারে?

২.

পোপের আত্মসমর্পণ

ইসলামে যেমন মহান আল্লাহতায়ালা-প্রদত্ত শরিয়তি বিধান আছে -সেটি যেমন হিন্দু ধর্মে নাই তেমনি খৃষ্টান ধর্মেও নাই। তাই তাদের মাঝে হালাল-হারামের কোন বিধি নিষেধ নাই। ফলে সবকিছুই তাদের কাছে হালাল। সম্প্রতি খৃষ্টান জগতের ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস হালাল ঘোষণা দিল সমকামিতার। এখন থেকে পুরুষের সাথে পুরুষের এবং মহিলার সাথে মহিলার বিবাহ বৈধ হবে। লক্ষণীয় হলো, পূর্বে অন্য কোন পোপই সেটির বৈধতা দেয়নি। ফল ধর্মহীনদের এটি আরেক বিজয়। এতে প্রকাশ পায় খৃষ্টান জগতের ধর্মহীন এক বেহাল অবস্থা।

৩.

আবর্জনার স্তুপে গেল শাসনতন্ত্র

সম্প্রতি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলি’তে পালিত হলো বিজয় উৎসব। উৎসবের কারণ, চিলির জনগণ দেশের শাসনতন্ত্রকে আবর্জনার স্তুপে ফেলতে পেরেছে। সে শাসতন্ত্রটি রচিত হয়েছিল পেনোশের মত দুর্বৃত্ত এক সামরিক জান্তার হাতে। তাতে বৈধতা পেয়েছিল পেনোশের নিষ্ঠুর ও অসভ্য শাসন। সে হত্যা করেছিল বহু হাজার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে। বাংলাদেশীদের এ থেকে শেখার আছে। বাংলাদেশের শাসতন্ত্রটি রচিত হয়েছিল তাদের হাতে যারা জন্ম দিয়েছিল বাকশালী শাসনের বর্বরতা। পেনোশের মত তারাও হত্যা করেছিল ৩০ হাজার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে।

বাংলাদেশের শাসনতন্ত্রের সবচেয়ে গুরুতর ক্ষতিকর দিকটি হলো, এটি শরিয়ত পালনের ন্যায় ফরজ পালনে সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের এ শাসনতন্ত্র হলো মহান আল্লাহতায়ালার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের দলিল। এ শাসতন্ত্রে মহান আল্লাহতায়ালার বদলে সার্বভৌমত্ব দেয়া হয়েছে জনগণকে। আইন প্রণয়নের সার্বভৌমত্ব দেয়া হয়েছে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে। ইসলামে এটি শতভাগ হারাম। এখানে আইন দেয়ার ক্ষেত্রে মহান আল্লাহতায়ালার সার্বভৌমত্বকে খর্ব করা হয়েছে। এটি স্পষ্টতঃ শিরক। মহান আল্লাহতায়ালা অন্য গুনাহ মাফ করেন, কিন্তু মাফ পায়না শিরক। সেক্যুলারিস্টগণ শিরকপূর্ণ এ শাসনতন্ত্রকে পবিত্র বলে অভিহিত করে। কোন ঈমানদার ব্যক্তি কি এমন একটি সংবিধানকে মেনে নিতে পারে? এমন একটি সংবিধানকে আবর্জনার স্তুপে ফেলতে যতই দেরী হবে ততই গুনাহর অংক বাড়বে। 

৪.

চোর দেয় নসিহত!

সম্প্রতি পত্রিকায় শেখ হাসিনার একটি নসিহত ছাপা হয়েছে। সে নসিহতে বলা হয়েছে যেন দেশে নীতিহীন ও হলুদ সাংবাদিকতা না থাকে। কিন্তু তার মুখ থেকে এ কথা শোনা যায়নি যে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা যেন ভোটচোরের হাতে না যায়। দেশে গুম-খুন ও সন্ত্রাসীদের রাজত্ব যেন প্রতিষ্ঠা না পায় -সে কথাও তার ভাষণে বলা হয়নি। একথা হাসিনার মুখ থেকে বের হয়নি যে দেশের প্রতিটি চোর-ডাকাতকে শাস্তি দেয়া হবে। একথা না বলার কারণ একটিই। সে কারণটি হলো, একজন প্রমানিত ও প্রতিষ্ঠিত চোর যত বড় বড় কথাই বলুক না কেন, কখনোই নিজের বিচার চাইতে পারে না।

