প্রিয়া সাহার স্পর্ধা ও নতজানু বাংলাদেশ সরকার
- Posted by ফিরোজ মাহবুব কামাল
- Posted on July 26, 2019
- Bangla Articles, Bangla বাংলা, বাংলাদেশ
- No Comments.
অপরাধ মিথ্যা দোষারোপের
দেশের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ, বিদ্রোহ বা নাশকতা শুধু অস্ত্র দিয়ে হয় না; সেটি হয় কথা বা লেখনীর সাহায্যেও। মানব ইতিহাসে বড় বড় নাশকতাগুলো ঘটেছে এভাবে। তাই যে কোন সভ্য দেশে সেরূপ ক্ষতিকর কথা ও লেখনীর জন্য অপরাধী ব্যক্তিকে আদালতে তোলা হয় এবং গুরুতর শাস্তিও হয়। প্রিয়া সাহার গুরুতর অপরাধটি হলো, তিনি বিদেশের মাটিতে এক বিশাল গণহত্যার অভিযোগ তুলে বাংলাদেশকে বিদেশের আদালতে অপরাধী রূপে খাড়া করেছেন এবং সে সাথে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বিচারও চেয়েছেন। সেটি করে তিনি বস্তুতঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি বিদেশী শক্তিকে হস্তক্ষেপের দাওয়াত দিয়েছেন। এটি এক গুরুতর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ভারতে বা অন্য কোন দেশের বিরুদ্ধে এমনটি হলে তার বিরুদ্ধে গুরুতর শাস্তির ব্যবস্থা হতো। রাস্তায় প্রতিবাদি মিছিল শুরু হতো। বাংলাদেশ পৃথিবী পৃষ্টে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র রূপে স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত; দেশটিতে রয়েছে আইন-আদালত। দেশের কোন নাগরিকদের বিরুদ্ধে কোন অপরাধ ঘটলে, যে কোন নাগরিকের দায়িত্ব হলো তা নিয়ে দেশের আদালতে বিচার প্রার্থণা করা। তা নিয়ে বিতর্কের আয়োজন হতে পারতো সংসদেও। দেশের সাংবাদিক বা বুদ্ধিজীবী মহলেও এ নিয়ে আলোচনা বা লেখালেখি আলোচনা হতে পারতো। কিন্তু সোটি না করে প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। যেন বাংলাদেশ মার্কিন সরকারের তালুক, এবং বিচারক ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রিয়া সাহার আরেক গুরুতর অপরাধ, দেশের জন্য অতিশয় ক্ষতিকর ভিত্তিহীন মিথ্যা কথা তিনি বলেছেন। অথচ মিথ্যা কথা বলা কোন মামূলী বিষয় নয়, যে কোন সভ্য দেশের আইনেই তা শাস্তিযোগ্য গুরুতর অপরাধ। অস্ত্রের সাহায্যে দেহহত্যা হয়। আর মিথ্যার সাহায্যে হত্যা করা হয় জ্ঞান, শ্রম, মেধা ও অর্থের বিনিয়োগে অর্জিত ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব ও মর্যাদাকে। এভাবে ব্যক্তির বেঁচে থাকার আনন্দকেই নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। মহান আল্লাহতায়ালার শরিয়তি বিধানে মিথ্যা কথা বলা তাই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কারো বিরুদ্ধে ব্যাভিচারের মিথ্যা অভিযোগ আনার শাস্তিটি তাই ব্যাভিচারে লিপ্ত হওয়ার শাস্তির সমান। অবিবাহিত হলে তাকে তখন ১০০টি চাবুকের আঘাত প্রকাশ্যে কোন ময়দানে খেতে হয়। বিবাহিত হলে তাকে পাথর মেরে হত্যা করা হয়। মিথ্যার সাহায্যে একই রূপ ভয়ানক ক্ষতি হতে পারে দেশের বিরুদ্ধেও। মিথ্যুকের শাস্তি দেয়াটি তাই যে কোন সভ্য সমাজেরই রীতি। কিন্তু মিথ্যুকদের হাতে অধিকৃত দেশে কি সেটি সম্ভব? এ দেশে ক্ষমতায় টিকে থাকার মাধ্যমই তো হলো মিথ্যা নির্বাচন। মিথ্যার মাধ্যেম নিরেট ভোট-ডাকাতির নির্বাচনকেও সুষ্ঠ নির্বাচন বলা হয়। মিথ্যচর্চা দেশটিতে রাজনৈতিক কালচারে পরিণত হয়েছে। ফলে শাস্তি না দিয়ে মিথ্যুকদের ক্ষমতায় বসানোই নীতিতে পরিণত হয়ে পড়েছে। সেটি জেনেই প্রিয়া সাহা অতি লাগামহীন মিথ্যা কথাটি অতি নির্ভয়ে বলেছেন।
কি বলেছেন প্রিয়া সাহা?
ঢাকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কল্যাণে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন প্রিয়া সাহা। সুযোগ পেয়ে তিনি যা বলেছেন -সেটির ভিডিও বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে। অতএব লুকানোর সুযোগ নাই। তিনি অভিযোগ তুলেছেন, বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু নাগরিককে গায়েব করা হয়েছে। বলেছেন, “আমরা দেশ ছাড়তে চাই না, সেখানে বাঁচতে চাই। আমাদের সাহায্য করুণ।” ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু নাগরিকের গায়েব হওয়ার বিষয়ে নিজের শিশুসুলভ অজ্ঞতা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রিয়া সাহার কাছে জানতে চান, কারা তাদেরকে গায়েব করলো? প্রিয়া সাহা বলেন, সেটি করেছে মুসলিম মৌলবাদীরা। সে সাথে তিনি আরো বলেন, তারা সেটি করেছে সরকারি প্রটেকশনে। প্রিয়া সাহার অভিযোগ করেন, তারা সব সময়ই সরকারি প্রটেকশন পায়। সে সাথে এটিও উল্লেখ করেন, তার নিজের বাড়ীও জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।
৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু গায়েব হওয়ার বিষয়টি এক বিশাল গণহত্যার বিষয়। স্পেন থেকে মুসলিম নির্মূল, আমেরিকা থেকে রেড ইন্ডিয়ান নির্মূল এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে অ্যাব অরিজিনদের নির্মূলের পর আধুনিক বিশ্বে কোথাও এমন নির্মূলের ঘটনা ঘটেনি। এমনকি হিটলারের আমলে জার্মানীতেও ইহুদীদের এরূপ বিশাল সংখ্যায় নির্মূল হতে হয়নি। এমন কি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও এত মানুষ মারা যাযনি। ইরাক, আফগানিস্তান ও সিরিয়াতে যে প্রায় বিশ বছর ধরে যুদ্ধ হচ্ছে তাতেও এতো লোকের প্রাণহানি হয়নি। নব্বইয়ের দশকে আফ্রিকার রুয়ান্ডাতে ১০ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়। তাতেই সেটি নৃশংস বর্বরতার ইতিহাস হয়ে আজও বেঁচে আছে। ফলে বাংলাদেশে এত মানুষ গায়েব হলে বিশ্বজুড়ে অবশ্যই এক বিশাল খবর হতে পারতো। বাংলাদেশের সরকার তখন একটি জেনোসাইডাল সরকার রূপে পরিচিতি পেত। কিন্তু সেটি হয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও সেটি জানা ছিল না। ফলে বিস্ময়ে তাকে প্রিয়া সাহাকে জিজ্ঞাসা করতে হয়েছে। অথচ এতবড় নির্মূলের কাজ কোথাও ঘটলে শুধু ডোনাল্ড ট্রাম্প কেন, বিশ্বের প্রতিটি শিক্ষিত মানুষ –এমন কি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও সেটি জানতো। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও একজন প্রমাণিত মিথ্যাবাদি। কিন্তু তার কাছেও প্রিয়া সাহার মিথ্যাটি বিস্ময়কর মনে হয়েছে।
মতলবটি রাজনৈতিক
প্রিয়া সাহার লক্ষ্য শুধু ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘুর গায়েব হওয়ার কথাটি তুলে ধরা ছিল না। সে সাথে উদ্দেশ্য ছিল বাঙালী মুসলিমদের খুনের আসামী রূপে খাড়া করাও। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দু’টি পক্ষ। একটি ভারতসেবী পক্ষ; অপরটি বাংলাদেশসেবী পক্ষ। প্রিয়া সাহা যেহেতু ভারতসেবী শিবিরের, তাই তার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে একটি সন্ত্রাসী দেশ এবং বাংলাদেশের ভারত বিরোধী দেশপ্রেমিক পক্ষকে সন্ত্রাসী পক্ষ রূপে মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরা। তিনি ধারণা করেছিলেন, সন্ত্রসবিরোধী যুদ্ধের নামে মার্কিনীদের যে মুসলিম বিরোধী যুদ্ধ চলছে, এভাবে তাদের যুদ্ধে মিত্র হওয়া যাবে। বিরোধে শিবিরে থাকা কালে শেখ হাসিনা ও শাহরিয়ার কবিরেরাও একই কাজ করেছে। শেখ হাসিনা থেকে অনুপ্রানিত হয়েই যে প্রিয়া সাহা এমন ভিত্তিহীন কথাটি বলেছেন, সেটি নিজ বক্তব্যের পক্ষে সাফাই রূপে নিজের পক্ষ থেকে ছাড়া ভিডিওতে তিনি বলেছেন। ট্রাম্পের কাছে পেশকরা নালিশে তার অভিযোগ ছিল, এ নির্মূলকরণ প্রক্রিয়াটি ঘটেছে দেশের মুসলিম মৌলবাদীদের হাতে। তার আরো অভিযোগ, মৌলবাদীগণ সবসময়ই পেয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা। প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশে মুসলিম মৌলবাদী কারা? নিশ্চয়ই জামায়াতে ইসলামী, হিফাজতে ইসলাম এবং মসজিদ-মাদ্রাসার হুজুর ও ছাত্রগণ। কথা হলো, কারা তাদেরকে দিল কথিত সরকারি প্রটেকশন? নিশ্চয়ই প্রিয়া সাহা বুঝাতে চেয়েছেন, সেটি আওয়ামী লীগের সরকার নয়, আওয়ামী লীগের মিত্র জাতীয় পার্টির সরকারও নয়। বরং সেটি বিএনপি’র সরকার।
এ ভূয়া তথ্যের ভিত্তি কোথায়?
প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশে কি কোন কালেও ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু ছিল? সেটি যেমন আজ নাই, তেমনি আজ থেকে ৭০ বছর আগেও ছিল না। ফলে যা ছিল না তা গায়েব হলো কি করে? ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সৃষ্টিকালে দেশটির সর্বোমোট জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি। অপর দিকে ১৯৪৭ সালে যখন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা পায় তখনও পূর্ব পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যা তিন কোটি ৭০ লাখ ছিল না। ফলে প্রশ্ন হলো, ১৯৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্তানে বসবাসকারি সংখ্যালঘুদের থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ গায়েব হয় কি করে? গায়েব হলে বর্তমানের সংখ্যালঘু জনসংখ্যা এক কোটি ৮০ লাখ হয় কি করে?
আরো প্রশ্ন হলো, কিভাব গায়েব করা হলো ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ? হিটলার তার দেশের কয়েক লাখ ইহুদী হত্যা করতে গ্যাস চেম্বারের ন্যায় বিশাল বিশাল প্লান্ট নির্মাণ করেছিল। মানব হত্যা তখন এক ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত হয়েছিল। ভারত থেকে মুসলিম নির্মূল করতে দেশটি হিন্দু গুণ্ডারাও গড়ে তুলেছে এক দেশজ প্রক্রিয়া। সে প্রক্রিয়ার অধীনে শত শত দাঙ্গা করছে। এমন এক দাঙ্গায় গুজরাতে ২ হাজার মুসলিম নর-নারীকে হত্যা করা হয়। ১০ লাখ রোহিঙ্গা নির্মূল করতে মায়ানমার সরকারকে কয়েক হাজার মুসলিম গ্রামে হাজার হাজার সৈন্য নামাতে হয়েছে। ক্ষেপিয়ে দিতে হয়েছে স্থানীয় বৌদ্ধদের। তাদের দিয়ে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ীতে আগুণ দিতে হয়েছে। ফলে মুসলিমদের মাঝে তখন শুরু হয়েছে নীরবে দেশ ছাড়ার পালা। কথা হলো, বাংলাদেশে সেরূপ নির্মূল প্রক্রিয়া কোথায় এবং