শেখ হাসিনা কথা বলেছে নীতিহীন ও হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে। অথচ তার নিজের সরকার বেঁচে আছে নীতিহীন হলুদ সাংবাদিকতার সাহায্য নিয়ে। তার দৃষ্টিতে সাংবাদিকদের দায়িত্ব হলো স্রেফ তার সরকারের প্রশংসা করা এবং সকল প্রকার নিন্দা থেকে দূরে থাকা। যে সব পত্র-পত্রিকা বা টিভি চ্যালেন তার সরকারের সামান্যতম সমালোচনা করেছে সেগুলিকে বন্ধ করা হয়েছে। ২০১২ সালের ৫ই মে যখন শাপলা চত্ত্বরে হামলা করা হয় তখন কোন সাংবাদিককে সঠিক চিত্র তুলে ধরতে দেয়া হয়নি। তখন সাংবাদিকদের দিয়ে তাই বলানো হয়েছে যা সরকার বলতে চেয়েছে। এটিই তো হলো হলুদ সাংবাদিকতা।

৫.

অসভ্য শাসনের আযাব

ব্যাংককের রাজপথগুলি আজ জনসমুদ্র। লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ প্রতিবাদ মুখর। তারা সরকারের পদত্যাগ চায়। সীমিত করতে চায় রাজার ক্ষমতা। সেটি নিকট অতীতে সুদান, তিউনিসিয়া ও লিবিয়ায় যেমন দেখা গেছে, তেমনি সম্প্রতি দেখা গেল বা যাচ্ছে লেবানন, ইরাক, কিরগিজসথান, বেলারুশ, চিলিসহ বহু দেশে। এটিই তো যে কোন সভ্যদেশের সভ্য রীতি। জনগণ এভাবেই তাদের ক্ষোভ নিয়ে রাস্তায় নামে এবং সরকারের পরিবর্তন ঘটায়। সেটি যেমন পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে হয়েছে, তেমনি বাংলাদেশে ইরশাদের বিরুদ্ধেও হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান অসভ্য ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণকে সে সভ্য অধিকার দিতে রাজী নয়। তারা গুম-খুন-ফাসি দিয়ে বিরোধীদের নির্মূল করতে চায়। দেশে অসভ্য শাসনের এটি হলো এক প্রান্তিক অবস্থা। অসভ্য শাসনের এটি হলো দুঃসহনীয় আযাব।

৬.

মুসলিম দেশে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি

মিশরের নির্বাচত প্রেসিডন্ট মুরসীকে যে পথে সরানো হয়েছিল তেমন একটি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে পাকিস্তানে ইমরান খানের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানে দীর্ঘকাল পালাক্রমে শাসন করেছে পিপলস পার্টি এবং নওয়াজ শরিফের মুসলিম লীগ। ‌‌তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিশাল দুর্নীতির অভিযোগ। কিন্তু তারা চায় বিচার না। চায়, ইমরান খান সরকারের পতন। চায়, নিজেরা আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে। কারণ একমাত্র এ পথেই  তারা মামলার সাজা থেকে মুক্তি পেতে পারে। লক্ষণীয় হলো, পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে উৎসব হচ্ছে ভারতে। সেটি প্রকাশ পাচ্ছে ভারতীয় মিডিয়ায়। ভারতের এজেন্ডা এখানে সুস্পষ্ট। ভারত চায় না প্রতিবেশী কোন দেশে গণতন্ত্র ও শান্তি প্রতিষ্ঠা পাক এবং এগিয়ে যাক অর্থনৈতিক ভাবে। ভারতের সে ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতি ক্ষেত্র হলো বাংলাদেশ। সেটির শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সাল থেকে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার দুর্বৃত্ত ফ্যাসিস্ট সরকার তো টিকে আছে ভারতের সহায়তা নিয়েই। ভারত তেমন একটি অবস্থা পাকিস্তানেও সৃষ্টি করতে চায়।

৭.