কীরূপে অনুষ্ঠিত হলো? গুজরাতের ন্যায় দাঙ্গা কি বাংলাদেশে কোথাও কোন কালে হয়েছে? তবে কি মুসলিম মৌলবাদীরা এতবড় নির্মূলকর্ম গোপনে সাধন করেছে? এতবড় নির্মূলের কাজ কি গোপনে হয়? ৩ কোটি ৭০ লাখ নির্মূল হলে তাদের লাশ এবং হাড্ডিগুলোই বা কোথায় গেল? তেমন ভয়াবহ কিছু হলে একজন হিন্দুও কি বাংলাদেশে বসবাস করতো? সেটি হলো প্রতিবাদ উঠতো ভারত সরকারের মুখ থেকেও। বাংলাদেশে কোথাও কোন মন্দির ভাঙ্গা হলে তা নিয়ে হিন্দুস্থান প্রবল প্রতিক্রিয়া দেখায়। সেদেশর পত্রিকায় ও মিডিয়ায় লেখার ঝড় বইতে শুরু করে। কিন্তু এ অবধি নরেন্দ্র মোদীর সরকারও কি এমন অভিযোগ করেছে -যা প্রিয়া সাহার মুখে শোনা গেল? তাছাড়া বিদেশী দূতাবাসের যেসব দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ ঢাকাতে বসে আছেন -তারাও কি কখনো এমন অভিযোগ এনেছে?
একা নয় প্রিয়া সাহা
প্রিয়া সাহার কথায় যেটি সুস্পষ্ট প্রকাশ পেয়েছে সেটি হলো, মুসলিমদের রাষ্ট্র, আচার ও ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি গভীর ঘৃণা। এরূপ ঘৃণা নিয়েই ১৯৪৭ সালে সে সময়ের প্রিয়া সাহাগণ বাঙালী মুসলিমদের সঙ্গ ছেড়ে অবাঙালীদের সাথে ভারত মাতার দেহে লীন হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে আরেকটি গুরুত্বপূরণ বিষয় বেরিয়ে এসেছে। সেটি হলো, প্রতিটি মুসলিম দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কর্মচারীদের মূল কাজটি হলো এরূপ মুসলিম বিদ্বেষীদের তন্ন তন্ন করে খোঁজা এবং ইসলামের বিরুদ্ধে নিজেদের চলমান যুদ্ধে সৈনিক রূপে রিক্রুট করা। প্রিয়া সাহা তেমনি এক আন্তর্জাতিক কোয়ালিশনের সৈনিক।
তাই প্রিয়া সাহা এক নয়। তাদের বাহিনীতে লোকের সংখ্যা অনেক। তারা লড়ছে মজবুত বিদেশী খুঁটির জোরে। তাদের পিছনে যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তেমনি ভারতের মোদি সরকার। তাই প্রিয়া সাহার মাথার একটি চুল ছেঁড়ার সামর্থ্যও হাসিনার নাই। ঢাকার আদালতে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে মামলা উঠেছিল; বিচারকগণ তা খারিজ করে দিয়েছে। হাসিনার পক্ষ থেকে নির্দেশ এসেছে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা না নেয়ার। হাসিনা যাদের প্রতি গোলামী নিয়ে ক্ষমতায় আছে, প্রিয়া সাহা তাদেরই আপন লোক। গোলামগণ তাই তাদের বিরুদ্ধে অসহায়। প্রিয়া সাহা যে তাদের আপনজন সে বিশ্বাসটি বাড়াতেই ঢাকাস্থ্য মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাতের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তাই হোয়াইট হাউসের উগ্র মুসলিম বিরোধী পরিবেশে নিজের মুসলিম বিরোধী তীব্র ঘৃণাটি তিনি অতি সাবলিল ভাবেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সামনে প্রকাশ করতে পেরেছেন। এক শৃগাল আরেক শৃগাল দেখলে যেমন হাঁক ছাড়ে, তেমনি অবস্থা হয়েছিল প্রিয়া সাহার। যে তীব্র ঘৃণা নিয়ে ভারতের বিজেপী’র খুনিরা রাজপথে মুসলিমদের পিটিয়ে হত্যা করছে, সে ঘৃণা নিয়েই সেদিন বাংলাদেশের মুসলিমদের হোয়াইট হাউসের ঘনিষ্ট পরিবেশে খুনি রূপে পেশ করেছেন। প্রশ্ন হলো, এতো ঘৃণা নিয়ে তারা এদেশে বাস করে কি করে? সরকারি অফিস আদালতে চাকুরিই বা করে কি করে?
প্রিয়া সাহার কথা থেকে বুঝা যায়, প্রতিবেশী মুসলিমদের এরা সুস্থ্য ও হৃদয়শীল মানুষ ভাবতেও রাজী নয়। অথচ ভারতে মুসলিমদের সাথে যে নির্মম আচরণটি হচ্ছে সেটি কি তারা দেখে না? তা নিয়ে কি তারা একটুও ভাবে না? ভাবলে সেটি কেন সেদিন ট্রাম্পের সামনে বললো না? ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ১৫%। অথচ সরকারিতে তারা ৫% ভাগেরও কম। গরুর গোশতো খাওয়ার অভিযোগে তাদের রাজপথে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। মুসলিম নির্মূলের দাঙ্গা হচ্ছে বার বার। শুধু ঘরবাড়ি নয়, তাদের মসজিদগুলিও নির্মূল করা হচ্ছে। মুসল্লীদের মাথার টুপি কেড়ে নিয়ে “রামজি কি জয়” বলতে বাধ্য করা হচ্ছে। অপর দিকে বাংলাদেশে তারা যে কতো রকম সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে -তারা কি সেটি দেখে না? বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, দেশে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ৯.৫%, কিন্তু সরকারি চাকুরিতে তারা ২৫%। প্রশ্ন হলো, তারা কি চায়? তারা কি চায় ভারতের ন্যায় বাংলাদেশ থেকেও মুসলিম নির্মূল? চায় কি সে নির্মূল-কাজে মার্কিন বাহিনীকে ডেকে আনতে? চায় কি বাংলাদেশকে হিন্দু রাষ্ট্র বানাতে? ২৫/০৭/২০১৯
ANNOUNCEMENT
ওয়েব সাইটটি এখন আপডেট করা হচ্ছে। আগের লেখাগুলো নতুন ওয়েব সাইটে পুরাপুরি আনতে কয়েকদিন সময় নিবে। ধন্যবাদ।
LATEST ARTICLES
- মুসলিম দেশগুলিতে সেক্যুলারিস্টদের দখলদারি ও নাশকতা
- আবারো ডাকাতি হয়ে যাবে জনগণের ভোট
- সেক্যুলারিস্টদের ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ এবং যুদ্ধ ইসলামের বিরুদ্ধে
- বাংলাদেশে হিফাজতে ইসলাম ও ইসলামের হিফাজতে ভয়ানক ব্যর্থতা
- তাবলীগ জামায়াত কতটা দূরে সরেছে ইসলাম থেকে?
বাংলা বিভাগ
ENGLISH ARTICLES
RECENT COMMENTS
- Mohammad Arifur Rahman on জিন্নাহ’র সাদকায়ে জারিয়া ও মুজিবের গুনাহে জারিয়া
- সিরাজুল ইসলাম on জিন্নাহ’র সাদকায়ে জারিয়া ও মুজিবের গুনাহে জারিয়া
- Abdul Aziz on বিবিধ ভাবনা ৮২
- Fazlul Aziz on বাঙালি ও অবাঙালি মুসলিমের বৈষম্য এবং ফ্যাসিবাদী মিথ্যচার
- Fazlul Aziz on বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের তান্ডব: মুক্তি কীরূপে?
ARCHIVES
- March 2023
- January 2023
- December 2022
- November 2022
- October 2022
- September 2022
- August 2022
- July 2022
- June 2022
- May 2022
- April 2022
- March 2022
- February 2022
- January 2022
- November 2021
- October 2021
- September 2021
- August 2021
- July 2021
- June 2021
- May 2021
- April 2021
- March 2021
- February 2021
- January 2021
- December 2020
- November 2020
- October 2020
- April 2020
- March 2020
- February 2020
- January 2020
- December 2019
- November 2019
- October 2019
- September 2019
- August 2019
- July 2019
- June 2019
- May 2019
- April 2019
- March 2019
- February 2019
- January 2019
- December 2018
- November 2018