অনিবার্য কেন জিহাদ?

সভ্য সমাজ নির্মাণে জরুরী হলো অসভ্য শাসনের নির্মূল। সে কাজ শুধু নামায়-রোযা ও হজ্ব-যাকাত বা মসজিদ নির্মাণে হয় না। সে কাজের জন্য ফরজ করা হয়েছে জিহাদ।তাই যেখানে জিহাদ নাই সেখানে সভ্য সমাজও নাই। বাংলাদেশে নামাযীর সংখ্যা বহু কোটি। মসজিদ-মাদ্রাসার সংখ্যাও বহু লক্ষ। কিন্তু এরপরও সেখানে সভ্য সমাজ নির্মিত হয়নি। ফলে দেশ ছেয়ে গেছে গুম-খুন-ধর্ষণ ও সন্ত্রাস। এর কারণ, জিহাদে জনগণের জান-মাল ও মেধার বিনিয়োগ নাই।

৮.

ভাল ও মন্দ লোকের পরিচয়

ভাল লোকের গুণ হলো সে সর্বদা দুর্বৃত্তকে ঘৃনা করে এবং ভালবাসে ভাল লোকদের। যে ব্যক্তি দুর্বৃত্তের পক্ষ নেয় সে নামাযী বা রোযাদার হতে পারে, হাজী বা দানশীলও হতে পারে; কিন্তু সে ব্যক্তি ঈমানদার হতে পারে না। ভাল লোকও হতে পারে না। ঈমানদারকে তো প্রতিপদে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষ নিতে হয়। দুর্বৃত্তের পক্ষ নেয়া তো বেঈমানের কাজ। যারা বাংলাদেশে দুর্বৃত্তদের ভোট দেয় তাদের সবাই কি বেনামাযী? তাদের মধ্যে লক্ষ লক্ষ লোক এমনও আছে যারা নামায-রোযা পালন করে এবং তাবলিগ জামাতের ইজতেমাতেও যায়। ব্যক্তির ঈমানদারের পরীক্ষা হয় সত্য ও মিথ্যাকে চেনা এবং সত্য ও ন্যায়ের পক্ষ নেয়াতে।

প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশে সে ভাল লোকদের সংখ্যাটি কীরূপ? নিশ্চয়ই যারা হাসিনার মত ভোটচোরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলে তারা ভাল লোক হতে পারে না। ঈমানদারও হতে পারে না। কারণ, অন্তরে শরিষার দানা পরিমান ঈমান থাকলে ভোটচোরকে সন্মান দেখাতে তাদের মুখ দিয়ে কখনোই মাননীয় শব্দটি উচ্চারিত হতো না। এটি নিতান্তই বেঈমানী ও নিরেট অসভ্যতা। অথচ বাংলাদেশের অফিস-আদালত, কোট-কাছারি, সংসদ, মন্ত্রীপরিষদ, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা এবং রাজনীতির অঙ্গণ পূ্র্ণ হয়ে আছে এরূপ বেঈমানদের দ্বারা। ফলে বাংলাদেশে সভ্য সমাজ নির্মিত হবে কীভাবে? এমন দেশে গুম-খুন ও ধর্ষণের ন্যায় অসভ্যতা বাড়বে সেটিই কি স্বাভাবিক নয়?

৯.

Is adherence to 7th century Muslims’ legacy is terrorism?

It is very natural that those who can’t appreciate the signs of Allah SWT, they can’t appreciate the achievement of the 7th century Muslims. Any sensible man will recognise that the finest civilisation in the whole human history was made by them. Those who have the light in their mind they can see it. So, those who have true iman and fear Allah SWT, they fear to deviate a single inch from their legacy. 

We must recognise the truth that the early Muslims are the best people in the whole human history -as stated by the Prophet (peace be upon him). Allah SWT is pleased on them. Denying it is indeed the expression of deprivation of iman. Because of such deprivation of iman, they abuse those who adhere to the belief and practice of the early Muslims as terrorist and fundamentalist.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *